ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য তহবিল কমছে, ২০১৯ সালের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি by অমৃতা নায়ক দত্ত
দ্বিতীয়
মোদি সরকার শুক্রবার যখন তাদের প্রথম বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছে, ভারতের
সেনাবাহিনী সে সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে
তারা বাজেটের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের আগে অস্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানির উপর
আরোপিত কর এবং বাহিনীর বেতন ও পেনশান সংক্রান্ত খরচের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়।
সেনাবাহিনী মন্ত্রণালয়কে বলেছে যে, এইসব ব্যয় তাদের বাজেটকে কমিয়ে দেয়, এবং তাদের অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার সক্ষমতা ব্যাহত করে, অথচ বাহিনীর আধুনিকায়ন ও বিদ্যমান সরঞ্জামের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেটা অতিব জরুরি। সূত্র দ্য প্রিন্টকে এ তথ্য জানিয়েছে।
তিন বাহিনীকেই এখন তাদের প্রতিরক্ষা ক্রয়ের উপর কাস্টমস শুল্ক ও জিএসটি পরিশোধ করতে হবে। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে যে কর পুনর্গঠন করা হয়, সেখানে নানা ধরনের কর ছাড় দেয়া হলেও বেসিক কাস্টমস শুল্কের ব্যাপারে কিছু করা হয়নি।
সূত্র মতে, সেনাবাহিনী বলেছে যে, অতিরিক্ত যে ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি আরোপ করা হয়েছে, সেটা তাদের ক্রয় প্রক্রিয়াকে আরও ব্যাহত করছে।
‘নতুন ক্রয়ের সুযোগ খুবই সামান্য’
চিফ অব ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ হিসেবে বাজেটের বিষয়টি ঘনিষ্টভাবে দেখেছেন লে. জেনারেল সাতিশ দুয়া। গত বছরের অক্টোবরে তিনি অবসরে যান। তিনি বলেছেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জামগুলোকে করমুক্ত করা উচিত, কারণ এগুলো আনা হয় জাতীয় নিরাপত্তার জন্য।
তিনি দ্য প্রিন্টকে বলেন, “কয়েক বছর আগে, প্রতিরক্ষা ক্রয়ের উপর কাস্টমস শুল্ক আরোপ করা হয়। এরপর যুক্ত হয় জিএসটি। সশস্ত্র বাহিনী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নয়, তাই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের উপর সরকারের এই করগুলো আরোপ করা উচিত নয়”।
তিনি আরও বলেন, “এই করগুলো প্রতিরক্ষা বাজেটের বড় একটা অংশ খেয়ে ফেলে এবং সেনাবাহিনী যখন নতুন অস্ত্র ও সরঞ্জাম কিনতে চায়, তখন তারা আর সেটা কিনতে পারে না, সে কারণে প্রতিরক্ষার ব্যাপারে দেশের প্রস্তুতিও বিঘ্নিত হচ্ছে”।
সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব শশিকান্ত শর্মা বলেন, সাধারণত বাজেট যখন তৈরি করা হয়, তখন অধিকাংশ অতিরিক্ত ব্যয় ও শুল্কের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়।
কর্মকর্তাদের মতে, তহবিল ঘাটতির কারণে প্রস্তাবের অগ্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে সেনাবাহিনী তাদের ঘাটতি পূরণের দিকে, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দিকে এবং আধুনিকায়নের দিকে নজর দিতে পারে না।
অধিক জনবলের কারণের সেনাবাহিনী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
২০১৯-২০ সালের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট ঘোষণা করা হয় গেলো ফেব্রুয়ারিতে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর পুঁজি ও রাজস্ব ব্যয় বাবদ এতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৩.০২ লাখ কোটি রুপি। এটা পুরো বাজেটের ১০ শতাংশ। এই পুরো বাজেটের আকার ছিল ২৭.৮৪ লাখ কোটি রুপি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে, প্রতিরক্ষা রাজস্ব ও মূলধন বাবদ ২.৮৭ লাখ কোটি রুপি ব্যয় করা হয়।
এই সামগ্রিক বরাদ্দে প্রতিরক্ষা বাজেটের দুটো দিককে বাদ দেয়া হয়েছে: পেনশান, যেটা প্রতিরক্ষা বাজেটের ২৫ শতাংশ, এবং অন্যান্য ব্যয়।
সেনা সূত্র জানিয়েছে, জনবলের বেতনের কারণে তাদের বাজেটের উপর সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে, কারণ নৌবাহিনী বা বিমান বাহিনীর তুলনায় তাদের জনবল অনেক বেশি। সেনাবাহিনীর জনবল রয়েছে প্রায় ১৩ লাখ, যেখানে বিমান বাহিনীর রয়েছে ১.৫ লাখ এবং নৌবাহিনীর রয়েছে ৫০,০০০।
সেনাবাহিনী মন্ত্রণালয়কে বলেছে যে, এইসব ব্যয় তাদের বাজেটকে কমিয়ে দেয়, এবং তাদের অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার সক্ষমতা ব্যাহত করে, অথচ বাহিনীর আধুনিকায়ন ও বিদ্যমান সরঞ্জামের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেটা অতিব জরুরি। সূত্র দ্য প্রিন্টকে এ তথ্য জানিয়েছে।
তিন বাহিনীকেই এখন তাদের প্রতিরক্ষা ক্রয়ের উপর কাস্টমস শুল্ক ও জিএসটি পরিশোধ করতে হবে। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে যে কর পুনর্গঠন করা হয়, সেখানে নানা ধরনের কর ছাড় দেয়া হলেও বেসিক কাস্টমস শুল্কের ব্যাপারে কিছু করা হয়নি।
সূত্র মতে, সেনাবাহিনী বলেছে যে, অতিরিক্ত যে ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি আরোপ করা হয়েছে, সেটা তাদের ক্রয় প্রক্রিয়াকে আরও ব্যাহত করছে।
‘নতুন ক্রয়ের সুযোগ খুবই সামান্য’
চিফ অব ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ হিসেবে বাজেটের বিষয়টি ঘনিষ্টভাবে দেখেছেন লে. জেনারেল সাতিশ দুয়া। গত বছরের অক্টোবরে তিনি অবসরে যান। তিনি বলেছেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জামগুলোকে করমুক্ত করা উচিত, কারণ এগুলো আনা হয় জাতীয় নিরাপত্তার জন্য।
তিনি দ্য প্রিন্টকে বলেন, “কয়েক বছর আগে, প্রতিরক্ষা ক্রয়ের উপর কাস্টমস শুল্ক আরোপ করা হয়। এরপর যুক্ত হয় জিএসটি। সশস্ত্র বাহিনী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নয়, তাই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের উপর সরকারের এই করগুলো আরোপ করা উচিত নয়”।
তিনি আরও বলেন, “এই করগুলো প্রতিরক্ষা বাজেটের বড় একটা অংশ খেয়ে ফেলে এবং সেনাবাহিনী যখন নতুন অস্ত্র ও সরঞ্জাম কিনতে চায়, তখন তারা আর সেটা কিনতে পারে না, সে কারণে প্রতিরক্ষার ব্যাপারে দেশের প্রস্তুতিও বিঘ্নিত হচ্ছে”।
সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব শশিকান্ত শর্মা বলেন, সাধারণত বাজেট যখন তৈরি করা হয়, তখন অধিকাংশ অতিরিক্ত ব্যয় ও শুল্কের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়।
কর্মকর্তাদের মতে, তহবিল ঘাটতির কারণে প্রস্তাবের অগ্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে সেনাবাহিনী তাদের ঘাটতি পূরণের দিকে, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দিকে এবং আধুনিকায়নের দিকে নজর দিতে পারে না।
অধিক জনবলের কারণের সেনাবাহিনী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
২০১৯-২০ সালের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট ঘোষণা করা হয় গেলো ফেব্রুয়ারিতে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর পুঁজি ও রাজস্ব ব্যয় বাবদ এতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৩.০২ লাখ কোটি রুপি। এটা পুরো বাজেটের ১০ শতাংশ। এই পুরো বাজেটের আকার ছিল ২৭.৮৪ লাখ কোটি রুপি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে, প্রতিরক্ষা রাজস্ব ও মূলধন বাবদ ২.৮৭ লাখ কোটি রুপি ব্যয় করা হয়।
এই সামগ্রিক বরাদ্দে প্রতিরক্ষা বাজেটের দুটো দিককে বাদ দেয়া হয়েছে: পেনশান, যেটা প্রতিরক্ষা বাজেটের ২৫ শতাংশ, এবং অন্যান্য ব্যয়।
সেনা সূত্র জানিয়েছে, জনবলের বেতনের কারণে তাদের বাজেটের উপর সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে, কারণ নৌবাহিনী বা বিমান বাহিনীর তুলনায় তাদের জনবল অনেক বেশি। সেনাবাহিনীর জনবল রয়েছে প্রায় ১৩ লাখ, যেখানে বিমান বাহিনীর রয়েছে ১.৫ লাখ এবং নৌবাহিনীর রয়েছে ৫০,০০০।
No comments