নগরবাসীকে কি ময়লা ও দুর্গন্ধময় পানিই খেতে হবে?-ওয়াসা কথা রাখেনি
কেউ কথা রাখেনি’ নামে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত কবিতা আছে। সেই কবিতার নায়ককে যাঁরা কথা দিয়েছেন, তাঁরা কথা রাখেননি। কবিতার সেই নায়কের স্থলে যদি আমরা ঢাকা মহানগরের বাসিন্দাদের প্রতিস্থাপন করি, দেখা যাবে, তারাও পদে পদে কথা না রাখা অর্থাৎ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শিকার।
বিশেষ করে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ মহানগরের সেবা খাতগুলো এখন শোচনীয় অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। কেউ ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে না।
ঢাকা মহানগরে যে পরিমাণ পানির চাহিদা, তা ওয়াসা পূরণ তো করতে পারছেই না, উপরন্তু যে পানি সরবরাহ করে তাও ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত। কোনো কোনো এলাকার পানি এতটাই দুর্গন্ধযুক্ত যে ফুটিয়েও ব্যবহার করা যায় না। ফলে অসহায় নাগরিকেরা ওয়াসার পাম্প থেকে পানি আনার জন্য লাইন দিচ্ছে। অন্যদিকে বোতলজাত পানির বিক্রি বাড়ছে।
ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ নিয়ে কথা উঠলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ওয়াদা করেছিলেন, আগামী বছর (২০১২) সায়েদাবাদে দূষিত পানির প্রাক্-শোধনব্যবস্থা চালু হলে ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ থাকবে না। ইতিমধ্যে প্রাক্-পরিশোধন যন্ত্রও বসানো হয়েছে। এর পরও কেন পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ?
প্রথম আলোতে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত খবর অনুযায়ী মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ওয়াসার পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ পানি পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও বেশি, কোথাও কম। কেবল শোধনযন্ত্রের দোহাই দিয়ে দায় এড়ানো যাবে না। ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ ও ময়লা থাকার প্রধান একটি কারণ এর ট্রাংকগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখা। এ কাজের দায়িত্ব যাদের, কর্তৃপক্ষ কখনো কি তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পেরেছে? কাউকে শাস্তি দিতে পেরেছে?
ওয়াসার এই গাফিলতির পেছনে বোতলজাত পানি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর হাত আছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। তাদের অভিযোগটি একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। বৃহস্পতিবার মহানগরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দাবিতে তারা খালি কলস নিয়ে মিছিল করেছে, ওয়াসা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। আশা করি, এরপর কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙবে এবং নগরবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে মনোযোগী হবে।
ঢাকা মহানগরে যে পরিমাণ পানির চাহিদা, তা ওয়াসা পূরণ তো করতে পারছেই না, উপরন্তু যে পানি সরবরাহ করে তাও ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত। কোনো কোনো এলাকার পানি এতটাই দুর্গন্ধযুক্ত যে ফুটিয়েও ব্যবহার করা যায় না। ফলে অসহায় নাগরিকেরা ওয়াসার পাম্প থেকে পানি আনার জন্য লাইন দিচ্ছে। অন্যদিকে বোতলজাত পানির বিক্রি বাড়ছে।
ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ নিয়ে কথা উঠলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ওয়াদা করেছিলেন, আগামী বছর (২০১২) সায়েদাবাদে দূষিত পানির প্রাক্-শোধনব্যবস্থা চালু হলে ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ থাকবে না। ইতিমধ্যে প্রাক্-পরিশোধন যন্ত্রও বসানো হয়েছে। এর পরও কেন পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ?
প্রথম আলোতে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত খবর অনুযায়ী মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ওয়াসার পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ পানি পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও বেশি, কোথাও কম। কেবল শোধনযন্ত্রের দোহাই দিয়ে দায় এড়ানো যাবে না। ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ ও ময়লা থাকার প্রধান একটি কারণ এর ট্রাংকগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখা। এ কাজের দায়িত্ব যাদের, কর্তৃপক্ষ কখনো কি তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পেরেছে? কাউকে শাস্তি দিতে পেরেছে?
ওয়াসার এই গাফিলতির পেছনে বোতলজাত পানি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর হাত আছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। তাদের অভিযোগটি একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। বৃহস্পতিবার মহানগরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দাবিতে তারা খালি কলস নিয়ে মিছিল করেছে, ওয়াসা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। আশা করি, এরপর কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙবে এবং নগরবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে মনোযোগী হবে।
No comments