প্রজ্ঞাপূর্ণ দিগন্তে by স্বকৃত নোমান
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক আবদুশ শাকুরের জন্মদিন। ১৯৪১ সালের এই দিনে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার রামেশ্বরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা-মা বহু আগে প্রয়াত মকবুল আহমাদ ও ফায়জুনি্নসা। তাদের তিন সন্তানের মধ্যে শাকুর সর্বকনিষ্ঠ। তার ভাই-বোন দু'জনও বহু আগেই প্রয়াত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্সসহ এমএ এবং হল্যান্ডের আইএসএস থেকে অর্থবিজ্ঞানে এমএস পাস করেন তিনি। কর্মজীবনে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপনা, পরে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগদান এবং বাংলাদেশ সরকারের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণের পর পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন লেখালেখিতে।
আবদুশ শাকুর একজন কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, রবীন্দ্র ও সঙ্গীত গবেষক এবং নিসর্গ লেখক। লেখালেখি শুরু করেন তিনি উত্তরকৈশোর থেকেই। প্রথম গল্পগ্রন্থ 'ক্ষীয়মাণ' প্রকাশিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে অধ্যয়নকালেই। ছোটগল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও উপন্যাস রচনার পাশাপাশি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বহু চিরায়ত গ্রন্থও সম্পাদনা করেছেন তিনি। বাংলা-আরবি-ফার্সি-উর্দু ভাষায় ব্যুৎপত্তি ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক আবদুশ শাকুরের গদ্যকে করেছে শাণিত এবং প্রবন্ধকে সারগর্ভ। তার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে_ মহামহিম রবীন্দ্রনাথ, সংগীত সংবিৎ, গোলাপসংগ্রহ, বাঙালির মুক্তির গান, সংগীত সংগীত, ভাষা ও সাহিত্য, পরম্পরাহীন রবীন্দ্রনাথ, গল্পসমগ্র, রম্যসমগ্র, সংলাপ, ভালোবাসা, আত্মকথনে আবদুশ শাকুর : কাঁটাতে গোলাপও থাকে, ভেজাল বাঙালি, রসিক বাঙালি, উত্তর-দক্ষিণ সংলাপ, নির্বাচিত কড়চা, আবদুশ শাকুরের শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ, আবদুশ শাকুরের নির্বাচিত গল্প, রবীন্দ্রনাথকে যতটুকু জানি, কৌতুকনাটক টোটকা ও ঝামেলা ইত্যাদি। লেখক আবদুশ শাকুর একজন গায়কও।
কলকাতার স্বনামধন্য পত্রিকা 'প্রতিক্ষণ' ১৯৮৭ সালের এক সংখ্যায় আবদুশ শাকুরের 'গোলাপ বিসংবাদ' গ্রন্থটির আলোচনা করতে গিয়ে লিখেছে : 'জ্ঞাত ইতিহাসে গোলাপের আবির্ভাবের মুহূর্তটি থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে কীভাবে আজকের বাগানশোভা পুষ্পরানি এতসব প্রকারে রূপান্তরিত হলো তারই এক জ্ঞানগর্ভ অথচ মনোজ্ঞ আলোচনা রয়েছে এতে। ' গোলাপকে কেন্দ্রীয় চরিত্ররূপে পাওয়া যায় তাঁর কোনো কোনো গল্প এবং প্রবন্ধেও। কারণ গোলাপের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেবল পাঠের নয়, চাষেরও। ছোটগল্পে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কারে ভূষিত হন। 'গল্পসমগ্র'র জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০০৩ সালের অমিয়ভূষণ পুরস্কার লাভ করেন। গোলাপসংগ্রহ নামক গবেষণামূলক প্রবন্ধগ্রন্থের জন্য মননশীল শাখায় প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কার পান ২০০৪ সালে। সমগ্র সাহিত্যকর্মের জন্য অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার পান ২০০৮ সালে এবং শ্রুতি সাংস্কৃতিক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান ২০১১ সালে। লেখালেখিতে সদা সক্রিয় আবদুশ শাকুর ক্লান্তিহীনভাবে উন্মোচন করে চলেছেন প্রজ্ঞার নতুন নতুন দিগন্ত।
আবদুশ শাকুর একজন কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, রবীন্দ্র ও সঙ্গীত গবেষক এবং নিসর্গ লেখক। লেখালেখি শুরু করেন তিনি উত্তরকৈশোর থেকেই। প্রথম গল্পগ্রন্থ 'ক্ষীয়মাণ' প্রকাশিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে অধ্যয়নকালেই। ছোটগল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও উপন্যাস রচনার পাশাপাশি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বহু চিরায়ত গ্রন্থও সম্পাদনা করেছেন তিনি। বাংলা-আরবি-ফার্সি-উর্দু ভাষায় ব্যুৎপত্তি ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক আবদুশ শাকুরের গদ্যকে করেছে শাণিত এবং প্রবন্ধকে সারগর্ভ। তার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে_ মহামহিম রবীন্দ্রনাথ, সংগীত সংবিৎ, গোলাপসংগ্রহ, বাঙালির মুক্তির গান, সংগীত সংগীত, ভাষা ও সাহিত্য, পরম্পরাহীন রবীন্দ্রনাথ, গল্পসমগ্র, রম্যসমগ্র, সংলাপ, ভালোবাসা, আত্মকথনে আবদুশ শাকুর : কাঁটাতে গোলাপও থাকে, ভেজাল বাঙালি, রসিক বাঙালি, উত্তর-দক্ষিণ সংলাপ, নির্বাচিত কড়চা, আবদুশ শাকুরের শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ, আবদুশ শাকুরের নির্বাচিত গল্প, রবীন্দ্রনাথকে যতটুকু জানি, কৌতুকনাটক টোটকা ও ঝামেলা ইত্যাদি। লেখক আবদুশ শাকুর একজন গায়কও।
কলকাতার স্বনামধন্য পত্রিকা 'প্রতিক্ষণ' ১৯৮৭ সালের এক সংখ্যায় আবদুশ শাকুরের 'গোলাপ বিসংবাদ' গ্রন্থটির আলোচনা করতে গিয়ে লিখেছে : 'জ্ঞাত ইতিহাসে গোলাপের আবির্ভাবের মুহূর্তটি থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে কীভাবে আজকের বাগানশোভা পুষ্পরানি এতসব প্রকারে রূপান্তরিত হলো তারই এক জ্ঞানগর্ভ অথচ মনোজ্ঞ আলোচনা রয়েছে এতে। ' গোলাপকে কেন্দ্রীয় চরিত্ররূপে পাওয়া যায় তাঁর কোনো কোনো গল্প এবং প্রবন্ধেও। কারণ গোলাপের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেবল পাঠের নয়, চাষেরও। ছোটগল্পে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কারে ভূষিত হন। 'গল্পসমগ্র'র জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০০৩ সালের অমিয়ভূষণ পুরস্কার লাভ করেন। গোলাপসংগ্রহ নামক গবেষণামূলক প্রবন্ধগ্রন্থের জন্য মননশীল শাখায় প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কার পান ২০০৪ সালে। সমগ্র সাহিত্যকর্মের জন্য অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার পান ২০০৮ সালে এবং শ্রুতি সাংস্কৃতিক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান ২০১১ সালে। লেখালেখিতে সদা সক্রিয় আবদুশ শাকুর ক্লান্তিহীনভাবে উন্মোচন করে চলেছেন প্রজ্ঞার নতুন নতুন দিগন্ত।
No comments