পবিত্র কোরআনের আলো-হজরত ঈসা রুহুল্লাহকে আল্লাহ নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন
১৫৮. বাল রাফা'আহুল্লাহু ইলাইহি; ওয়া কানাল্লাহু 'আযীযান হাকীমা। ১৫৯. ওয়া ইন মিন আহলিল কিতাবি ইল্লা লা ইউ'মিনান্না বিহী ক্বাবলা মাওতিহি; ওয়া ইয়াওমাল কি্বয়ামাতি ইয়াকূনু 'আলাইহিম্ শাহীদা। ১৬০. ফাবিযুলমিম মিনাল্লাযীনা হা-দূ হার্রামনা আ'লাইহিম ত্বায়্যিবাতিন উহিল্লাত লাহুম ওয়া বিসাদ্দিহিম 'আন সাবীলিল্লাহি কাছীরা।
১৬১. ওয়া আখযিহিমুর্ রিবা ওয়া ক্বাদ নুহূ আ'নহু ওয়া আকলিহিম আমওয়ালান নাছি বিলবাতি্বলি; ওয়া 'আতাদ্না লিলকাফিরীনা মিনহুম আ'যাবান আলীমা।
[সুরা : আন নিসা, আয়াত : ১৫৮-১৬১]
অনুবাদ
১৫৮. বরং আল্লাহ তায়ালা ঈসাকে নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন; আল্লাহ তায়ালা মহাপরাক্রমশালী ও মহাপ্রজ্ঞাময়।
১৫৯. আহলে কিতাবের মধ্যে এমন কেউ থাকবে না, যে মৃত্যুর আগে আল্লাহর প্রেরিত নবী ঈসার ওপর ইমান আনবে না। কিয়ামতের দিন তিনি তো (ঈসা) নিজেই এদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হবেন।
১৬০. ইহুদিদের অত্যাচার ও সীমালঙ্ঘনকারী আচরণের জন্য আমি এমন কিছু জিনিসও তাদের জন্য হারাম করে দিয়েছিলাম, যেটা তাদের জন্য আগে হালাল ছিল। কারণ এরা বহু মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করেছে।
১৬১. এরা সুদ গ্রহণ করে, অথচ এদের সুদ গ্রহণের ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছিল। তারা মানুষের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে। আমি তো ইহুদিদের মধ্যকার এসব অবাধ্যের জন্য কঠিন শাস্তি নির্ধারিত করে রেখেছি।
ব্যাখ্যা
এই আয়াতগুলো আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায় এসেছে। ১৫৮ নম্বর আয়াতে হজরত ঈসা (আ.)-কে আল্লাহ তাঁর নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগের আয়াতে বলা হয়েছে, ঈসাকে হত্যা করা হয়নি, শূলেও চড়ানো হয়নি। তবে তাঁকে আল্লাহ তায়ালা নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন বলতে চতুর্থ আকাশ বা সশরীরে বোঝায় কি না তা নিয়ে চিন্তাভাবনার অবকাশ আছে। ইহুদিরা বিশ্বাস করে, ঈসাকে শূলে চড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে, তাঁর দেহকে হত্যা করা হয়েছে; কিন্তু তাঁর রুহ আল্লাহর কাছে চলে গেছে। মুসলমানদের মধ্যে অনেকে বিশ্বাস করেন, ঈসা (আ.)-কে চতুর্থ আকাশে তুলে নেওয়া হয়েছে। ইহুদিদের মধ্য থেকে দাজ্জালের আগমনের পর তিনি পৃথিবীতে নেমে আসবেন। তবে কোরআন মজিদের আয়াতগুলোর আলোকে এই মত খুব স্পষ্ট নয় বলে অনেকে মনে করেন। চতুর্থ আকাশে ঈসা (আ.)-কে সশরীরে জীবিত অবস্থায় রেখে দেওয়া আল্লাহর পক্ষে সম্ভব। তিনি সব কিছুই পারেন। কিন্তু কোনো ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে হলে আল্লাহর প্রকৃতির নিয়মের ওপর ভিত্তি করে তা করতে হয়। যেহেতু হজরত ঈসা (আ.)-কে চতুর্থ আকাশে সশরীরে জীবিত অবস্থায় রেখে দেওয়ার ব্যাপারে কোরআন মজিদে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই। সুতরাং ঈসা (আ.)-এর অবস্থান সশরীরে জীবিত অবস্থায় নাকি রুহানি অবস্থায়, এ ব্যাপারে ভিন্নমত আছে। আমরা অনেক কিছু জানি না, আল্লাহ তায়ালাই সব কিছু জানেন।
১৬১ নম্বর আয়াতে ইহুদিদের সুদখোরি প্রবণতার সমালোচনা করা হয়েছে। ইহুদিদের ধর্মে সুদ নিষিদ্ধ। তাদের পূর্বপুরুষ পয়গম্বররাও সুদের ব্যাপারে তাদের সতর্ক করে গেছেন। কিন্তু ইহুদিরা সেই প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত সর্বকালে সর্বত্র সুদখোর হিসেবে পরিচিত।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
[সুরা : আন নিসা, আয়াত : ১৫৮-১৬১]
অনুবাদ
১৫৮. বরং আল্লাহ তায়ালা ঈসাকে নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন; আল্লাহ তায়ালা মহাপরাক্রমশালী ও মহাপ্রজ্ঞাময়।
১৫৯. আহলে কিতাবের মধ্যে এমন কেউ থাকবে না, যে মৃত্যুর আগে আল্লাহর প্রেরিত নবী ঈসার ওপর ইমান আনবে না। কিয়ামতের দিন তিনি তো (ঈসা) নিজেই এদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হবেন।
১৬০. ইহুদিদের অত্যাচার ও সীমালঙ্ঘনকারী আচরণের জন্য আমি এমন কিছু জিনিসও তাদের জন্য হারাম করে দিয়েছিলাম, যেটা তাদের জন্য আগে হালাল ছিল। কারণ এরা বহু মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করেছে।
১৬১. এরা সুদ গ্রহণ করে, অথচ এদের সুদ গ্রহণের ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছিল। তারা মানুষের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে। আমি তো ইহুদিদের মধ্যকার এসব অবাধ্যের জন্য কঠিন শাস্তি নির্ধারিত করে রেখেছি।
ব্যাখ্যা
এই আয়াতগুলো আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায় এসেছে। ১৫৮ নম্বর আয়াতে হজরত ঈসা (আ.)-কে আল্লাহ তাঁর নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগের আয়াতে বলা হয়েছে, ঈসাকে হত্যা করা হয়নি, শূলেও চড়ানো হয়নি। তবে তাঁকে আল্লাহ তায়ালা নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন বলতে চতুর্থ আকাশ বা সশরীরে বোঝায় কি না তা নিয়ে চিন্তাভাবনার অবকাশ আছে। ইহুদিরা বিশ্বাস করে, ঈসাকে শূলে চড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে, তাঁর দেহকে হত্যা করা হয়েছে; কিন্তু তাঁর রুহ আল্লাহর কাছে চলে গেছে। মুসলমানদের মধ্যে অনেকে বিশ্বাস করেন, ঈসা (আ.)-কে চতুর্থ আকাশে তুলে নেওয়া হয়েছে। ইহুদিদের মধ্য থেকে দাজ্জালের আগমনের পর তিনি পৃথিবীতে নেমে আসবেন। তবে কোরআন মজিদের আয়াতগুলোর আলোকে এই মত খুব স্পষ্ট নয় বলে অনেকে মনে করেন। চতুর্থ আকাশে ঈসা (আ.)-কে সশরীরে জীবিত অবস্থায় রেখে দেওয়া আল্লাহর পক্ষে সম্ভব। তিনি সব কিছুই পারেন। কিন্তু কোনো ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে হলে আল্লাহর প্রকৃতির নিয়মের ওপর ভিত্তি করে তা করতে হয়। যেহেতু হজরত ঈসা (আ.)-কে চতুর্থ আকাশে সশরীরে জীবিত অবস্থায় রেখে দেওয়ার ব্যাপারে কোরআন মজিদে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই। সুতরাং ঈসা (আ.)-এর অবস্থান সশরীরে জীবিত অবস্থায় নাকি রুহানি অবস্থায়, এ ব্যাপারে ভিন্নমত আছে। আমরা অনেক কিছু জানি না, আল্লাহ তায়ালাই সব কিছু জানেন।
১৬১ নম্বর আয়াতে ইহুদিদের সুদখোরি প্রবণতার সমালোচনা করা হয়েছে। ইহুদিদের ধর্মে সুদ নিষিদ্ধ। তাদের পূর্বপুরুষ পয়গম্বররাও সুদের ব্যাপারে তাদের সতর্ক করে গেছেন। কিন্তু ইহুদিরা সেই প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত সর্বকালে সর্বত্র সুদখোর হিসেবে পরিচিত।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments