শুধু আইনই যথেষ্ট নয়
জরুরি একটি বিষয়ে আইন করতে যাচ্ছে সরকার। অনেক আগেই এ আইনটি করা প্রয়োজন ছিল। দেশে সামাজিক অবক্ষয়ের শুরু অনেক আগে থেকেই। সেই অবক্ষয়ের ধারায় যুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি। সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহারও বেড়েছে। বেড়েছে অপব্যবহার। আজকাল সংবাদপত্রে প্রায়ই দেখা যায় নারীর প্রতারিত হওযার খবর।
এ ছাড়া ব্যবসায়িকভাবেও অনেকে পর্নোগ্রাফি তৈরি করে থাকে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশে তৈরি পর্নোগ্রাফি। এতে যুবসমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অপরাধ রোধে দেশে সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় তা দমন করা যাচ্ছিল না। এ কারণে কাউকে শাস্তিও দেওয়া যায়নি। এমন অবস্থায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে একটি আইন খুবই প্রয়োজন ছিল।
সেই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পর্নোগ্রাফির দায়ে শাস্তির বিধান করে নতুন আইনটির অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১১-এ দোষীদের সাত থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। স্যাটেলাইট ও মোবাইল প্রযুক্তির কারণে সমাজে পর্নোগ্রাফি ব্যাধির মতো বিস্তার লাভ করছে। পর্নোগ্রাফি দমনে সরকার এ আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বাজারজাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনে এ অপরাধের জন্য তদন্তের ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে শুধু আইন করে এ অপরাধ দমন করা যাবে না। এর জন্য সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের সমাজ থেকে হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে। সমাজের অনেক সমস্যা আছে। সেই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দূর করতে হবে। দেশে এখন পর্যন্ত কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। কর্মসংস্থানের অভাবে অনেককেই বিপথে পা বাড়াতে বাধ্য হতে হয়। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারলে সামাজিক অপরাধের মাত্রা অনেকাংশে কমে যেত। এর পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে। সামাজিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি আমাদের দেশে সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের একটি বলয়ও তৈরি হয়েছে। এই বলয় ভেঙে দিতে হবে। সুস্থ ও রুচিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকেই এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
পর্নোগ্রাফির বিস্তার একটি সামাজিক অপরাধ। উপযুক্ত শিক্ষা, সামাজিক মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক চেতনাই পারে একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে, অপরাধের মাত্রা কমিয়ে দিতে। উপযুক্ত শিক্ষা, মেধা বিকাশের সুযোগ ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকলে সামাজিক অপরাধের মাত্রা অনেক কমে যাবে। পর্নোগ্রাফি রোধে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের পাশাপাশি এদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
সেই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পর্নোগ্রাফির দায়ে শাস্তির বিধান করে নতুন আইনটির অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১১-এ দোষীদের সাত থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। স্যাটেলাইট ও মোবাইল প্রযুক্তির কারণে সমাজে পর্নোগ্রাফি ব্যাধির মতো বিস্তার লাভ করছে। পর্নোগ্রাফি দমনে সরকার এ আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বাজারজাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনে এ অপরাধের জন্য তদন্তের ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে শুধু আইন করে এ অপরাধ দমন করা যাবে না। এর জন্য সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের সমাজ থেকে হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে। সমাজের অনেক সমস্যা আছে। সেই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দূর করতে হবে। দেশে এখন পর্যন্ত কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। কর্মসংস্থানের অভাবে অনেককেই বিপথে পা বাড়াতে বাধ্য হতে হয়। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারলে সামাজিক অপরাধের মাত্রা অনেকাংশে কমে যেত। এর পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে। সামাজিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি আমাদের দেশে সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের একটি বলয়ও তৈরি হয়েছে। এই বলয় ভেঙে দিতে হবে। সুস্থ ও রুচিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকেই এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
পর্নোগ্রাফির বিস্তার একটি সামাজিক অপরাধ। উপযুক্ত শিক্ষা, সামাজিক মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক চেতনাই পারে একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে, অপরাধের মাত্রা কমিয়ে দিতে। উপযুক্ত শিক্ষা, মেধা বিকাশের সুযোগ ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকলে সামাজিক অপরাধের মাত্রা অনেক কমে যাবে। পর্নোগ্রাফি রোধে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের পাশাপাশি এদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
No comments