পাকিস্তানকে হারিয়েই শুরু করতে চায় বাংলাদেশ by সনৎ বাবলা,
ইলিয়েভস্কি মহাটেনশনে। বাংলাদেশের কোচ হিসেবে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর অভিজ্ঞতার পরও এই মেসিডোনিয়ান কোচ টেনশনে। কারণ পাকিস্তানের থাকবে প্রতিশোধের নেশা। তাতে আজ বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে হিসেবে গরমিল হয়ে গেলে এত প্রস্তুতি-স্বপ্ন সবই বিফলে যাবে।তারিক লুৎফি থাকলে অবশ্য কিছু ভরসা পেত বাংলাদেশ। মাঠের পারফরম্যান্স যা-ই হোক এই পাকিস্তানি কোচের মুখের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচের আগে বেশ বাগাড়ম্বর করে শেষ পর্যন্ত হেরে বিদায় নিয়েছিলেন ঢাকা থেকে। স্বাভাবিকভাবে তাঁকে নিয়েই উৎসাহী ছিলেন বাংলাদেশি সাংবাদিকরা। তাতে জল ঢেলে দিয়ে হাজির পাকিস্তানের নতুন কোচ জাভিসা মিলোসাবলেভিচ। সার্বিয়ান কোচ পুরো ব্যাপারটাকে আরো ম্যাড়মেড়ে করে দিলেন টুর্নামেন্টে পাকিস্তান ফেভারিট নয় বলে। তবে অধিনায়ক জাফর খান দ্বিমত পোষণ করে ঠেকা দিয়ে জমজমাট করে রাখলেন আজ বাংলাদেশ-পাকিস্তানের উদ্বোধনী ম্যাচকে। দিল্লির জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু এ ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে টেন অ্যাকশন।
জাফর খানের দ্বিমত পোষণ করাটা টিভিওয়ালাদের জন্য বেশ ভালো হলো। উত্তেজনাটা ধরে রাখা গেল। তার চেয়েও যেন বেশি উত্তেজিত বাংলাদেশের কোচ নিকোলা ইলিয়েভস্কি, এই ম্যাচ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে একটি কথাও বের করা যায়নি তাঁর মুখ থেকে, 'কথা হবে ম্যাচের পর।' সংবাদ সম্মেলন শেষে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সামনে অবশ্য মুখ খুলেছেন, 'এ ম্যাচ আমাদের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। একটু এদিক-ওদিক হলে গ্রুপে সমস্যায় পড়ে যাব। অ্যাটাকিং ফুটবল খেলেই আমরা জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে চাই।' এই বি-গ্রুপটা আসলে ভয়ংকর হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বাদে মালদ্বীপ ও নেপাল আছে, যেকোনো দুটো দলেরই সেমিফাইনালে ওঠার ক্ষমতা আছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ক্ষমতার যাচাই হবে আজ মাঠে। বাংলাদেশের কোচ শুরুতে দল নিয়ে দ্বিধায় থাকলেও এখন আস্থা ফিরেছে এবং শিরোপায় চোখ রেখেছেন। তবে ম্যাচের আগে প্র্যাকটিসটা ভালোভাবে হলো না বলে মনে যেন একটু ভয় আছে। সিরি পোর্ট কমপ্লেক্সে শক্ত মাঠে তিনি কঠিন প্র্যাকটিসের ঝুঁকি নেননি। এই মাঠে ইনজুরড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে একাদশ ঠিক করে ফেলেছেন। সেই একাদশে এমিলি-মিঠুনকে একসঙ্গে দেখা নাও যেতে পারে। প্রথম একাদশে এমিলির সঙ্গী হতে পারেন কোমল অথবা অনীক। বদলি স্ট্রাইকার হিসেবে নামবেন মিঠুন। আর মাঝমাঠের ত্রয়ী হলো মামুনুল-প্রাণতোষ-শাহেদ। প্র্যাকটিস ম্যাচে এ রকম অনেক কম্বিনেশনে কোচ খেলিয়েছেন, কিন্তু কোনটা তাঁর উইনিং কম্বিনেশনে দাঁড়াবে বলা মুশকিল। কোচ নিজেও বোধহয় হলফ করে কিছু বলতে পারেন না, হররোজ নানামুখী ফুটবল চিন্তা তাঁর মাথায় ঘুরপাক খায় আর তাতে বিভ্রান্তিতে পড়ে মিডিয়া।
গতকাল থেকে তাঁর টেনশনটা যেন আরো বেড়ে গেল ওই জাভিসা মিলোসাবলেভিচকে দেখে, 'সার্বিয়ানরা সাধারণত ভালো কোচ হয়, সারা বিশ্বে তারা ফুটবল কোচিং করে বেড়ায়। তারা খুব ট্যাকটিক্যাল হয়। তাই আমার চিন্তা হচ্ছে এ ম্যাচ নিয়ে।' তিন সপ্তাহ ধরে এ সার্বিয়ান কোচের অধীনে আছে পাকিস্তান। তাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনে দলে প্রবাসী পাকিস্তানি ফুটবলারের জায়গাটা সংকুচিত হয়ে গেছে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে সাতজন খেললেও এবার আছে মাত্র দুজন_আতিফ বশির ও আদনান। যোগ হয়েছে বেশ কিছু নতুন খেলোয়াড়। তাতেও দলের অবস্থার খুব বেশি হেরফের হয়নি, তাই বড় আশা করে কিছু বলতে পারছেন না নতুন কোচ। তাই বলে হাল ছেড়ে দেবেন, এমনও তো হতে পারে না। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ দুটোর ভিডিও দেখে পাকিস্তানি কোচের বিশ্লেষণ হলো, 'বাংলাদেশ দলের আক্রমণগুলো হয় ডান দিক দিয়ে। সেই পথ আটকে দিলে তারা গোল পাবে না।' এ সার্বিয়ানের কথা শুনে মেসিডোনিয়ান ইলিয়েভস্কি হাসলেন, 'ওই যে বললাম তারা ট্যাকটিক্যাল হয়।' তবে খুব যে চিন্তিত হলেন তা নয়, হয়তো তিনিও পাল্টা চাল নিয়ে হাজির হবেন।
ফুটবল মাঠের অঙ্কের মারপ্যাঁচ নিয়ে ইতিমধ্যে লেগে পড়েছেন দুই কোচ। তাতে ইলিয়েভস্কি জিতলে বাংলাদেশের তরফে সমৃদ্ধ হবে ইতিহাস। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের এই সপ্তম আসরের আগপর্যন্ত বাংলাদেশ তিন ম্যাচ খেলে পেয়েছে দুটো জয় আর একটি ড্র। কোনো হার নেই। হার-না-মানা ইতিহাস সুরক্ষার দায় এখন ইলিয়েভস্কির কাঁধে।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান মুখোমুখি : মোট ১৪ ম্যাচ
জয় ড্র হার
বাংলাদেশ : ৬ ৩ ৫
সাফে বাংলাদেশ : ২ ১ ০
মৃত্যুফাঁদে ফের আশাভঙ্গ
জাফর খানের দ্বিমত পোষণ করাটা টিভিওয়ালাদের জন্য বেশ ভালো হলো। উত্তেজনাটা ধরে রাখা গেল। তার চেয়েও যেন বেশি উত্তেজিত বাংলাদেশের কোচ নিকোলা ইলিয়েভস্কি, এই ম্যাচ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে একটি কথাও বের করা যায়নি তাঁর মুখ থেকে, 'কথা হবে ম্যাচের পর।' সংবাদ সম্মেলন শেষে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সামনে অবশ্য মুখ খুলেছেন, 'এ ম্যাচ আমাদের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। একটু এদিক-ওদিক হলে গ্রুপে সমস্যায় পড়ে যাব। অ্যাটাকিং ফুটবল খেলেই আমরা জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে চাই।' এই বি-গ্রুপটা আসলে ভয়ংকর হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বাদে মালদ্বীপ ও নেপাল আছে, যেকোনো দুটো দলেরই সেমিফাইনালে ওঠার ক্ষমতা আছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ক্ষমতার যাচাই হবে আজ মাঠে। বাংলাদেশের কোচ শুরুতে দল নিয়ে দ্বিধায় থাকলেও এখন আস্থা ফিরেছে এবং শিরোপায় চোখ রেখেছেন। তবে ম্যাচের আগে প্র্যাকটিসটা ভালোভাবে হলো না বলে মনে যেন একটু ভয় আছে। সিরি পোর্ট কমপ্লেক্সে শক্ত মাঠে তিনি কঠিন প্র্যাকটিসের ঝুঁকি নেননি। এই মাঠে ইনজুরড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে একাদশ ঠিক করে ফেলেছেন। সেই একাদশে এমিলি-মিঠুনকে একসঙ্গে দেখা নাও যেতে পারে। প্রথম একাদশে এমিলির সঙ্গী হতে পারেন কোমল অথবা অনীক। বদলি স্ট্রাইকার হিসেবে নামবেন মিঠুন। আর মাঝমাঠের ত্রয়ী হলো মামুনুল-প্রাণতোষ-শাহেদ। প্র্যাকটিস ম্যাচে এ রকম অনেক কম্বিনেশনে কোচ খেলিয়েছেন, কিন্তু কোনটা তাঁর উইনিং কম্বিনেশনে দাঁড়াবে বলা মুশকিল। কোচ নিজেও বোধহয় হলফ করে কিছু বলতে পারেন না, হররোজ নানামুখী ফুটবল চিন্তা তাঁর মাথায় ঘুরপাক খায় আর তাতে বিভ্রান্তিতে পড়ে মিডিয়া।
গতকাল থেকে তাঁর টেনশনটা যেন আরো বেড়ে গেল ওই জাভিসা মিলোসাবলেভিচকে দেখে, 'সার্বিয়ানরা সাধারণত ভালো কোচ হয়, সারা বিশ্বে তারা ফুটবল কোচিং করে বেড়ায়। তারা খুব ট্যাকটিক্যাল হয়। তাই আমার চিন্তা হচ্ছে এ ম্যাচ নিয়ে।' তিন সপ্তাহ ধরে এ সার্বিয়ান কোচের অধীনে আছে পাকিস্তান। তাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনে দলে প্রবাসী পাকিস্তানি ফুটবলারের জায়গাটা সংকুচিত হয়ে গেছে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে সাতজন খেললেও এবার আছে মাত্র দুজন_আতিফ বশির ও আদনান। যোগ হয়েছে বেশ কিছু নতুন খেলোয়াড়। তাতেও দলের অবস্থার খুব বেশি হেরফের হয়নি, তাই বড় আশা করে কিছু বলতে পারছেন না নতুন কোচ। তাই বলে হাল ছেড়ে দেবেন, এমনও তো হতে পারে না। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ দুটোর ভিডিও দেখে পাকিস্তানি কোচের বিশ্লেষণ হলো, 'বাংলাদেশ দলের আক্রমণগুলো হয় ডান দিক দিয়ে। সেই পথ আটকে দিলে তারা গোল পাবে না।' এ সার্বিয়ানের কথা শুনে মেসিডোনিয়ান ইলিয়েভস্কি হাসলেন, 'ওই যে বললাম তারা ট্যাকটিক্যাল হয়।' তবে খুব যে চিন্তিত হলেন তা নয়, হয়তো তিনিও পাল্টা চাল নিয়ে হাজির হবেন।
ফুটবল মাঠের অঙ্কের মারপ্যাঁচ নিয়ে ইতিমধ্যে লেগে পড়েছেন দুই কোচ। তাতে ইলিয়েভস্কি জিতলে বাংলাদেশের তরফে সমৃদ্ধ হবে ইতিহাস। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের এই সপ্তম আসরের আগপর্যন্ত বাংলাদেশ তিন ম্যাচ খেলে পেয়েছে দুটো জয় আর একটি ড্র। কোনো হার নেই। হার-না-মানা ইতিহাস সুরক্ষার দায় এখন ইলিয়েভস্কির কাঁধে।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান মুখোমুখি : মোট ১৪ ম্যাচ
জয় ড্র হার
বাংলাদেশ : ৬ ৩ ৫
সাফে বাংলাদেশ : ২ ১ ০
মৃত্যুফাঁদে ফের আশাভঙ্গ
No comments