নৌদুর্ঘটনা-যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
দেশের নৌযানের বাহার বেড়েছে। বেড়েছে বহরও। বাড়েনি শুধু যাত্রী নিরাপত্তা। প্রতিকূল পরিবেশ মেনে নিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীকে তাই চলতে হয় নৌপথে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চলাচলের প্রধান বাহন নৌযানগুলোর নিয়ন্ত্রক যে কে, তাও বোঝা যায় না সরকারি অবহেলার কারণে।
আসলে হাজার হাজার মানুষের জীবন জিম্মি করে কিছু মানুষের ব্যবসার মানসিকতাই মূলত এই সমস্যাকে জিইয়ে রেখেছে। যে কারণে বহর ও বাহার বাড়ার পরও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি পানিতে চলা যানগুলোর।
সাধারণত বর্ষা এলেই বাংলাদেশের নৌপথে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তে থাকে। কয়েকটি কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যথেচ্ছ যান পরিচালনা, চালকদের অনভিজ্ঞতা কিংবা অবহেলা, যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত বিষয়। এসব কারণে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় শত শত মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ৩০ বছরে পাঁচ শতাধিক দুর্ঘটনায় আট হাজারেরও বেশি মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েক হাজার মানুষ, যাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার কর্মক্ষমতা হারিয়ে পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেখা গেছে, চাঁদপুরের আশপাশে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। আর সেসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত যাত্রীবহন এবং ফিটনেসবিহীন নৌযান চলাচলকেও দায়ী করা হয়। নৌপথে চলাচলে ঝুঁকি বাড়ে রাতে। নৌপথে বিকন বাতি না থাকা, বয়ার ঘাটতি, মার্ক না থাকাকেও বিশেষজ্ঞরা নৌদুর্ঘটনায় অতিরিক্ত মানুষের প্রাণহানির জন্য দায়ী বলে মনে করেন।
যেসব কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে, সেগুলো অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিছু সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে। দুর্ঘটনার কারণগুলো বিশ্লেষণ করলে তাই মনে হয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে সংশ্লিষ্টদের। অধিক মুনাফার লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নেওয়া বন্ধ করতে না পারলে নৌদুর্ঘটনা রোধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
আমাদের এখানে দুর্ঘটনা-পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রেও ব্যর্থতা রয়েছে। নৌযানের বাহার বাড়লেও উদ্ধারকারী জাহাজের স্বল্পতা এবং আধুনিক সুবিধা বাড়েনি। এখনো মনে হয় উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমের দিন শেষ হয়নি। যদিও আরো দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ যোগ হয়েছে, তার পরও তাদের অবস্থা দেখে মনে হয় শতাধিক টনের বড় লঞ্চ যদি ডুবে যায়, তাহলে তাদের পক্ষে টেনে আনা সম্ভব হবে না। এই পরিস্থিতিতে নৌযান উদ্ধারের আধুনিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যাত্রীদের সচেতনতা। যাত্রীরা সচেতন না হলে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা কঠিন। সরকার আইন প্রয়োগে আন্তরিক না হলেও একই অবস্থা চলবে। তাই এই মুহূর্তে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিকতা, সততা, যাত্রী সাধারণের সচেতনতা, নৌযান ব্যবসায়ীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া খুবই জরুরি। সবার সচেতনতার মাধ্যমেই নৌদুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে।
সাধারণত বর্ষা এলেই বাংলাদেশের নৌপথে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তে থাকে। কয়েকটি কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যথেচ্ছ যান পরিচালনা, চালকদের অনভিজ্ঞতা কিংবা অবহেলা, যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত বিষয়। এসব কারণে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় শত শত মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ৩০ বছরে পাঁচ শতাধিক দুর্ঘটনায় আট হাজারেরও বেশি মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েক হাজার মানুষ, যাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার কর্মক্ষমতা হারিয়ে পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেখা গেছে, চাঁদপুরের আশপাশে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। আর সেসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত যাত্রীবহন এবং ফিটনেসবিহীন নৌযান চলাচলকেও দায়ী করা হয়। নৌপথে চলাচলে ঝুঁকি বাড়ে রাতে। নৌপথে বিকন বাতি না থাকা, বয়ার ঘাটতি, মার্ক না থাকাকেও বিশেষজ্ঞরা নৌদুর্ঘটনায় অতিরিক্ত মানুষের প্রাণহানির জন্য দায়ী বলে মনে করেন।
যেসব কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে, সেগুলো অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিছু সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে। দুর্ঘটনার কারণগুলো বিশ্লেষণ করলে তাই মনে হয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে সংশ্লিষ্টদের। অধিক মুনাফার লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নেওয়া বন্ধ করতে না পারলে নৌদুর্ঘটনা রোধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
আমাদের এখানে দুর্ঘটনা-পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রেও ব্যর্থতা রয়েছে। নৌযানের বাহার বাড়লেও উদ্ধারকারী জাহাজের স্বল্পতা এবং আধুনিক সুবিধা বাড়েনি। এখনো মনে হয় উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমের দিন শেষ হয়নি। যদিও আরো দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ যোগ হয়েছে, তার পরও তাদের অবস্থা দেখে মনে হয় শতাধিক টনের বড় লঞ্চ যদি ডুবে যায়, তাহলে তাদের পক্ষে টেনে আনা সম্ভব হবে না। এই পরিস্থিতিতে নৌযান উদ্ধারের আধুনিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যাত্রীদের সচেতনতা। যাত্রীরা সচেতন না হলে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা কঠিন। সরকার আইন প্রয়োগে আন্তরিক না হলেও একই অবস্থা চলবে। তাই এই মুহূর্তে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিকতা, সততা, যাত্রী সাধারণের সচেতনতা, নৌযান ব্যবসায়ীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া খুবই জরুরি। সবার সচেতনতার মাধ্যমেই নৌদুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে।
No comments