ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে ৫ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে গত বুধবার দিবাগত রাতে আগুন লেগে ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে একই পরিবারের পাঁচজন মারা গেছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন: জাবের মোহাম্মদ ইকবাল (৩২), তাঁর স্ত্রী রাবেয়া তামান্না সিদ্দিকী (২৫), ছোট ভাই আবদুল মোমেন মোদাচ্ছির (২০), ভাগনে শাওন (৮) ও গৃহকর্মী রুমি (২৮)। তাঁদের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাত পৌনে তিনটার দিকে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ৬/৩ নম্বর বাড়ির নিচতলার মুদি দোকানে আগুন লাগে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বাড়ির গ্যারেজে রাখা একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে নিচতলায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি গাড়ি আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ভোররাত পৌনে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সূত্র জানায়, আগুন ধরার পর চারতলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার বাসিন্দারা বারান্দা দিয়ে নিচে লাফ দেয়। চারতলার সাতজনের মধ্যে দুজন একইভাবে নিচে লাফ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। ওই বাসার বাকি পাঁচজন ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা যায়। তাদের মধ্যে দুজনের লাশ পাওয়া যায় সিঁড়িতে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নিচতলা ছাড়া আর কোথাও অগ্নিকাণ্ডের কোনো চিহ্ন নেই।
দ্বিতীয় তলার বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী মঞ্জুর এহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগুন লাগার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার লোকজন বারান্দা দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ সময় আমরা চারতলার লোকজনকে ডাকাডাকি করি। তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু তাদের কোনো সাড়াশব্দ পাইনি।’
চারতলা বাড়িটির নিচতলায় মুদি দোকান ছাড়াও একটি বিউটি পারলার রয়েছে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ তলায় ভাড়াটে থাকে। আর ভবনের মালিক পারভেজ মোল্লা থাকেন তৃতীয় তলায়। বাসায় আগুন লাগার পর থেকে তিনি আত্মগোপন করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, বাড়িটির মূল ফটক রাত ১১টায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফটকে লাগানো থাকে একাধিক তালা। বুধবার রাতেও মূল ফটকে একাধিক তালা ছিল। আগুন লাগার পর সিঁড়ি দিয়ে যারা নেমেছিল, তারা তালা ভেঙে বের হতে পারেনি। ফলে সিঁড়িতেই তারা মারা যায়।
পাঁচলাইশ অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, চারতলার ভাড়াটেরা দরজা খুলে সিঁড়ি দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এ কারণে ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে তারা মারা যায়। তিনি জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, আগুন ধরার পর চারতলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার বাসিন্দারা বারান্দা দিয়ে নিচে লাফ দেয়। চারতলার সাতজনের মধ্যে দুজন একইভাবে নিচে লাফ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। ওই বাসার বাকি পাঁচজন ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা যায়। তাদের মধ্যে দুজনের লাশ পাওয়া যায় সিঁড়িতে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নিচতলা ছাড়া আর কোথাও অগ্নিকাণ্ডের কোনো চিহ্ন নেই।
দ্বিতীয় তলার বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী মঞ্জুর এহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগুন লাগার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার লোকজন বারান্দা দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ সময় আমরা চারতলার লোকজনকে ডাকাডাকি করি। তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু তাদের কোনো সাড়াশব্দ পাইনি।’
চারতলা বাড়িটির নিচতলায় মুদি দোকান ছাড়াও একটি বিউটি পারলার রয়েছে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ তলায় ভাড়াটে থাকে। আর ভবনের মালিক পারভেজ মোল্লা থাকেন তৃতীয় তলায়। বাসায় আগুন লাগার পর থেকে তিনি আত্মগোপন করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, বাড়িটির মূল ফটক রাত ১১টায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফটকে লাগানো থাকে একাধিক তালা। বুধবার রাতেও মূল ফটকে একাধিক তালা ছিল। আগুন লাগার পর সিঁড়ি দিয়ে যারা নেমেছিল, তারা তালা ভেঙে বের হতে পারেনি। ফলে সিঁড়িতেই তারা মারা যায়।
পাঁচলাইশ অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, চারতলার ভাড়াটেরা দরজা খুলে সিঁড়ি দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এ কারণে ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে তারা মারা যায়। তিনি জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
No comments