সরকারের প্রতি খালেদা জিয়া-পানি না দিলে ট্রানজিট বন্ধ করুন by তানভীর সোহেল ও আবদুর রব
তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা না দিলে ভারতকে ট্রানজিট, করিডর ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ যা কিছু দেওয়া হয়েছে, সব বন্ধ করে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। গতকাল সোমবার লালমনিরহাটে এক জনসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা একতরফা বন্ধুত্ব চাই না। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হতে হবে দেওয়া-নেওয়ার ভিত্তিতে।’
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সরকার ভারতের কাছ থেকে কোনো কিছুই আনতে পারছে না। কেবল দিয়ে যাচ্ছে। তিস্তা চুক্তি হয়নি। এক ফোঁটা পানি আসছে না। ফারাক্কা বাঁধও করতে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখন এই সরকারের আমলে টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ভারত একটা দিলে আমরা একটা দেব। সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিবাদ করব। স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে এটা আমাদের করতে হবে।’
সাংবাদিক দম্পতি খুনে সরকার জড়িত: বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার রহস্য সৃষ্টি করছে। তিনি দাবি করেন, ‘খুনি ঠিকই ধরা পড়েছে। কিন্তু সরকারের লোক হওয়ায় তাদের পার করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে সরকার জড়িত। সরকারের অনেক গোপন তথ্য তাদের কাছে ছিল। হত্যার পর কেবল ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে অনেক তথ্য ছিল। দেশে-বিদেশে তথ্য প্রকাশ হওয়ার ভয়ে এই হত্যা হয়েছে।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সরকারকে বেডরুম পাহারা দিতে কে বলেছে?’
১২ মার্চ নতুন কর্মসূচি: বিএনপির চেয়ারপারসন ১২ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগ দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মহাসমাবেশে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হবে, কর্মসূচি দেওয়া হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সরকারকে বলব নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, ইভিএম বাতিল করুন এবং নির্বাচনের আগে সেনা মোতায়েন করুন। তা না হলে আন্দোলনে বিদায় নিতেই হবে, যেতেই হবে। ঠিক করুন কোথায় যাবেন, কোথায় অবস্থান নেবেন।’ তিনি বলেন, ‘এই সরকারের জনাতঙ্ক হয়েছে। মানুষ দেখলে ভয় পায়। এখন মন্ত্রী-সাংসদেরা এলাকায় গেলে জনগণের তাড়া খেয়ে ফিরতে হবে।’
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে এরশাদকেও জবাব দিতে হবে: খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড বিডিআর ও সেনাবাহিনীর মনোবল নষ্ট এবং সীমান্ত অরক্ষিত করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এর বিচার হবে। তিনি বলেন, ‘চাইলে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা যেত। এরশাদও বলেছেন, এটা বন্ধ করা যেত। উনি সরকারের অংশীদার হয়েও তা করেননি। তাই ওনাকেও এর জবাব দিতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে এই জনসভার আয়োজন করে জেলা বিএনপি। আসাদুল হাবিবের সভাপতিত্বে জনসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, আব্দুল মঈন খানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন।
খালেদা জিয়া গত রোববার দুপুরে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বগুড়ার সার্কিট হাউসে রাত যাপন করেন। বগুড়া থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত প্রায় দেড় শ কিলোমিটার পথের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। পথজুড়ে ছিল বিপুলসংখ্যক তোরণ।
লালমনিরহাটে জনসভাস্থলে প্রবেশের আগে প্রায় চার কিলোমিটার পথের দুই পাশ গরুর গাড়ি, ঘোড়া আর কিষান-কিষানির প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো হয়। এ ছাড়া ছিল জিয়াউর রহমানের ম্যুরালও। জনসভা শেষে খালেদা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সরকার ভারতের কাছ থেকে কোনো কিছুই আনতে পারছে না। কেবল দিয়ে যাচ্ছে। তিস্তা চুক্তি হয়নি। এক ফোঁটা পানি আসছে না। ফারাক্কা বাঁধও করতে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখন এই সরকারের আমলে টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ভারত একটা দিলে আমরা একটা দেব। সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিবাদ করব। স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে এটা আমাদের করতে হবে।’
সাংবাদিক দম্পতি খুনে সরকার জড়িত: বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার রহস্য সৃষ্টি করছে। তিনি দাবি করেন, ‘খুনি ঠিকই ধরা পড়েছে। কিন্তু সরকারের লোক হওয়ায় তাদের পার করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে সরকার জড়িত। সরকারের অনেক গোপন তথ্য তাদের কাছে ছিল। হত্যার পর কেবল ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে অনেক তথ্য ছিল। দেশে-বিদেশে তথ্য প্রকাশ হওয়ার ভয়ে এই হত্যা হয়েছে।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সরকারকে বেডরুম পাহারা দিতে কে বলেছে?’
১২ মার্চ নতুন কর্মসূচি: বিএনপির চেয়ারপারসন ১২ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগ দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মহাসমাবেশে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হবে, কর্মসূচি দেওয়া হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সরকারকে বলব নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, ইভিএম বাতিল করুন এবং নির্বাচনের আগে সেনা মোতায়েন করুন। তা না হলে আন্দোলনে বিদায় নিতেই হবে, যেতেই হবে। ঠিক করুন কোথায় যাবেন, কোথায় অবস্থান নেবেন।’ তিনি বলেন, ‘এই সরকারের জনাতঙ্ক হয়েছে। মানুষ দেখলে ভয় পায়। এখন মন্ত্রী-সাংসদেরা এলাকায় গেলে জনগণের তাড়া খেয়ে ফিরতে হবে।’
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে এরশাদকেও জবাব দিতে হবে: খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড বিডিআর ও সেনাবাহিনীর মনোবল নষ্ট এবং সীমান্ত অরক্ষিত করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এর বিচার হবে। তিনি বলেন, ‘চাইলে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা যেত। এরশাদও বলেছেন, এটা বন্ধ করা যেত। উনি সরকারের অংশীদার হয়েও তা করেননি। তাই ওনাকেও এর জবাব দিতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে এই জনসভার আয়োজন করে জেলা বিএনপি। আসাদুল হাবিবের সভাপতিত্বে জনসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, আব্দুল মঈন খানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন।
খালেদা জিয়া গত রোববার দুপুরে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বগুড়ার সার্কিট হাউসে রাত যাপন করেন। বগুড়া থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত প্রায় দেড় শ কিলোমিটার পথের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। পথজুড়ে ছিল বিপুলসংখ্যক তোরণ।
লালমনিরহাটে জনসভাস্থলে প্রবেশের আগে প্রায় চার কিলোমিটার পথের দুই পাশ গরুর গাড়ি, ঘোড়া আর কিষান-কিষানির প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো হয়। এ ছাড়া ছিল জিয়াউর রহমানের ম্যুরালও। জনসভা শেষে খালেদা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
No comments