অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে-বন্য প্রাণী হত্যার আত্মবিনাশী বাণিজ্য
দেশের ভেতর বন্য প্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য চলছে অবাধে, সবার চোখের সামনে। অথচ তা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। গত রোববার প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে দেশের ভেতর বন্য প্রাণীকেন্দ্রিক অবৈধ বাণিজ্যের একটি চিত্র উঠে এসেছে। বাঘের চামড়া, ধনেশ পাখি, এমনকি ভালুকের মতো বিপন্ন প্রাণীর পিত্ত বিকিকিনি হচ্ছে।
অন্যদিকে বহু প্রজাতির বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় বন্য প্রাণী পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশের কালোবাজারে।
সব বাস্তুসংস্থানের সঙ্গে বন্য প্রাণীর বিলুপ্তি এমনভাবে সম্পর্কিত যে বাস্তুসংস্থানের কোনো এক জায়গায় সামান্য শূন্যতা তৈরি হলে ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটে স্বাভাবিক জীবনে অকল্পনীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এই বাস্তুসংস্থানই আমাদের যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই পৃথিবীর বুকে আমাদের অস্তিত্ব জারি রাখতে বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ জরুরি। এতে গুরুতর বাধা হিসেবে কাজ করছে বন্য প্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য। অবৈধ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বন্য প্রাণী ধরা কিংবা হত্যা করার ফলে খুব দ্রুত এসব প্রাণীর বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বন্য প্রাণীর অবৈধ বাণিজ্যের বিষয়টি তাই আমাদের অস্তিত্বের জন্য এক বড় হুমকি।
দেশের ভেতরে যতটা অবাধে ও প্রকাশ্যে বন্য প্রাণীর অবৈধ বেচাকেনা চলছে, তাতে এদের নিয়ে আমাদের উদাসীনতাই ধরা পড়ে। এ দেশে বন্য প্রাণীর ক্রেতা ও ভোক্তার অভাব নেই। এ কারণেই বিক্রির জন্য বাজারে আসে বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। সে জন্য অবৈধ বাণিজ্য প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। বন্য প্রাণীর বিনাশে আমরা যেভাবে অবদান রাখছি, সে ব্যাপারে প্রথমেই আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। বন্য প্রাণী বা এদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেনা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। প্রতিবছর বিমানবন্দর ও সীমান্তে বিপুলসংখ্যক বন্য প্রাণী উদ্ধার হয়। কিন্তু এগুলো তো বিশাল বাণিজ্যের অতি ক্ষুদ্র অংশমাত্র। উল্লিখিত প্রতিবেদনে বন্য প্রাণী বাণিজ্যের সঙ্গে সাবেক জনপ্রতিনিধিদের জড়িত থাকার কথাও উঠে এসেছে। তাঁদের চিহ্নিত করা ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা উচিত। পরিবেশের প্রতি দরদ না থাকলে আমাদের জৈববৈচিত্র্যের সম্পদ হারাতে হারাতে একসময় নিঃশেষ হয়ে যাবে।
অবৈধভাবে বন্য প্রাণী ধরা কিংবা হত্যা করা পরিবেশবিরোধী অপরাধ। এ ধরনের অপরাধী চক্র সক্রিয় রয়েছে দেশের সীমানা ছাড়িয়েও। মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার পর বন্য প্রাণীর কালোবাজারি দুনিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অবৈধ বাণিজ্য হিসেবে বিবেচিত। বর্তমান দুনিয়ায় এই অপরাধ খুব লাভজনক ও আকর্ষণীয়ও বটে। এখন আমাদের সবার উপলব্ধি করা দরকার, বন্য প্রাণীর বিলুপ্তি আমাদের সামষ্টিক ক্ষতি। এ জন্য অবৈধ বাণিজ্য প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
সব বাস্তুসংস্থানের সঙ্গে বন্য প্রাণীর বিলুপ্তি এমনভাবে সম্পর্কিত যে বাস্তুসংস্থানের কোনো এক জায়গায় সামান্য শূন্যতা তৈরি হলে ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটে স্বাভাবিক জীবনে অকল্পনীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এই বাস্তুসংস্থানই আমাদের যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই পৃথিবীর বুকে আমাদের অস্তিত্ব জারি রাখতে বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ জরুরি। এতে গুরুতর বাধা হিসেবে কাজ করছে বন্য প্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য। অবৈধ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বন্য প্রাণী ধরা কিংবা হত্যা করার ফলে খুব দ্রুত এসব প্রাণীর বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বন্য প্রাণীর অবৈধ বাণিজ্যের বিষয়টি তাই আমাদের অস্তিত্বের জন্য এক বড় হুমকি।
দেশের ভেতরে যতটা অবাধে ও প্রকাশ্যে বন্য প্রাণীর অবৈধ বেচাকেনা চলছে, তাতে এদের নিয়ে আমাদের উদাসীনতাই ধরা পড়ে। এ দেশে বন্য প্রাণীর ক্রেতা ও ভোক্তার অভাব নেই। এ কারণেই বিক্রির জন্য বাজারে আসে বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। সে জন্য অবৈধ বাণিজ্য প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। বন্য প্রাণীর বিনাশে আমরা যেভাবে অবদান রাখছি, সে ব্যাপারে প্রথমেই আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। বন্য প্রাণী বা এদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেনা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। প্রতিবছর বিমানবন্দর ও সীমান্তে বিপুলসংখ্যক বন্য প্রাণী উদ্ধার হয়। কিন্তু এগুলো তো বিশাল বাণিজ্যের অতি ক্ষুদ্র অংশমাত্র। উল্লিখিত প্রতিবেদনে বন্য প্রাণী বাণিজ্যের সঙ্গে সাবেক জনপ্রতিনিধিদের জড়িত থাকার কথাও উঠে এসেছে। তাঁদের চিহ্নিত করা ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা উচিত। পরিবেশের প্রতি দরদ না থাকলে আমাদের জৈববৈচিত্র্যের সম্পদ হারাতে হারাতে একসময় নিঃশেষ হয়ে যাবে।
অবৈধভাবে বন্য প্রাণী ধরা কিংবা হত্যা করা পরিবেশবিরোধী অপরাধ। এ ধরনের অপরাধী চক্র সক্রিয় রয়েছে দেশের সীমানা ছাড়িয়েও। মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার পর বন্য প্রাণীর কালোবাজারি দুনিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অবৈধ বাণিজ্য হিসেবে বিবেচিত। বর্তমান দুনিয়ায় এই অপরাধ খুব লাভজনক ও আকর্ষণীয়ও বটে। এখন আমাদের সবার উপলব্ধি করা দরকার, বন্য প্রাণীর বিলুপ্তি আমাদের সামষ্টিক ক্ষতি। এ জন্য অবৈধ বাণিজ্য প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
No comments