জানার অধিকার দিবস-কেউ কি কিছু জানতে চায় না? by মশিউল আলম
দারিদ্র্যের সঙ্গে অজ্ঞতার সম্পর্ক নিবিড়—এ কথা অনেক পুরোনো। জানার অধিকার যে মানুষের সবচেয়ে মৌলিক অধিকারগুলোর একটি—এ কথাটি নতুন। খুব বেশি দিন হয়নি, পৃথিবীর উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে জানার অধিকারকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস করা হয়েছে।
আজ পৃথিবীজুড়ে উদ্যাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক জানার অধিকার দিবস (ইন্টারন্যাশনাল রাইট টু নো ডে)। একুশ শতকের দ্বিতীয় বর্ষে বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় এ দিবসটি ঘোষণা করা হয়। আজ বাংলাদেশেও বেশ ঘটা করে পালন করা হচ্ছে এই দিবস।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সেসব গর্বিত দেশের সারিতে দাঁড়িয়ে, যারা প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য জানার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে তথ্য অধিকার আইন পাস করেছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই পাস করেছে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯। সঙ্গে সঙ্গে গঠিত হয়েছে স্বাধীন তথ্য কমিশন। একজন প্রধান তথ্য কমিশনারের নেতৃত্বে তিনজন তথ্য কমিশনার আইনটি বাস্তবায়নের প্রাথমিক ভিত্তিগুলো গড়ে তোলার প্রয়াসে নানা রকম কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। কাজ করছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, টিআইবি, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, ডিনেট প্রভৃতি স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি সংস্থাও। তথ্য অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ আইনটি বাস্তবায়নের সহায়ক নানা উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
তবে আইনটি পাসের পর দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের মধ্যে প্রত্যাশিত রকমের সাড়া লক্ষ করা যায়নি। এটা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার যে আইনটি যখন ছিল না, তখন আইন প্রণয়ন ও পাসের দাবিতে নাগরিক সমাজ ও সংবাদমাধ্যমে যতটা তাগিদ দেখা গেছে, আইন পাসের পর তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তেমনটি কেন দেখা যাচ্ছে না। সংবাদমাধ্যমে তথ্য অধিকার আইনের দাবিতে অনেক লেখালেখি হয়েছে বলে অনেকের মনে এমন ধারণা জন্মেছে যে আইনটি বুঝি সংবাদকর্মীদের জন্য। কিন্তু তা যে নয়, এটি যে তৃণমূলের মানুষসহ সর্বসাধারণের জন্য প্রয়োগযোগ্য আইন—এমন কথাও বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। তথ্য কমিশনার দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তথ্য অধিকার আইন একটি অভিনব আইন। এ আইনের বলে দেশের যেকোনো নাগরিক সরকারি, আধাসরকারি, এমনকি কিছু কিছু বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকেও জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট তথ্য চাইতে পারে এবং যে কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চাওয়া হবে, সেই কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে। তথ্য দিতে অপারগ হলে কেন অপারগ, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। ওই নাগরিক তাতে সন্তুষ্ট না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে পারবেন; সেখানেও তথ্য না পেলে অভিযোগ জানাতে পারবেন তথ্য কমিশনে। তথ্য কমিশন এ বিষয়ে শুনানির আয়োজন করবে, সেখানে কমিশন ব্যাখ্যা চাইবে—কেন ওই নাগরিককে তথ্য দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে তথ্য কমিশন ওই কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেবে তথ্যটি দিতে। আর কমিশন যদি মনে করে, ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য দেওয়া হয়নি বা ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাহলে যে কর্মকর্তা তা করেছেন, তাঁর জরিমানা হবে।
এ রকম অসাধারণ আইনি হাতিয়ার পাওয়ার পরও বাংলাদেশের মানুষ কেন তা ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছে না, সেটা একটা বড় জিজ্ঞাসা। কেউ কি কিছু জানতে চায় না? সরকারি-বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে তথ্য গোপন করার প্রবণতা কি কাউকে পীড়িত করে না? আইনটি সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতার বড্ড অভাব। সরকারের তরফ থেকে আইনটি বাস্তবায়নের বড় কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না। আইন অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্তৃপক্ষের একজন করে তথ্য প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা বাধ্যতামূলক আইন বলবৎ হওয়ার ৬০ দিন বা দুই মাসের মধ্যে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তথ্য কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, গত দুই বছরে সরকারি পর্যায়ে তথ্য প্রদানের কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রায় নয় হাজার, যা হওয়া উচিত এক লাখের বেশি। আরও দুঃখের বিষয় যে এনজিও-সমাজ তথ্য অধিকার আইন পাসের দাবিতে সোচ্চার, তাদের মধ্যেই তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার প্রবণতা কম। প্রায় আড়াই হাজার এনজিওর মধ্যে এ পর্যন্ত তথ্য কর্মকর্তা নিয়েছে মাত্র ৪০০টি এনজিও। অর্থাৎ, তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের একদম গোড়ার প্রস্তুতি এখনো সম্পন্ন হয়নি। তথ্য কর্মকর্তা না থাকলে নাগরিকেরা কার কাছে তথ্য চাইবেন, আর কেই বা তাঁদের তথ্য দেবেন। তাই, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়া তথ্য অধিকার আইনের লঙ্ঘনও বটে।
তথ্য অধিকার আইন পাস হয়েছে জনগণের জন্য। জনগণ এটি ব্যবহার করে ওয়াকিবহাল হবে, দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার দেওয়া হয়েছে সংবিধানে; স্বাধীন মত গঠনের জন্য তথ্য প্রয়োজন, সে তথ্যের অধিকারও দিচ্ছে তথ্য অধিকার আইন। সুতরাং, তাত্ত্বিক দিক থেকে ও আইনগতভাবে বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বের যেকোনো উন্নত গণতান্ত্রিক দেশের মতোই অধিকার ভোগ করছে। কিন্তু সে অধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। ‘আমরা জনগণকে তথ্য অধিকার আইন উপহার দিয়েছি’ বলে সন্তোষ প্রকাশ করাই যথেষ্ট নয়। সরকারের নিজেরও আইনটি মেনে অনেক কাজ করার আছে। এখন জরুরি হলো, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া। ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে অভাব-অভিযোগের শেষ নেই; প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে গোপনীয়তার চর্চাও প্রবল। অথচ এ দেশে গত দুই বছরে তথ্য কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে মাত্র ৬৫টি—এই হতাশাব্যঞ্জক চিত্রের আংশিক কারণ এটাও যে, অনেক দপ্তরেই তথ্য প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেই।
মশিউল আলম: সাংবাদিক।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সেসব গর্বিত দেশের সারিতে দাঁড়িয়ে, যারা প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য জানার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে তথ্য অধিকার আইন পাস করেছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই পাস করেছে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯। সঙ্গে সঙ্গে গঠিত হয়েছে স্বাধীন তথ্য কমিশন। একজন প্রধান তথ্য কমিশনারের নেতৃত্বে তিনজন তথ্য কমিশনার আইনটি বাস্তবায়নের প্রাথমিক ভিত্তিগুলো গড়ে তোলার প্রয়াসে নানা রকম কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। কাজ করছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, টিআইবি, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, ডিনেট প্রভৃতি স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি সংস্থাও। তথ্য অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ আইনটি বাস্তবায়নের সহায়ক নানা উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
তবে আইনটি পাসের পর দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের মধ্যে প্রত্যাশিত রকমের সাড়া লক্ষ করা যায়নি। এটা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার যে আইনটি যখন ছিল না, তখন আইন প্রণয়ন ও পাসের দাবিতে নাগরিক সমাজ ও সংবাদমাধ্যমে যতটা তাগিদ দেখা গেছে, আইন পাসের পর তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তেমনটি কেন দেখা যাচ্ছে না। সংবাদমাধ্যমে তথ্য অধিকার আইনের দাবিতে অনেক লেখালেখি হয়েছে বলে অনেকের মনে এমন ধারণা জন্মেছে যে আইনটি বুঝি সংবাদকর্মীদের জন্য। কিন্তু তা যে নয়, এটি যে তৃণমূলের মানুষসহ সর্বসাধারণের জন্য প্রয়োগযোগ্য আইন—এমন কথাও বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। তথ্য কমিশনার দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তথ্য অধিকার আইন একটি অভিনব আইন। এ আইনের বলে দেশের যেকোনো নাগরিক সরকারি, আধাসরকারি, এমনকি কিছু কিছু বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকেও জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট তথ্য চাইতে পারে এবং যে কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চাওয়া হবে, সেই কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে। তথ্য দিতে অপারগ হলে কেন অপারগ, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। ওই নাগরিক তাতে সন্তুষ্ট না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে পারবেন; সেখানেও তথ্য না পেলে অভিযোগ জানাতে পারবেন তথ্য কমিশনে। তথ্য কমিশন এ বিষয়ে শুনানির আয়োজন করবে, সেখানে কমিশন ব্যাখ্যা চাইবে—কেন ওই নাগরিককে তথ্য দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে তথ্য কমিশন ওই কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেবে তথ্যটি দিতে। আর কমিশন যদি মনে করে, ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য দেওয়া হয়নি বা ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাহলে যে কর্মকর্তা তা করেছেন, তাঁর জরিমানা হবে।
এ রকম অসাধারণ আইনি হাতিয়ার পাওয়ার পরও বাংলাদেশের মানুষ কেন তা ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছে না, সেটা একটা বড় জিজ্ঞাসা। কেউ কি কিছু জানতে চায় না? সরকারি-বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে তথ্য গোপন করার প্রবণতা কি কাউকে পীড়িত করে না? আইনটি সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতার বড্ড অভাব। সরকারের তরফ থেকে আইনটি বাস্তবায়নের বড় কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না। আইন অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্তৃপক্ষের একজন করে তথ্য প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা বাধ্যতামূলক আইন বলবৎ হওয়ার ৬০ দিন বা দুই মাসের মধ্যে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তথ্য কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, গত দুই বছরে সরকারি পর্যায়ে তথ্য প্রদানের কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রায় নয় হাজার, যা হওয়া উচিত এক লাখের বেশি। আরও দুঃখের বিষয় যে এনজিও-সমাজ তথ্য অধিকার আইন পাসের দাবিতে সোচ্চার, তাদের মধ্যেই তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার প্রবণতা কম। প্রায় আড়াই হাজার এনজিওর মধ্যে এ পর্যন্ত তথ্য কর্মকর্তা নিয়েছে মাত্র ৪০০টি এনজিও। অর্থাৎ, তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের একদম গোড়ার প্রস্তুতি এখনো সম্পন্ন হয়নি। তথ্য কর্মকর্তা না থাকলে নাগরিকেরা কার কাছে তথ্য চাইবেন, আর কেই বা তাঁদের তথ্য দেবেন। তাই, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়া তথ্য অধিকার আইনের লঙ্ঘনও বটে।
তথ্য অধিকার আইন পাস হয়েছে জনগণের জন্য। জনগণ এটি ব্যবহার করে ওয়াকিবহাল হবে, দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার দেওয়া হয়েছে সংবিধানে; স্বাধীন মত গঠনের জন্য তথ্য প্রয়োজন, সে তথ্যের অধিকারও দিচ্ছে তথ্য অধিকার আইন। সুতরাং, তাত্ত্বিক দিক থেকে ও আইনগতভাবে বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বের যেকোনো উন্নত গণতান্ত্রিক দেশের মতোই অধিকার ভোগ করছে। কিন্তু সে অধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। ‘আমরা জনগণকে তথ্য অধিকার আইন উপহার দিয়েছি’ বলে সন্তোষ প্রকাশ করাই যথেষ্ট নয়। সরকারের নিজেরও আইনটি মেনে অনেক কাজ করার আছে। এখন জরুরি হলো, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া। ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে অভাব-অভিযোগের শেষ নেই; প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে গোপনীয়তার চর্চাও প্রবল। অথচ এ দেশে গত দুই বছরে তথ্য কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে মাত্র ৬৫টি—এই হতাশাব্যঞ্জক চিত্রের আংশিক কারণ এটাও যে, অনেক দপ্তরেই তথ্য প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেই।
মশিউল আলম: সাংবাদিক।
No comments