বাংলাদেশ বন্ধু হলেও তিস্তার জল দেওয়া সম্ভব নয়: মমতা
তিস্তা
নিয়ে রফাসূত্র মিলবেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার পাশে
দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে এসেছিলেন ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজি করাতে পারেননি৷ বাংলাদেশকে তিস্তার জল না দেওয়ার
ব্যাপারে এখনও অনড় রয়েছেন মমতা৷ মঙ্গলবার বিধানসভায় সেকথা ফের স্পষ্ট
করলেন তিনি৷ একইসঙ্গে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করলেন পর্যাপ্ত ইলিশ দেওয়ার৷
মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক রহিমা বিবির এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি মাছে ভাতে থাকতে ভালবাসে। কিন্তু বাংলাদেশকে আমরা তিস্তার জল দিতে পারিনি। তাই ওরা আমাদের ইলিশ মাছ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ওরা আমাদের বন্ধু দেশ। কিন্তু জল নেই তো কোথা থেকে দেব?’
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আমরা ইলিশ মাছ নিয়ে রিসার্চ সেন্টার করেছি। আমাদের বাংলায় এখন ইলিশ মাছের অভাব নেই। আগামী দিনে রিসার্চ শেষ হলে গোটা দেশে আমরা ইলিশ সরবরাহ করতে পারব। দু-এক বছরের মধ্যে আর বাইরে থেকে আনতে হবে না মাছ।’
উল্লেখ্য, ঢাকা সফরে গিয়ে ২০১১-য় তিস্তা ও স্থলসীমান্ত চুক্তি রূপায়ণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। এর পরে ২০১৪-য় শপথ নিয়েই ঢাকা সফরে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, আগের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি তিনি রূপায়ণ করবেন। সুষ্ঠু ভাবে স্থলসীমান্ত চুক্তি সম্পন্ন হলেও মূলত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তিতে তিস্তা চুক্তি নিয়ে এগোতে পারেনি দিল্লি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তিস্তায় পর্যাপ্ত জলের অভাবে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে কৃষিজীবীরা এমনিতেই সঙ্কটে। বাংলাদেশকে বাড়তি জল দেওয়ার আগে যথার্থ সমীক্ষা করে এ রাজ্যের কৃষকদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ভোটে শেখ হাসিনা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু ভোটের আগে তিস্তা চুক্তি না-হওয়ার বিষয়টি তারা আর খুঁচিয়ে তোলেনি। বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা জানিয়েছিলেন, তিস্তা অববাহিকা অঞ্চলগুলিতে চাষের জন্য জলের বিকল্প ব্যবস্থা করায় নজর দিয়েছিল হাসিনা সরকার। সেখানকার নদীগুলিকে ড্রেজিং করায় জলের প্রবাহ বেড়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিস্তার বাড়তি জল ছাড়াই স্বাভাবিক কৃষিকাজ চালানো যাচ্ছে। তাই এখনই চুক্তি নিয়ে চাপাচাপি করা হচ্ছে না। কিন্তু এটাও ঠিক, এত কিছুর পরও বাংলাদেশের কাছে এখনও বড় প্রত্যাশা তিস্তার জল৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উত্তরবঙ্গের কৃষকদের কোনওভাবেই ক্ষুন্ন করতে চান না মমতা। দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির কৃষকরা তিস্তা নদীর জলের উপর অনেকটাই ভরসা করে বেঁচে থাকেন। তাই তিস্তা চুক্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর অমত৷
মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক রহিমা বিবির এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি মাছে ভাতে থাকতে ভালবাসে। কিন্তু বাংলাদেশকে আমরা তিস্তার জল দিতে পারিনি। তাই ওরা আমাদের ইলিশ মাছ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ওরা আমাদের বন্ধু দেশ। কিন্তু জল নেই তো কোথা থেকে দেব?’
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আমরা ইলিশ মাছ নিয়ে রিসার্চ সেন্টার করেছি। আমাদের বাংলায় এখন ইলিশ মাছের অভাব নেই। আগামী দিনে রিসার্চ শেষ হলে গোটা দেশে আমরা ইলিশ সরবরাহ করতে পারব। দু-এক বছরের মধ্যে আর বাইরে থেকে আনতে হবে না মাছ।’
উল্লেখ্য, ঢাকা সফরে গিয়ে ২০১১-য় তিস্তা ও স্থলসীমান্ত চুক্তি রূপায়ণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। এর পরে ২০১৪-য় শপথ নিয়েই ঢাকা সফরে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, আগের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি তিনি রূপায়ণ করবেন। সুষ্ঠু ভাবে স্থলসীমান্ত চুক্তি সম্পন্ন হলেও মূলত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তিতে তিস্তা চুক্তি নিয়ে এগোতে পারেনি দিল্লি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তিস্তায় পর্যাপ্ত জলের অভাবে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে কৃষিজীবীরা এমনিতেই সঙ্কটে। বাংলাদেশকে বাড়তি জল দেওয়ার আগে যথার্থ সমীক্ষা করে এ রাজ্যের কৃষকদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ভোটে শেখ হাসিনা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু ভোটের আগে তিস্তা চুক্তি না-হওয়ার বিষয়টি তারা আর খুঁচিয়ে তোলেনি। বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা জানিয়েছিলেন, তিস্তা অববাহিকা অঞ্চলগুলিতে চাষের জন্য জলের বিকল্প ব্যবস্থা করায় নজর দিয়েছিল হাসিনা সরকার। সেখানকার নদীগুলিকে ড্রেজিং করায় জলের প্রবাহ বেড়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিস্তার বাড়তি জল ছাড়াই স্বাভাবিক কৃষিকাজ চালানো যাচ্ছে। তাই এখনই চুক্তি নিয়ে চাপাচাপি করা হচ্ছে না। কিন্তু এটাও ঠিক, এত কিছুর পরও বাংলাদেশের কাছে এখনও বড় প্রত্যাশা তিস্তার জল৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উত্তরবঙ্গের কৃষকদের কোনওভাবেই ক্ষুন্ন করতে চান না মমতা। দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির কৃষকরা তিস্তা নদীর জলের উপর অনেকটাই ভরসা করে বেঁচে থাকেন। তাই তিস্তা চুক্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর অমত৷
No comments