সুন্নতের বাণী পৌঁছাতে দাওয়াতুল হক by শাহীন হাসনাত
শরিয়তের বিধানাবলির মধ্যে সুন্নত অন্যতম। সুন্নতের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে শরিয়তবেত্তারা বলেছেন, মানুষের নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আজকারসহ যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগি হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) তরিকা, পছন্দ এবং তাঁর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আদায় ও পালন করাই সুন্নত।
অর্থাৎ ইবাদত-বন্দেগিসহ জীবনের সর্বক্ষেত্রে একনিষ্ঠভাবে হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) অনুসরণ করা। হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) অনুসরণেই রয়েছে মানুষের সামগ্রিক কল্যাণ। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, 'হে নবী! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তাহলে আমায় অনুসরণ করো। তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, বড় করুণাময়' (সূরা আল ইমরান : ৩১)।
এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা মানবজাতিকে হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) অনুসরণ ও অনুকরণের জন্য এমন দুটি পুরস্কার ঘোষণা করেছেন, যা মানবজীবনে অতি প্রয়োজন; যা ছাড়া মানবজীবনের কল্যাণের কোনো উপায় নেই। একটি হলো, আল্লাহ মানুষকে ভালোবাসবেন, অন্যটি হলো তার গুনাহ মাফ করে দেবেন। আর এই দুটি প্রাপ্তি আসবে হজরত রাসূলুল্লাহকে (সা.) যথাযথভাবে অনুসরণ-অনুকরণ ও ভালোবাসার মাধ্যমে। হাদিসে আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, 'যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে ভালোবাসল সে যেন আমাকে ভালোবাসল, যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসবে সে বেহেশতে আমারই সানি্নধ্যে থাকবে' (তিরমিজি)।
ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের কাছে হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) কল্যাণবহ সুন্নতের অমিয় বাণী পেঁৗছে দিতে হাকিমুল উম্মত হজরত আশরাফ আলী থানভির (রহ.) বিশিষ্ট খলিফা হজরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক হারদুঈ (রহ.) নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয় মজলিসে দাওয়াতুল হকের কাজ। দাওয়াতুল হক মূলত মানবজীবনে সুন্নতের অনুসরণ, বিস্তার ও অনুশীলনকে কীভাবে যুক্ত করা যায় এ লক্ষ্যে কাজ করছে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এই দাওয়াতি সংগঠনটির অবস্থান তাবলিগ জামাতের পরেই। এ সংগঠনের কাজ ভারতীয় উপমহাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে অন্যান্য মহাদেশেও চলছে।
দাওয়াতুল হকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশেও শুরু হয় এর কার্যক্রম; আলেম সমাজসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশে দাওয়াতুল হকের আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ীর মোহতামিম ও গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের খতিব হজরত মাওলানা মাহমুদুল হাসান। তার নেতৃত্বে সারাদেশে চলছে দাওয়াতুল হকের কার্যক্রম।
এ কাজকে আরও বেগবান ও গতিশীল করতে প্রতিবছরই বাংলাদেশের মারকাজ ঢাকাস্থ যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয় দু'দিনব্যাপী ইজতেমা। ইজতেমায় হজরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক হারদুঈর (রহ.) খলিফাবৃন্দ ও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখ, রাজনীতিক ও শিক্ষাবিদরা উপস্থিত থাকেন।
গতকাল শুরু হওয়া মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের ১৮তম ইজতেমার আজ শেষ দিন। আজ সন্ধ্যায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের কেন্দ্রীয় ইজতেমা। সুন্নতের যথার্থ অনুসরণ এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনই হলো দাওয়াতুল হকের মূল কাজ। এই ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সেই কাজ আরও গতিশীল হোক, আমরা সেই কামনা করি।
এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা মানবজাতিকে হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) অনুসরণ ও অনুকরণের জন্য এমন দুটি পুরস্কার ঘোষণা করেছেন, যা মানবজীবনে অতি প্রয়োজন; যা ছাড়া মানবজীবনের কল্যাণের কোনো উপায় নেই। একটি হলো, আল্লাহ মানুষকে ভালোবাসবেন, অন্যটি হলো তার গুনাহ মাফ করে দেবেন। আর এই দুটি প্রাপ্তি আসবে হজরত রাসূলুল্লাহকে (সা.) যথাযথভাবে অনুসরণ-অনুকরণ ও ভালোবাসার মাধ্যমে। হাদিসে আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, 'যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে ভালোবাসল সে যেন আমাকে ভালোবাসল, যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসবে সে বেহেশতে আমারই সানি্নধ্যে থাকবে' (তিরমিজি)।
ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের কাছে হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) কল্যাণবহ সুন্নতের অমিয় বাণী পেঁৗছে দিতে হাকিমুল উম্মত হজরত আশরাফ আলী থানভির (রহ.) বিশিষ্ট খলিফা হজরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক হারদুঈ (রহ.) নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয় মজলিসে দাওয়াতুল হকের কাজ। দাওয়াতুল হক মূলত মানবজীবনে সুন্নতের অনুসরণ, বিস্তার ও অনুশীলনকে কীভাবে যুক্ত করা যায় এ লক্ষ্যে কাজ করছে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এই দাওয়াতি সংগঠনটির অবস্থান তাবলিগ জামাতের পরেই। এ সংগঠনের কাজ ভারতীয় উপমহাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে অন্যান্য মহাদেশেও চলছে।
দাওয়াতুল হকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশেও শুরু হয় এর কার্যক্রম; আলেম সমাজসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশে দাওয়াতুল হকের আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ীর মোহতামিম ও গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের খতিব হজরত মাওলানা মাহমুদুল হাসান। তার নেতৃত্বে সারাদেশে চলছে দাওয়াতুল হকের কার্যক্রম।
এ কাজকে আরও বেগবান ও গতিশীল করতে প্রতিবছরই বাংলাদেশের মারকাজ ঢাকাস্থ যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয় দু'দিনব্যাপী ইজতেমা। ইজতেমায় হজরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক হারদুঈর (রহ.) খলিফাবৃন্দ ও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখ, রাজনীতিক ও শিক্ষাবিদরা উপস্থিত থাকেন।
গতকাল শুরু হওয়া মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের ১৮তম ইজতেমার আজ শেষ দিন। আজ সন্ধ্যায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের কেন্দ্রীয় ইজতেমা। সুন্নতের যথার্থ অনুসরণ এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনই হলো দাওয়াতুল হকের মূল কাজ। এই ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সেই কাজ আরও গতিশীল হোক, আমরা সেই কামনা করি।
No comments