সোমা হত্যাকাণ্ড-ছয় সালিসকারীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের সোমা আক্তার হত্যাকাণ্ড মীমাংসা করার ঘটনায় ছয় সালিসকারীর বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে এসআই নজরুল উল্লেখ করেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি উলুকান্দি গ্রামের আবদুল দাইয়ানের বাড়িতে স্থানীয় সালিসদার আবদুর রউফ, শাহাদাত হোসেন, বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গাজী আবু তালেব এবং ওই ইউপির তিন সদস্য ইসমাইল হোসেন, মজিবুর রহমান, আবু সিদ্দিকসহ অজ্ঞাত লোকজন গৃহবধূ সোমা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি মীমাংসার জন্য সালিসের আয়োজন করেন। ওই সালিসকারীরা ঘটনাটি আড়াল করে হত্যাকারীদের বাঁচানোর লক্ষ্যে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেন, যা দণ্ডবিধি আইনের ১৮৭, ২০১, ১২০(খ), ২১২, ১০৯, ১৮৬ ও ১৭৬ ধারায় অপরাধ করেছে। অতএব, ওই সালিসকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস আলী বলেন, এসআই নজরুল উলুকান্দি গ্রামে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এবং তদন্ত করে সালিসের সত্যতা পেয়েছেন। এ কারণে এসআই নজরুল নিজে বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ওই মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৪৭।
ওসি জানান, মামলাটি তদন্ত করতে এসআই আনিসুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নিহত সোমার পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিত হয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান সোমা।
ওই ঘটনায় সোমার শ্বশুর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আবদুল কাদিরের হুমকি ও মেঘনা থানার পুলিশের অসহযোগিতায় ১০ দিনেও মামলা করতে পারেনি সোমার পরিবার। পরে ঘটনাটি মীমাংসা করতে ১৪ ফেব্রুয়ারি উলুকান্দি গ্রামে সালিস বসিয়ে কাদিরকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেন সালিসকারীরা।
এ নিয়ে পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোয় ‘হত্যাকাণ্ডের শাস্তি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা জানাতে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শককে (তদন্ত) ২৩ ফেব্রুয়ারি (গত বৃহস্পতিবার) আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি সালিসে অংশ নেওয়া ছয় ব্যক্তিকেও হাজির হতে বলা হয়।
নির্দেশনা অনুসারে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হন ওই ব্যক্তিরা। তাঁদের পক্ষ থেকে আইনজীবী মুশফিকুর রহমান সময় চেয়ে বলেন, সেখানে সালিস হয়নি।
পরে সালিসের মাধ্যমে গৃহবধূ সোমার মৃত্যুর ঘটনার মীমাংসা হয়েছে কি না, তা তদন্ত করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি প্রথম আলোর সোনারগাঁ প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য নিয়ে তদন্ত করে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শককে আগামী ৩ মার্চ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস আলী বলেন, এসআই নজরুল উলুকান্দি গ্রামে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এবং তদন্ত করে সালিসের সত্যতা পেয়েছেন। এ কারণে এসআই নজরুল নিজে বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ওই মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৪৭।
ওসি জানান, মামলাটি তদন্ত করতে এসআই আনিসুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নিহত সোমার পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিত হয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান সোমা।
ওই ঘটনায় সোমার শ্বশুর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আবদুল কাদিরের হুমকি ও মেঘনা থানার পুলিশের অসহযোগিতায় ১০ দিনেও মামলা করতে পারেনি সোমার পরিবার। পরে ঘটনাটি মীমাংসা করতে ১৪ ফেব্রুয়ারি উলুকান্দি গ্রামে সালিস বসিয়ে কাদিরকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেন সালিসকারীরা।
এ নিয়ে পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোয় ‘হত্যাকাণ্ডের শাস্তি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা জানাতে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শককে (তদন্ত) ২৩ ফেব্রুয়ারি (গত বৃহস্পতিবার) আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি সালিসে অংশ নেওয়া ছয় ব্যক্তিকেও হাজির হতে বলা হয়।
নির্দেশনা অনুসারে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হন ওই ব্যক্তিরা। তাঁদের পক্ষ থেকে আইনজীবী মুশফিকুর রহমান সময় চেয়ে বলেন, সেখানে সালিস হয়নি।
পরে সালিসের মাধ্যমে গৃহবধূ সোমার মৃত্যুর ঘটনার মীমাংসা হয়েছে কি না, তা তদন্ত করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি প্রথম আলোর সোনারগাঁ প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য নিয়ে তদন্ত করে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শককে আগামী ৩ মার্চ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
No comments