চারদিক-একটি কবিতার শুদ্ধ পাঠ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান লেখক অন্নদাশঙ্কর রায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি কবিতা লিখেছিলেন। কবিতার চরণ চারটি নিম্নরূপ: ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।
দিকে দিকে আজ অশ্রুমালা রক্তগঙ্গা বহমান
তবু নাই ভয় হবে হবে জয়, জয় মুজিবুর রহমান।’
অন্নদাশঙ্কর রায় কবিতাটি লিখেছিলেন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরের ‘কিছুদিন আগে কি পরে’। এ সম্পর্কে অন্নদাশঙ্কর রায় স্মৃতিচারণা করেছেন, ‘তারিখটা ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। ভারত দিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতি। আমরা কজন সাহিত্যিক যাচ্ছি সব স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধান পুরুষদের অভিনন্দন জানাতে মুজিবনগরে।...
‘শেখ মুজিবুর রহমান যদিও মুজিবনগর সরকারের শীর্ষে তবু তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎকার মুজিবনগরে গিয়ে সম্ভব হতো না। সেদিন মুজিবনগর থেকে ফিরে আসি তাঁর জন্যে ভয় ভাবনা ও প্রার্থনা নিয়ে। যুদ্ধ তখনো শেষ হয়নি, তার সবে আরম্ভ। যুদ্ধে হেরে গেলে পাকিস্তানিরা কি শেখ সাহেবকে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে দেবে? প্রতিশোধ নেবে না? এর মাস চার-পাঁচ আগে থেকেই তাঁর প্রাণ রক্ষার জন্যে আবেদন বিশ্বময় ধ্বনিত হয়েছিল। তার জন্যে কলকাতার ময়দানে আমরা সাহিত্যিকরাও জমা হয়েছিলুম। তার কিছুদিন আগে কি পরে আমি রচনা করি “যতকাল রবে...”।’ [অন্নদাশঙ্কর রায়: কাঁদো প্রিয় দেশ, প্রথম বাংলাদেশ সংস্করণ, অন্বেষা, ঢাকা ২০১০, পৃষ্ঠা ৫৮-৬০]।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর কবিতাটি অসাধারণ হয়ে ওঠে এবং এর তাৎপর্য নতুন করে পাঠকের কাছে ধরা পড়ে। বিশেষ করে, ‘ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান’ চরণটি অধিকতর বাঙ্ময় হয়ে আসে।
১৯৭৬ সালের একুশকে সামনে রেখেই প্রতিবাদী গল্প-কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। তবে ১৯৭৮ সালের একুশের সংকলন এ লাশ আমরা রাখবো কোথায় সব মহলেই আলোড়ন সৃষ্টি করে। এতেই প্রথম প্রকাশিত হয় অন্নদাশঙ্কর রায়ের সেই চার লাইনের কবিতা আট লাইন হয়ে। শুধু তা-ই নয়, কবিতার শব্দও এতে পরিবর্তিত হয়ে যায়, এমনকি শব্দ আগপাছ হয়েও প্রকাশিত হয়। ১৯৭৮ সালের এ সংকলনে প্রকাশিত কবিতাটি নিম্নরূপ:
‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা
গৌরী যমুনা বহমান।
ততদিন রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।
দিকে দিকে আজ অশ্রু গঙ্গা
রক্ত গঙ্গা বহমান
নাই নাই ভয় হবে হবে জয়
জয় মুজিবুর রহমান।’
[সূত্র:এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়, একুশের সংকলন, ঢাকা ১৯৭৮]
কবিতাটি এখানে প্রায় অনেক ক্ষেত্রেই মূলের অনুষঙ্গী হয়নি। প্রথমত চার চরণকে আট চরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত ‘যতকাল’ হয়েছে ‘যতদিন’ এবং ‘ততকাল’ ‘ততদিন’-এ পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া, মূল কবিতায় ছিল ‘তবু নাই ভয় হবে হবে জয়’ এটা পরিণত হয়েছে রবীন্দ্রচরণে ‘নাই নাই ভয় হবে হবে জয়’।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের কবিতার মূল পাঠ সেদিনে বাংলাদেশে সুলভ ছিল না। কিন্তু এ লাশ আমরা রাখবো কোথায় সংকলনের পাঠ ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে যায়। দেশের দেয়ালে দেয়ালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়ে যে প্রচুর দেয়াললিখন চলতে থাকে, তাতে কবিতাটির এই অশুদ্ধ পাঠই প্রাধান্য লাভ করে।
এমনকি ২০১০ সালে অন্নদাশঙ্কর রায়ের গ্রন্থ কাঁদো প্রিয় দেশ অন্বেষা প্রকাশনী নামের একটি প্রকাশনা সংস্থা থেকে বাংলাদেশ সংস্করণ প্রকাশিত হয়। তাতে ‘প্রসঙ্গ কথা’ শিরোনামে একটি ভূমিকা স্থান পেয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল ঘাতকের হাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নিহত হওয়ার খবরে অন্নদাশঙ্কর রায় ভীষণভাবে মর্মাহত হন, নিন্দাও জানান। তার পরই তিনি সেই বিখ্যাত কবিতাটি রচনা করেন—
‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা
গৌরী যমুনা বহমান
ততদিন রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।
দিকে দিকে আজ অশ্রু গঙ্গা
রক্ত গঙ্গা বহমান
নাই নাই ভয় হবে হবে জয়
জয় মুজিবুর রহমান।’
এখানে অনেকগুলো ভুল তথ্য ও অশুদ্ধ পাঠ ঢুকে পড়েছে। প্রথমত অশুদ্ধ পাঠ সেই ‘যতকাল-ততকাল’-এর জায়গায় ‘যতদিন-ততদিন’ এবং ‘পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা’-এর স্থলে ‘পদ্মা মেঘনা গৌরী যমুনা’ স্থান পেয়েছে। অথচ একই গ্রন্থের ভেতরেই অন্নদাশঙ্কর রায়ের কবিতার মূল পাঠটি রয়েছে।
ভূমিকার সবচেয়ে বড় যে ভুল, তা হলো কবিতাটির রচনাকাল-সম্পর্কিত তথ্য। কবিতাটি লিখিত হয়েছে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরের আগে অথবা পরে। বঙ্গবন্ধুর বহু স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি এখন স্মৃতি জাদুঘর। এই জাদুঘরের দেয়াল ঘেঁষে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর একটি সুদৃশ্য ম্যুরাল। এতে খোদিত রয়েছে এই বিখ্যাত কবিতাটিও, কিন্তু সেখানেও রয়েছে অশুদ্ধ পাঠ:
‘যতকাল রবে পদ্মা মেঘনা
গৌরী যমুনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।’
এখানে ‘যতকাল’, ‘যতকাল’ই আছে এবং ‘ততকাল’ও ‘ততকাল’ই আছে। কিন্তু শব্দ আগপাছ হয়ে গেছে। যেমন: অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেছেন—
‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান’
আর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে লেখা হয়েছে—
‘যতকাল রবে পদ্মা, মেঘনা
গৌরী যমুনা বহমান।’
এখানে পদ্মা’র পরে এসেছে মেঘনা’র নাম, কিন্তু মূল পাঠ অনুযায়ী পদ্মা’র পরে আসবে যমুনা’র নাম।
বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি অক্ষয় হয়ে থাকবে বাঙালির জীবনের ইতিহাসের পাতায়। দেয়ালে উৎকীর্ণ কবিতাটি পাঠ করবে বাঙালি সন্তানেরা।
তাই কবিতাটির শুদ্ধ পাঠ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতেও সংশোধিত হওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।
মোহাম্মদ হাননান
লেখক ও গবেষক।
drhannapp@yahoo.com
তবু নাই ভয় হবে হবে জয়, জয় মুজিবুর রহমান।’
অন্নদাশঙ্কর রায় কবিতাটি লিখেছিলেন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরের ‘কিছুদিন আগে কি পরে’। এ সম্পর্কে অন্নদাশঙ্কর রায় স্মৃতিচারণা করেছেন, ‘তারিখটা ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। ভারত দিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতি। আমরা কজন সাহিত্যিক যাচ্ছি সব স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধান পুরুষদের অভিনন্দন জানাতে মুজিবনগরে।...
‘শেখ মুজিবুর রহমান যদিও মুজিবনগর সরকারের শীর্ষে তবু তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎকার মুজিবনগরে গিয়ে সম্ভব হতো না। সেদিন মুজিবনগর থেকে ফিরে আসি তাঁর জন্যে ভয় ভাবনা ও প্রার্থনা নিয়ে। যুদ্ধ তখনো শেষ হয়নি, তার সবে আরম্ভ। যুদ্ধে হেরে গেলে পাকিস্তানিরা কি শেখ সাহেবকে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে দেবে? প্রতিশোধ নেবে না? এর মাস চার-পাঁচ আগে থেকেই তাঁর প্রাণ রক্ষার জন্যে আবেদন বিশ্বময় ধ্বনিত হয়েছিল। তার জন্যে কলকাতার ময়দানে আমরা সাহিত্যিকরাও জমা হয়েছিলুম। তার কিছুদিন আগে কি পরে আমি রচনা করি “যতকাল রবে...”।’ [অন্নদাশঙ্কর রায়: কাঁদো প্রিয় দেশ, প্রথম বাংলাদেশ সংস্করণ, অন্বেষা, ঢাকা ২০১০, পৃষ্ঠা ৫৮-৬০]।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর কবিতাটি অসাধারণ হয়ে ওঠে এবং এর তাৎপর্য নতুন করে পাঠকের কাছে ধরা পড়ে। বিশেষ করে, ‘ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান’ চরণটি অধিকতর বাঙ্ময় হয়ে আসে।
১৯৭৬ সালের একুশকে সামনে রেখেই প্রতিবাদী গল্প-কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। তবে ১৯৭৮ সালের একুশের সংকলন এ লাশ আমরা রাখবো কোথায় সব মহলেই আলোড়ন সৃষ্টি করে। এতেই প্রথম প্রকাশিত হয় অন্নদাশঙ্কর রায়ের সেই চার লাইনের কবিতা আট লাইন হয়ে। শুধু তা-ই নয়, কবিতার শব্দও এতে পরিবর্তিত হয়ে যায়, এমনকি শব্দ আগপাছ হয়েও প্রকাশিত হয়। ১৯৭৮ সালের এ সংকলনে প্রকাশিত কবিতাটি নিম্নরূপ:
‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা
গৌরী যমুনা বহমান।
ততদিন রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।
দিকে দিকে আজ অশ্রু গঙ্গা
রক্ত গঙ্গা বহমান
নাই নাই ভয় হবে হবে জয়
জয় মুজিবুর রহমান।’
[সূত্র:এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়, একুশের সংকলন, ঢাকা ১৯৭৮]
কবিতাটি এখানে প্রায় অনেক ক্ষেত্রেই মূলের অনুষঙ্গী হয়নি। প্রথমত চার চরণকে আট চরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত ‘যতকাল’ হয়েছে ‘যতদিন’ এবং ‘ততকাল’ ‘ততদিন’-এ পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া, মূল কবিতায় ছিল ‘তবু নাই ভয় হবে হবে জয়’ এটা পরিণত হয়েছে রবীন্দ্রচরণে ‘নাই নাই ভয় হবে হবে জয়’।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের কবিতার মূল পাঠ সেদিনে বাংলাদেশে সুলভ ছিল না। কিন্তু এ লাশ আমরা রাখবো কোথায় সংকলনের পাঠ ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে যায়। দেশের দেয়ালে দেয়ালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়ে যে প্রচুর দেয়াললিখন চলতে থাকে, তাতে কবিতাটির এই অশুদ্ধ পাঠই প্রাধান্য লাভ করে।
এমনকি ২০১০ সালে অন্নদাশঙ্কর রায়ের গ্রন্থ কাঁদো প্রিয় দেশ অন্বেষা প্রকাশনী নামের একটি প্রকাশনা সংস্থা থেকে বাংলাদেশ সংস্করণ প্রকাশিত হয়। তাতে ‘প্রসঙ্গ কথা’ শিরোনামে একটি ভূমিকা স্থান পেয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল ঘাতকের হাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নিহত হওয়ার খবরে অন্নদাশঙ্কর রায় ভীষণভাবে মর্মাহত হন, নিন্দাও জানান। তার পরই তিনি সেই বিখ্যাত কবিতাটি রচনা করেন—
‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা
গৌরী যমুনা বহমান
ততদিন রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।
দিকে দিকে আজ অশ্রু গঙ্গা
রক্ত গঙ্গা বহমান
নাই নাই ভয় হবে হবে জয়
জয় মুজিবুর রহমান।’
এখানে অনেকগুলো ভুল তথ্য ও অশুদ্ধ পাঠ ঢুকে পড়েছে। প্রথমত অশুদ্ধ পাঠ সেই ‘যতকাল-ততকাল’-এর জায়গায় ‘যতদিন-ততদিন’ এবং ‘পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা’-এর স্থলে ‘পদ্মা মেঘনা গৌরী যমুনা’ স্থান পেয়েছে। অথচ একই গ্রন্থের ভেতরেই অন্নদাশঙ্কর রায়ের কবিতার মূল পাঠটি রয়েছে।
ভূমিকার সবচেয়ে বড় যে ভুল, তা হলো কবিতাটির রচনাকাল-সম্পর্কিত তথ্য। কবিতাটি লিখিত হয়েছে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরের আগে অথবা পরে। বঙ্গবন্ধুর বহু স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি এখন স্মৃতি জাদুঘর। এই জাদুঘরের দেয়াল ঘেঁষে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর একটি সুদৃশ্য ম্যুরাল। এতে খোদিত রয়েছে এই বিখ্যাত কবিতাটিও, কিন্তু সেখানেও রয়েছে অশুদ্ধ পাঠ:
‘যতকাল রবে পদ্মা মেঘনা
গৌরী যমুনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।’
এখানে ‘যতকাল’, ‘যতকাল’ই আছে এবং ‘ততকাল’ও ‘ততকাল’ই আছে। কিন্তু শব্দ আগপাছ হয়ে গেছে। যেমন: অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেছেন—
‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান’
আর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে লেখা হয়েছে—
‘যতকাল রবে পদ্মা, মেঘনা
গৌরী যমুনা বহমান।’
এখানে পদ্মা’র পরে এসেছে মেঘনা’র নাম, কিন্তু মূল পাঠ অনুযায়ী পদ্মা’র পরে আসবে যমুনা’র নাম।
বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি অক্ষয় হয়ে থাকবে বাঙালির জীবনের ইতিহাসের পাতায়। দেয়ালে উৎকীর্ণ কবিতাটি পাঠ করবে বাঙালি সন্তানেরা।
তাই কবিতাটির শুদ্ধ পাঠ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতেও সংশোধিত হওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।
মোহাম্মদ হাননান
লেখক ও গবেষক।
drhannapp@yahoo.com
No comments