সদরে অন্দরে-এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন বদলানো দরকার by মোস্তফা হোসেইন
এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নেবে তারা। ভাবনা থাকতে পারে, এখন কিভাবে ভালো পরীক্ষা দেওয়া যায় তাই নিয়ে। সাধারণ মানুষ, অভিভাবক, সবার দৃষ্টি সংগত কারণেই ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে একটু বেশি মাত্রাতেই পড়বে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা কল্পনা করে, সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কিভাবে লেখাপড়া করছে ইত্যাদি জানা দরকার। অথচ হালে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরাঞ্চলে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে। এই কাতারে শামিল হয়েছে ঢাকার নটর ডেম, ভিকারুননিসা, আইডিয়াল স্কুলের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এইচএসসি পরীক্ষার্র্থীরাও। সাধারণত এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কঠোর নিয়মনিষ্ঠার মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শিক্ষার্থীরাও অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় একটু বেশি সচেতন হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের বিনা কারণে সময় অপচয় করার মতো কোনো কাজ করার কথা নয়। এবার সেই ধারণাও ভুল প্রমাণিত হলো। স্পষ্টত দেখা গেল, ঢাকায় তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের মতো প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেছে। তাদের দাবি সংগত। পরীক্ষার রুটিনের অসংগতি দূর করতে হবে। যে কারণে তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
পরীক্ষা শুরু হবে ১ এপ্রিল থেকে। থিওরি পরীক্ষা চলবে মে মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত। তারপর হবে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা। পরীক্ষা গ্রহণের মোট সময় নিয়ে তেমন কোনো আপত্তি ওঠেনি। কথা উঠেছে বিজ্ঞান বিভাগ ও বাণিজ্য বিভাগের রুটিনে বৈষম্য নিয়ে। বাণিজ্য বিভাগের একজন শিক্ষার্থী হিসাববিজ্ঞান পরীক্ষার আগে যেখানে ১৮ দিন বিরতির সুযোগ পাচ্ছে, সেখানে বিজ্ঞান বিভাগের একজন পরীক্ষার্থী পাচ্ছে এক দিন। বিজ্ঞান বিভাগ ও বাণিজ্য বিভাগের মধ্যে পরীক্ষা-সময়ের এই বৈষম্য স্বাভাবিক কারণেই পরীক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। প্রায় একই অবস্থা আরো অন্য ক্ষেত্রেও আছে।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে, একসময় তো আমরা দৈনিক দুই পেপারও পরীক্ষা দিয়েছি। এমনকি পর পর দুদিনও পরীক্ষা হয়েছে। তাও আবার বাংলা, ইংরেজির মতো বিষয়েও। হয়তো এক দিন বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে, পরের দিন আবার ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এখন তো সেই চাপাচাপি নেই। মোটামুটি বিরতি আছে এক পরীক্ষা থেকে আরেক পরীক্ষার মধ্যে। এ ক্ষেত্রে ভাবতে হবে, শিক্ষার্থীদের অভ্যস্ত হওয়ার বিষয়টি। শিক্ষার্থীরা অধিক বিরতি পেয়ে আসছে প্রতিবছর। আবার এ বছরও বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষার্থীরা অধিক বিরতি ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে। তাই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা পাবে না কেন!
তবে সেই সময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ এবং ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে এখনকার মতো প্রযুক্তিগত সুবিধা পাওয়া যেত না। অন্যদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রও থাকত হয়তো প্রতি জেলায় দুয়েকটি করে। যে কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের ব্যয় সংকোচনের বিষয়টিও তৎকালীন সরকারকে চিন্তা করতে হতো। এখন সেই কষ্ট আর করতে হয় না। এখন প্রতি উপজেলায়ই দু-চারটি পরীক্ষা কেন্দ্র আছে। অন্যদিকে পাঁচ-দশ কিলোমিটার দূর থেকেও পরীক্ষা দেওয়া তেমন কষ্টকর হয় না। ফলে পরীক্ষায় লম্বা বিরতির বিষয়টি তেমন উদ্বেগের কারণ না হওয়াটাই উচিত।
এটা হচ্ছে সাদামাটা কথা। কিন্তু যৌক্তিকতা আর পরিবেশ-পরিস্থিতির মধ্যে কিছুটা পার্থক্য তো রয়েছে। পরীক্ষার্থীরা একটা সুযোগ পেয়ে আসছে। তাদের সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করাটা ঠিক নয়। আর যদি করতেই হয়, তাহলে সবার জন্য প্রযোজ্য একটি ধারা তৈরি করতে হবে। যেমন- বিজ্ঞান বিভাগ আর বাণিজ্য কিংবা মানবিক বিভাগের মধ্যে যেন বৈষম্যমূলক আচরণ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কেউ যদি গত বছরের রুটিনের প্রসঙ্গ এনে বলেন, গত বছর বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা এক পরীক্ষা থেকে অন্য পরীক্ষার মাঝখানে বিরতি পেয়েছিল খুবই কম, তাই এবার বিজ্ঞান বিভাগে কম দেওয়া হয়েছে। এটাও মেনে নেওয়া যায় না। কারণ গতবার একটা ভুল করা হয়েছিল বলে এবার আবার আরেকটি ভুল করে তার শোধ নিতে হবে- এটা ঠিক নয়। আবার শিক্ষার্থীরা যদি আগে থেকেই জেনে যেতে পারত যে তাদের পরীক্ষার আগে আগের মতো বিরতি থাকবে না, তাহলেও তাদের মানসিক প্রস্তুতি তেমন হতো। হঠাৎ করে রীতিপ্রথার বাইরে গিয়ে এবং এক বিভাগের সঙ্গে আরেক বিভাগের বৈষম্য তৈরি করে পরীক্ষা গ্রহণ ঠিক হবে বলে মনে করি না। এই রুটিন নিয়ে ক্ষোভ এখন সবখানেই ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থীরা স্মারকলিপিও প্রদান করেছে। তাদের ক্ষোভ এখন অভিভাবকদেরও সংক্রমিত করছে। এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষার আগে তাদের মানসিক এই আঘাত মোটেও কাম্য নয়। তাদের কাজ এ মুহূর্তে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া। সেই কাজে বরাদ্দকৃত সময় থেকেই তাদের রাস্তায় নেমে আসতে হচ্ছে, এটা মোটেও সুবিধাজনক নয়। কারণ এতে তাদের ক্ষতিই বাড়বে। কিন্তু সরকারেরও তাদের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত ছিল। এত দিন হয়ে গেল রুটিন প্রকাশ হয়েছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করায় তিনিও স্পষ্টত জানিয়ে দিলেন, এখনো সরকার এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এ ব্যাপারে সময়ক্ষেপণ করার কোনো যুক্তি আছে বলে মনে করি না। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে।
মানববন্ধন কিংবা মিছিল করে তাদের পড়ালেখার সময় নষ্ট করা কারোই সমর্থন করার কথা নয়। কিন্তু পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে তাদের সামনে এ ছাড়া আর কোনো বিকল্পও নেই। অন্যদিকে এ মুহূর্তে লেখাপড়ার টেবিল ছেড়ে রাস্তায় আন্দোলন করতে নামা দেখেই বোঝা যায়, তাদের উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে।
শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কেন এ কাজটি করলেন, তা ভেবে দেখা দরকার। আর এমন কাজ যে এবারই প্রথম হয়েছে তা নয়। আগেও পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করতে হয়েছে। তখনো শিক্ষার্থীদের পথে নামতে হয়েছে। এটা অবশ্যই অনাকাঙ্ক্ষিত। যেহেতু আগেও তাদের এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে দেখা গেছে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তা পরিবর্তনও করতে হয়েছে। তাই সংগতভাবেই আশা করা গিয়েছিল, বোর্ড কর্তৃপক্ষ অন্তত এবার আরো সতর্ক হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী সময় সমন্বয় করে নিলে তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কারণ থিওরি পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের যে ধারা তৈরি হয়েছে, পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করলে এ ধারাতেও কোনো অসুবিধা হবে না। পরীক্ষার রুটিন অতি দ্রুত পরিবর্তন করে বর্তমান সময়সীমার মধ্যেই পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব। শুধু বিজ্ঞান আর বাণিজ্য বিভাগের বৈষম্য কমিয়ে আনলেই হবে। এতে ব্যয় বাড়ারও কোনো আশঙ্কা নেই।
mhussain_71@yahoo.com
পরীক্ষা শুরু হবে ১ এপ্রিল থেকে। থিওরি পরীক্ষা চলবে মে মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত। তারপর হবে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা। পরীক্ষা গ্রহণের মোট সময় নিয়ে তেমন কোনো আপত্তি ওঠেনি। কথা উঠেছে বিজ্ঞান বিভাগ ও বাণিজ্য বিভাগের রুটিনে বৈষম্য নিয়ে। বাণিজ্য বিভাগের একজন শিক্ষার্থী হিসাববিজ্ঞান পরীক্ষার আগে যেখানে ১৮ দিন বিরতির সুযোগ পাচ্ছে, সেখানে বিজ্ঞান বিভাগের একজন পরীক্ষার্থী পাচ্ছে এক দিন। বিজ্ঞান বিভাগ ও বাণিজ্য বিভাগের মধ্যে পরীক্ষা-সময়ের এই বৈষম্য স্বাভাবিক কারণেই পরীক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। প্রায় একই অবস্থা আরো অন্য ক্ষেত্রেও আছে।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে, একসময় তো আমরা দৈনিক দুই পেপারও পরীক্ষা দিয়েছি। এমনকি পর পর দুদিনও পরীক্ষা হয়েছে। তাও আবার বাংলা, ইংরেজির মতো বিষয়েও। হয়তো এক দিন বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে, পরের দিন আবার ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এখন তো সেই চাপাচাপি নেই। মোটামুটি বিরতি আছে এক পরীক্ষা থেকে আরেক পরীক্ষার মধ্যে। এ ক্ষেত্রে ভাবতে হবে, শিক্ষার্থীদের অভ্যস্ত হওয়ার বিষয়টি। শিক্ষার্থীরা অধিক বিরতি পেয়ে আসছে প্রতিবছর। আবার এ বছরও বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষার্থীরা অধিক বিরতি ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে। তাই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা পাবে না কেন!
তবে সেই সময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ এবং ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে এখনকার মতো প্রযুক্তিগত সুবিধা পাওয়া যেত না। অন্যদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রও থাকত হয়তো প্রতি জেলায় দুয়েকটি করে। যে কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের ব্যয় সংকোচনের বিষয়টিও তৎকালীন সরকারকে চিন্তা করতে হতো। এখন সেই কষ্ট আর করতে হয় না। এখন প্রতি উপজেলায়ই দু-চারটি পরীক্ষা কেন্দ্র আছে। অন্যদিকে পাঁচ-দশ কিলোমিটার দূর থেকেও পরীক্ষা দেওয়া তেমন কষ্টকর হয় না। ফলে পরীক্ষায় লম্বা বিরতির বিষয়টি তেমন উদ্বেগের কারণ না হওয়াটাই উচিত।
এটা হচ্ছে সাদামাটা কথা। কিন্তু যৌক্তিকতা আর পরিবেশ-পরিস্থিতির মধ্যে কিছুটা পার্থক্য তো রয়েছে। পরীক্ষার্থীরা একটা সুযোগ পেয়ে আসছে। তাদের সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করাটা ঠিক নয়। আর যদি করতেই হয়, তাহলে সবার জন্য প্রযোজ্য একটি ধারা তৈরি করতে হবে। যেমন- বিজ্ঞান বিভাগ আর বাণিজ্য কিংবা মানবিক বিভাগের মধ্যে যেন বৈষম্যমূলক আচরণ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কেউ যদি গত বছরের রুটিনের প্রসঙ্গ এনে বলেন, গত বছর বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা এক পরীক্ষা থেকে অন্য পরীক্ষার মাঝখানে বিরতি পেয়েছিল খুবই কম, তাই এবার বিজ্ঞান বিভাগে কম দেওয়া হয়েছে। এটাও মেনে নেওয়া যায় না। কারণ গতবার একটা ভুল করা হয়েছিল বলে এবার আবার আরেকটি ভুল করে তার শোধ নিতে হবে- এটা ঠিক নয়। আবার শিক্ষার্থীরা যদি আগে থেকেই জেনে যেতে পারত যে তাদের পরীক্ষার আগে আগের মতো বিরতি থাকবে না, তাহলেও তাদের মানসিক প্রস্তুতি তেমন হতো। হঠাৎ করে রীতিপ্রথার বাইরে গিয়ে এবং এক বিভাগের সঙ্গে আরেক বিভাগের বৈষম্য তৈরি করে পরীক্ষা গ্রহণ ঠিক হবে বলে মনে করি না। এই রুটিন নিয়ে ক্ষোভ এখন সবখানেই ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থীরা স্মারকলিপিও প্রদান করেছে। তাদের ক্ষোভ এখন অভিভাবকদেরও সংক্রমিত করছে। এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষার আগে তাদের মানসিক এই আঘাত মোটেও কাম্য নয়। তাদের কাজ এ মুহূর্তে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া। সেই কাজে বরাদ্দকৃত সময় থেকেই তাদের রাস্তায় নেমে আসতে হচ্ছে, এটা মোটেও সুবিধাজনক নয়। কারণ এতে তাদের ক্ষতিই বাড়বে। কিন্তু সরকারেরও তাদের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত ছিল। এত দিন হয়ে গেল রুটিন প্রকাশ হয়েছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করায় তিনিও স্পষ্টত জানিয়ে দিলেন, এখনো সরকার এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এ ব্যাপারে সময়ক্ষেপণ করার কোনো যুক্তি আছে বলে মনে করি না। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে।
মানববন্ধন কিংবা মিছিল করে তাদের পড়ালেখার সময় নষ্ট করা কারোই সমর্থন করার কথা নয়। কিন্তু পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে তাদের সামনে এ ছাড়া আর কোনো বিকল্পও নেই। অন্যদিকে এ মুহূর্তে লেখাপড়ার টেবিল ছেড়ে রাস্তায় আন্দোলন করতে নামা দেখেই বোঝা যায়, তাদের উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে।
শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কেন এ কাজটি করলেন, তা ভেবে দেখা দরকার। আর এমন কাজ যে এবারই প্রথম হয়েছে তা নয়। আগেও পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করতে হয়েছে। তখনো শিক্ষার্থীদের পথে নামতে হয়েছে। এটা অবশ্যই অনাকাঙ্ক্ষিত। যেহেতু আগেও তাদের এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে দেখা গেছে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তা পরিবর্তনও করতে হয়েছে। তাই সংগতভাবেই আশা করা গিয়েছিল, বোর্ড কর্তৃপক্ষ অন্তত এবার আরো সতর্ক হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী সময় সমন্বয় করে নিলে তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কারণ থিওরি পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের যে ধারা তৈরি হয়েছে, পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করলে এ ধারাতেও কোনো অসুবিধা হবে না। পরীক্ষার রুটিন অতি দ্রুত পরিবর্তন করে বর্তমান সময়সীমার মধ্যেই পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব। শুধু বিজ্ঞান আর বাণিজ্য বিভাগের বৈষম্য কমিয়ে আনলেই হবে। এতে ব্যয় বাড়ারও কোনো আশঙ্কা নেই।
mhussain_71@yahoo.com
No comments