চিনিশিল্প-আখেরে ‘আখে’র কী হবে? by সাইফুদ্দীন চৌধুরী
পত্রিকান্তরে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, আখের অভাবে একের পর এক দেশের চিনিকলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মোটামুটি মাস চারেক ক্র্যাসিং চলে, সে সময় কলগুলো চালু থাকে। কিন্তু আখ উৎপাদনকারী চাষিরা চিনিকলে আখ সরবরাহ চাহিদামতো না করায় কলগুলোর এই দুর্দশা। বিগত কিছু বছর ধরেই এ অবস্থা চলছে।
দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে মোটামুটি ভারী শিল্প হিসেবে চিনিকল স্থাপিত হয়েছে। তুলনামূলকভাবে খরাসহিষ্ণু, শুষ্ক, কম বৃষ্টিনির্ভর মাঝারি উঁচু শ্রেণীর জমি জঙ্গলি শ্রেণীর ফসল আখের উপযোগী হওয়ায় এ অঞ্চলে চিনিকল ধরনের অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে।
কিন্তু দুঃখজনক যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন কারণে চিনিকলগুলোর অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। চিনিকল এলাকার আখচাষ আগের তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, বছরে চিনিকল অঞ্চলে ২.২০ লাখ একর জমিতে আখ চাষের প্রয়োজন কিন্তু এখন চাষ হচ্ছে অনেক কম। ২০০৮-২০০৯ মৌসুমে চাষ হয়েছে মাত্র ১.২৮ একরে। আখচাষ হ্রাস পাওয়ার কারণ অনেক। প্রথমত, এই পণ্য উৎপাদন করে চাষিরা ন্যায্য মূল্য পান না চিনিকল থেকে। এ জন্য চাষিরা নগদ অর্থ ও বেশি মুনাফার আশায় গুড় প্রস্তুতকারীদের সঙ্গে পাওয়ার ক্র্যাসার দিয়ে গুড় তৈরির ব্যবসা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আখচাষিরা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি ফসল আখ চাষের পরিবর্তে স্বল্পমেয়াদি ফসল করার দিকে আগ্রহী হচ্ছেন। জমিতে সেচসুবিধা পাওয়ায় চাষিরা জমিতে অন্য ফসলের পাশাপাশি শাকসবজি, ফলমূলও চাষ করছেন।
দেশে ১৫টি চিনিকল রয়েছে। কলগুলো ৬০ থেকে ৮০ বছরের পুরোনো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে চারটি কল স্থাপিত হয়েছে, তার বয়সও ৪০ বছর হতে চলেছে। তাঁরা বলছেন, এভাবে চিনিকল চালু রাখা ঠিক নয়, উৎপাদন খরচ এতে অবশ্যই বেড়ে যায়। চিনিকলের আয়ুষ্কাল ধরা হয় সর্বোচ্চ কুড়ি বছর। পুরোনো এই কলগুলোই কোনোভাবে মেরামত করে চালানো হচ্ছে, এটা ঠিক হচ্ছে না। ক্রমান্বয়ে নতুন কল প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন, কোয়ালিটি প্রোডাকশনের প্রয়োজন। এসব কলে উৎপাদন-ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সংগত কারণেই বাজারে চিনির মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। বাজারে চিনির চাহিদা পূরণ হচ্ছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদেশ থেকে আনা কম দামের কৃত্রিম ‘রিফাইন্ড হোয়াইট সুগারে’র মাধ্যমে। কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের রিফাইন্ড সুগার বেশি খেলে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কম দামে চিনির ব্যবহার ভয়াবহ কর্কট রোগের আবির্ভাব ঘটাতে পারে।
প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী শিল্প, বাংলার চিনি বা শর্করাশিল্প। এ কালে এসে এই দুরবস্থা কেন ঘটছে? ইতিহাসে আছে, খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে মনীষী এরিয়ান লিখেছেন, এ দেশে চিনি পাওয়া যেত এক প্রকার নল থেকে। সপ্তম শতকের গোড়ার দিকে চীনদেশের লোকেরা এ দেশে এসেছিল চিনির উৎপাদন কৌশল শিখতে। বগুড়ার প্রত্নপীঠ মহাস্থানের (গোকুলের) দশম শতকের সংস্কৃত কবি সন্ধ্যাকর নন্দী ‘রামচরিতম’ কাব্যে লিখেছেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম প্রধান উপকরণ ছিল আখের খেত। হেমন্তের নতুন গুড়ের সঙ্গে আমোদিত হতো তখন এখানকার গ্রাম। মধ্যযুগের বাংলা কাব্যে গুড়, চিনি, মিছরির কথা উল্লেখ করা হয়েছে:
শুক্র ধর্ম হয় রস না তার চিনি
তন্তুপর ভিআনেতে ওলা লাড্ডুখানি\
পুন দুগ্ধ ভোগ দিয়ে তাহার ভিয়ান
অখন্ড লাড্ডুকা হয় মিছরি তার নাম\
এ দেশ থেকে চিনি রপ্তানি হতো বসরা, মোচা, বন্দর-আব্বাস, জেদ্দা, মাসকট, কেপ অব গুড হোপ, পারস্য, প্রিন্স অব ওয়েলস দ্বীপপুঞ্জ ও আরব সাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে। এ তথ্য জানা যায় বণিক বার্নিয়ার সাহেবের লেখা থেকে।
দেশের দীর্ঘ ঐতিহ্যের এই শিল্প কি পুনরুজ্জীবিত করা যাবে না? অবশ্যই যেতে পারে। মিল জোন এলাকায় আখ চাষের পরিমাণ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। চাষিরা যাতে দীর্ঘমেয়াদি হলেও আখ চাষে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং আগ্রহী হন। তাহলে হয়তো দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে আগের মতো বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এ জন্য আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চাষিদের মধ্যে সার, বীজ, কীটনাশক প্রভৃতি সংগ্রহে পর্যাপ্ত কৃষিঋণ বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁদের নিশ্চয়তা দিতে হবে যে মিলগেটেই তাঁরা আখের উপযুক্ত মূল্য পাবেন। চাষিদের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে যে বছর মেয়াদি আখ উৎপাদনে আর্থিক ক্ষতির দিকগুলো সরকারের পক্ষ থেকে পুষিয়ে দেওয়া হবে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে গুড় তৈরি করে তাঁরা যে পরিমাণ অর্থ পেতেন সাবসিডি হিসেবে দিয়ে তাও দেওয়া হবে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদেশ থেকে যে রিফাইন্ড হোয়াইট সুগার দেশে আসছে তার আমদানির পরিমাণও সীমিত করতে হবে। দেশের ‘গুড় নিয়ন্ত্রণ আইন’ কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। ‘গুড় নিয়ন্ত্রণ আইন’ বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণ সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রভাবশালীদের দাপট। তাঁরা ওই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আখচাষিদের দিয়ে পাওয়ার ক্র্যাসারে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছেন। এ জন্য বিগত দুই দশকে চিনিকলগুলো ১১৪০.১৮ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে। এভাবে চিনিকল চালালে লোকসানের পরিমাণ অবিরত বাড়তেই থাকবে। জরুরি ভিত্তিতে সরকারকে আখ চাষের বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
দেশে আখ চাষের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। যে পরিমাণ জমিতে চাষ হয়, তার বেশির ভাগই যদি চিনিকলের বাইরে ব্যবহূত হয় তাহলে এ শিল্পের রুগ্ণদশা নেমে আসা স্বাভাবিক। এ শিল্পকে রক্ষা করতে চাইলে সরকারের সঙ্গে জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।
সাইফুদ্দীন চৌধুরী: গবেষক ও অধ্যাপক, ফোকলোর বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
pr_saif@yahoo.com
কিন্তু দুঃখজনক যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন কারণে চিনিকলগুলোর অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। চিনিকল এলাকার আখচাষ আগের তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, বছরে চিনিকল অঞ্চলে ২.২০ লাখ একর জমিতে আখ চাষের প্রয়োজন কিন্তু এখন চাষ হচ্ছে অনেক কম। ২০০৮-২০০৯ মৌসুমে চাষ হয়েছে মাত্র ১.২৮ একরে। আখচাষ হ্রাস পাওয়ার কারণ অনেক। প্রথমত, এই পণ্য উৎপাদন করে চাষিরা ন্যায্য মূল্য পান না চিনিকল থেকে। এ জন্য চাষিরা নগদ অর্থ ও বেশি মুনাফার আশায় গুড় প্রস্তুতকারীদের সঙ্গে পাওয়ার ক্র্যাসার দিয়ে গুড় তৈরির ব্যবসা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আখচাষিরা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি ফসল আখ চাষের পরিবর্তে স্বল্পমেয়াদি ফসল করার দিকে আগ্রহী হচ্ছেন। জমিতে সেচসুবিধা পাওয়ায় চাষিরা জমিতে অন্য ফসলের পাশাপাশি শাকসবজি, ফলমূলও চাষ করছেন।
দেশে ১৫টি চিনিকল রয়েছে। কলগুলো ৬০ থেকে ৮০ বছরের পুরোনো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে চারটি কল স্থাপিত হয়েছে, তার বয়সও ৪০ বছর হতে চলেছে। তাঁরা বলছেন, এভাবে চিনিকল চালু রাখা ঠিক নয়, উৎপাদন খরচ এতে অবশ্যই বেড়ে যায়। চিনিকলের আয়ুষ্কাল ধরা হয় সর্বোচ্চ কুড়ি বছর। পুরোনো এই কলগুলোই কোনোভাবে মেরামত করে চালানো হচ্ছে, এটা ঠিক হচ্ছে না। ক্রমান্বয়ে নতুন কল প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন, কোয়ালিটি প্রোডাকশনের প্রয়োজন। এসব কলে উৎপাদন-ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সংগত কারণেই বাজারে চিনির মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। বাজারে চিনির চাহিদা পূরণ হচ্ছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদেশ থেকে আনা কম দামের কৃত্রিম ‘রিফাইন্ড হোয়াইট সুগারে’র মাধ্যমে। কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের রিফাইন্ড সুগার বেশি খেলে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কম দামে চিনির ব্যবহার ভয়াবহ কর্কট রোগের আবির্ভাব ঘটাতে পারে।
প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী শিল্প, বাংলার চিনি বা শর্করাশিল্প। এ কালে এসে এই দুরবস্থা কেন ঘটছে? ইতিহাসে আছে, খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে মনীষী এরিয়ান লিখেছেন, এ দেশে চিনি পাওয়া যেত এক প্রকার নল থেকে। সপ্তম শতকের গোড়ার দিকে চীনদেশের লোকেরা এ দেশে এসেছিল চিনির উৎপাদন কৌশল শিখতে। বগুড়ার প্রত্নপীঠ মহাস্থানের (গোকুলের) দশম শতকের সংস্কৃত কবি সন্ধ্যাকর নন্দী ‘রামচরিতম’ কাব্যে লিখেছেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম প্রধান উপকরণ ছিল আখের খেত। হেমন্তের নতুন গুড়ের সঙ্গে আমোদিত হতো তখন এখানকার গ্রাম। মধ্যযুগের বাংলা কাব্যে গুড়, চিনি, মিছরির কথা উল্লেখ করা হয়েছে:
শুক্র ধর্ম হয় রস না তার চিনি
তন্তুপর ভিআনেতে ওলা লাড্ডুখানি\
পুন দুগ্ধ ভোগ দিয়ে তাহার ভিয়ান
অখন্ড লাড্ডুকা হয় মিছরি তার নাম\
এ দেশ থেকে চিনি রপ্তানি হতো বসরা, মোচা, বন্দর-আব্বাস, জেদ্দা, মাসকট, কেপ অব গুড হোপ, পারস্য, প্রিন্স অব ওয়েলস দ্বীপপুঞ্জ ও আরব সাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে। এ তথ্য জানা যায় বণিক বার্নিয়ার সাহেবের লেখা থেকে।
দেশের দীর্ঘ ঐতিহ্যের এই শিল্প কি পুনরুজ্জীবিত করা যাবে না? অবশ্যই যেতে পারে। মিল জোন এলাকায় আখ চাষের পরিমাণ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। চাষিরা যাতে দীর্ঘমেয়াদি হলেও আখ চাষে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং আগ্রহী হন। তাহলে হয়তো দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে আগের মতো বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এ জন্য আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চাষিদের মধ্যে সার, বীজ, কীটনাশক প্রভৃতি সংগ্রহে পর্যাপ্ত কৃষিঋণ বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁদের নিশ্চয়তা দিতে হবে যে মিলগেটেই তাঁরা আখের উপযুক্ত মূল্য পাবেন। চাষিদের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে যে বছর মেয়াদি আখ উৎপাদনে আর্থিক ক্ষতির দিকগুলো সরকারের পক্ষ থেকে পুষিয়ে দেওয়া হবে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে গুড় তৈরি করে তাঁরা যে পরিমাণ অর্থ পেতেন সাবসিডি হিসেবে দিয়ে তাও দেওয়া হবে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদেশ থেকে যে রিফাইন্ড হোয়াইট সুগার দেশে আসছে তার আমদানির পরিমাণও সীমিত করতে হবে। দেশের ‘গুড় নিয়ন্ত্রণ আইন’ কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। ‘গুড় নিয়ন্ত্রণ আইন’ বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণ সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রভাবশালীদের দাপট। তাঁরা ওই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আখচাষিদের দিয়ে পাওয়ার ক্র্যাসারে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছেন। এ জন্য বিগত দুই দশকে চিনিকলগুলো ১১৪০.১৮ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে। এভাবে চিনিকল চালালে লোকসানের পরিমাণ অবিরত বাড়তেই থাকবে। জরুরি ভিত্তিতে সরকারকে আখ চাষের বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
দেশে আখ চাষের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। যে পরিমাণ জমিতে চাষ হয়, তার বেশির ভাগই যদি চিনিকলের বাইরে ব্যবহূত হয় তাহলে এ শিল্পের রুগ্ণদশা নেমে আসা স্বাভাবিক। এ শিল্পকে রক্ষা করতে চাইলে সরকারের সঙ্গে জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।
সাইফুদ্দীন চৌধুরী: গবেষক ও অধ্যাপক, ফোকলোর বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
pr_saif@yahoo.com
No comments