পরকীয়া এবং...
পিংকি |
স্বামীকে
ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পিংকি। এ জন্য তার প্রেমিক চুরিকাঘাত
করেছে তাকে। এতে মারা গেছেন পিংকি। এখানেই খান্ত হয়নি তার প্রেমিক সানি।
নিজের গলাও কেটে ফেলেছে সে। তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ফ্লাটের ভিতর
থেকে। সেখানে রক্তের মধ্যে পড়ে ছিল তাদের দেহ। প্রেমিক সানিকে উদ্ধার করে
হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এতে বলা হয়, এখন থেকে ৫ বছর আগের কথা। তখন ভারতের দিল্লিতে পিংকির বয়স ছিল ১৯ বছর। পরিবারের সদস্যরা তাকে পছন্দ করে একজন যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন। এক বছরের মাথায় পিংকি একটি পুত্র সন্তানের মা হন। কিন্তু পরিবার চালাতে তার স্বামী পড়েন খুব সঙ্কটে। এ অবস্থায় সন্তানকে বড় করা প্রধান হয়ে ওঠে পিংকির কাছে। বাড়তি উপার্জনের জন্য তিনি একটি বিউটি পার্লারে কাজ নেন। সেখানে তার জীবন একঘেঁয়ে হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এ বছর ভ্যালেন্টাইস ডে’তে তা যেন ভিন্ন এক গতি পায়। একজন বন্ধু দক্ষিণ দিল্লির দেভলির বাসিন্দা সানির (২৬) সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেন। অল্প সময়ের মধ্যে সানির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়ে যায়। তারা ভালবাসায় জড়িয়ে যান। সম্পর্ক গড়ায় অন্তরঙ্গতায়। পিংকিকে নিজের বাইকে চড়িয়ে পৌঁছে দিতে দেখা যায় সানিকে। পিংকিকে চকোলেট কিনে দেন। ফলে সানির প্রেমে মজে গিয়ে তাকেই বেশি সময় দিতে থাকেন পিংকি।
এই মাখামাখি প্রেমের কাহিনী দীর্ঘসময় গোপন থাকে নি। তাদেরকে অনেক স্থানে একসঙ্গে দেখা যেতে থাকে। বিষয়টি পিংকির স্বামীর নজরেও পড়ে। ফলে পিংকির জীবনে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। দেভলি থেকে তার স্বামী তাকে নিয়ে গত মাসে বাসা পাল্টে চলে যান চিরাগ দিল্লি। সেখানে পিংকিকে তিনি ঘরে থাকার নির্দেশ দেন। বলেন, পরিবারের দেখাশোনা করতে। কিন্তু কোনো বিধিনিষেধ মানতে প্রস্তুত ছিলেন না পিংকির প্রেমিক সানি। পিংকির স্বামী যখন কাজে বেরিয়ে পড়েন, তখন তিনি নতুন বাসায় পিংকির সঙ্গে সাক্ষাত করা শুরু করেন।
এরই মধ্যে পিংকির মধ্যে বোধোদয় হয় যে, তিনি অবৈধ রগরগে সম্পর্ক গড়ে ভুল করেছেন। তার উচিত সানিকে এড়িয়ে চলা এবং তিনি তাই করতে থাকেন। পিংকির এই পরিবর্তিত মানসিকতায় সানি তাকে বার বার ফোন করতে থাকেন। বলেন, স্বামীকে তালাক দিতে। কিন্তু তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন পিংকি। তিনি সানিকে অনুরোধ করেন তাদের সম্পর্কে ইতি টানতে। তা সত্ত্বেও পিংকিকে যেকোনো মূলে নিজের কাছে পেতে মরিয়া হয়ে যান সানি।
এ অবস্থায় গত সপ্তাহে সানিকে হুমকি দেন পিংকি। তিনি বলেন, যদি সানি অকল্পনীয় চিন্তা আরো করতে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে তিনি মামলা করবেন। ফলে শুক্রবার একটি ছুরি সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে সানি প্রবেশ করেন পিংকির বাসায়। পিংকিকে তার সঙ্গে পালিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ফিরে যেতে বলেন পিংকি। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। প্রচণ্ড কথা কাটাকাটি হয়।
ওদিকে পিংকিকে নিজের জীবনে পেতে মরিয়া সানি তার কাছে নানারকম অনুনয় বিনয় করতে থাকেন। সানি জানান, তাকে ছাড়া তার জীবন অর্থহীন। তিনি জীবন শেষ করে দেবেন। কিন্তু পিংকি বার বারই তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। এক পর্যায়ে কাছে থাকা ছুরি বের করে পিংকির বুকে ও পেটে বহুবার আঘাত করেন সানি। এরপর পিংকির মৃতদেহ বিছানার ওপর ফেলে রাখেন। তবে পালান নি সানি। তার পরিবর্তে তিনি নিজের গলা কেটে ফেলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন।
বিষয়টি নজরে পড়ে বাড়িওয়ালা মহিপাল সিংয়ের। তীব্র কথা কাটাকাটির পর তিনি তার স্ত্রীকে পাঠান ওই বাসায় কি ঘটেছে তা দেখতে। মহিপাল বলেন, আমার স্ত্রী ওই ফ্লাটে গিয়ে দেখতে পায় রক্তের বন্যা। তার মধ্যে পড়ে আছেন ওই দু’জন। সে তীব্র জোরে চিৎকার করতে থাকে এবং আমাকে পুলিশে ফোন দিতে বলে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। দু’জনকে উদ্ধার করে এআইআইএমএস ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে পিংকিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আর সানিকে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। তার অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলেছেন, কোনো মন্তব্য করার আগে তারা পরবর্তী ২৪ ঘন্টা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন।
তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এতে বলা হয়, এখন থেকে ৫ বছর আগের কথা। তখন ভারতের দিল্লিতে পিংকির বয়স ছিল ১৯ বছর। পরিবারের সদস্যরা তাকে পছন্দ করে একজন যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন। এক বছরের মাথায় পিংকি একটি পুত্র সন্তানের মা হন। কিন্তু পরিবার চালাতে তার স্বামী পড়েন খুব সঙ্কটে। এ অবস্থায় সন্তানকে বড় করা প্রধান হয়ে ওঠে পিংকির কাছে। বাড়তি উপার্জনের জন্য তিনি একটি বিউটি পার্লারে কাজ নেন। সেখানে তার জীবন একঘেঁয়ে হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এ বছর ভ্যালেন্টাইস ডে’তে তা যেন ভিন্ন এক গতি পায়। একজন বন্ধু দক্ষিণ দিল্লির দেভলির বাসিন্দা সানির (২৬) সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেন। অল্প সময়ের মধ্যে সানির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়ে যায়। তারা ভালবাসায় জড়িয়ে যান। সম্পর্ক গড়ায় অন্তরঙ্গতায়। পিংকিকে নিজের বাইকে চড়িয়ে পৌঁছে দিতে দেখা যায় সানিকে। পিংকিকে চকোলেট কিনে দেন। ফলে সানির প্রেমে মজে গিয়ে তাকেই বেশি সময় দিতে থাকেন পিংকি।
এই মাখামাখি প্রেমের কাহিনী দীর্ঘসময় গোপন থাকে নি। তাদেরকে অনেক স্থানে একসঙ্গে দেখা যেতে থাকে। বিষয়টি পিংকির স্বামীর নজরেও পড়ে। ফলে পিংকির জীবনে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। দেভলি থেকে তার স্বামী তাকে নিয়ে গত মাসে বাসা পাল্টে চলে যান চিরাগ দিল্লি। সেখানে পিংকিকে তিনি ঘরে থাকার নির্দেশ দেন। বলেন, পরিবারের দেখাশোনা করতে। কিন্তু কোনো বিধিনিষেধ মানতে প্রস্তুত ছিলেন না পিংকির প্রেমিক সানি। পিংকির স্বামী যখন কাজে বেরিয়ে পড়েন, তখন তিনি নতুন বাসায় পিংকির সঙ্গে সাক্ষাত করা শুরু করেন।
এরই মধ্যে পিংকির মধ্যে বোধোদয় হয় যে, তিনি অবৈধ রগরগে সম্পর্ক গড়ে ভুল করেছেন। তার উচিত সানিকে এড়িয়ে চলা এবং তিনি তাই করতে থাকেন। পিংকির এই পরিবর্তিত মানসিকতায় সানি তাকে বার বার ফোন করতে থাকেন। বলেন, স্বামীকে তালাক দিতে। কিন্তু তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন পিংকি। তিনি সানিকে অনুরোধ করেন তাদের সম্পর্কে ইতি টানতে। তা সত্ত্বেও পিংকিকে যেকোনো মূলে নিজের কাছে পেতে মরিয়া হয়ে যান সানি।
এ অবস্থায় গত সপ্তাহে সানিকে হুমকি দেন পিংকি। তিনি বলেন, যদি সানি অকল্পনীয় চিন্তা আরো করতে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে তিনি মামলা করবেন। ফলে শুক্রবার একটি ছুরি সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে সানি প্রবেশ করেন পিংকির বাসায়। পিংকিকে তার সঙ্গে পালিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ফিরে যেতে বলেন পিংকি। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। প্রচণ্ড কথা কাটাকাটি হয়।
ওদিকে পিংকিকে নিজের জীবনে পেতে মরিয়া সানি তার কাছে নানারকম অনুনয় বিনয় করতে থাকেন। সানি জানান, তাকে ছাড়া তার জীবন অর্থহীন। তিনি জীবন শেষ করে দেবেন। কিন্তু পিংকি বার বারই তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। এক পর্যায়ে কাছে থাকা ছুরি বের করে পিংকির বুকে ও পেটে বহুবার আঘাত করেন সানি। এরপর পিংকির মৃতদেহ বিছানার ওপর ফেলে রাখেন। তবে পালান নি সানি। তার পরিবর্তে তিনি নিজের গলা কেটে ফেলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন।
বিষয়টি নজরে পড়ে বাড়িওয়ালা মহিপাল সিংয়ের। তীব্র কথা কাটাকাটির পর তিনি তার স্ত্রীকে পাঠান ওই বাসায় কি ঘটেছে তা দেখতে। মহিপাল বলেন, আমার স্ত্রী ওই ফ্লাটে গিয়ে দেখতে পায় রক্তের বন্যা। তার মধ্যে পড়ে আছেন ওই দু’জন। সে তীব্র জোরে চিৎকার করতে থাকে এবং আমাকে পুলিশে ফোন দিতে বলে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। দু’জনকে উদ্ধার করে এআইআইএমএস ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে পিংকিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আর সানিকে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। তার অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলেছেন, কোনো মন্তব্য করার আগে তারা পরবর্তী ২৪ ঘন্টা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন।
No comments