বৃটেনে এবার নিষিদ্ধ সেই শামীমার স্বামী
বহুল
আলোচিত আইএস বধু বলে পরিচিত শামীমা বেগমের জিহাদী স্বামী, আইএস যোদ্ধা
ইয়াগো রিডিজক’কে নিষিদ্ধ করেছে বৃটেন। তাকে বৃটেনের জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি
হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার নাম উঠেছে বর্জনের তালিকায়। অর্থাৎ বৃটেনে
যারা প্রবেশ করতে পারবেন বা থাকতে পারবেন তাদের নামের মধ্যে তার নাম থাকবে
না। শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে এমন সিদ্ধান্ত
নিয়েছেন বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। বৃটিশ একটি ট্যাবলয়েড
পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এ খবর দেয়া হয়েছে।
শামীমা বেগম বৃটেনে জন্মগ্রহণকারী বৃটিশ নাগরিক। তিনি ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে পালিয়ে চলে যান সিরিয়ায়।
সেখানে গিয়ে যোগ দেন জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসে। বিয়ে করেন ডাচ নাগরিক ইয়াগো রিডিজক’কে। এরপর জন্ম হয় তাদের তিনটি সন্তান। তারা সবাই মারা গেছে। সর্বশেষ সন্তান জন্ম নেয় এ বছরে কিছুদিন আগে। তার আগেই শামীমা বৃটেনে ফেরার অনুমতি চান। তার দাবি, তার সন্তানের জন্য তাকে বৃটেনে ফিরতে দেয়া উচিত। কিন্তু একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়ার কয়েক দিন পরে বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার ঘোষণা দেন। শামীমার ছেলের নাম রাখা হয় জেরাহ। বৃটিশ আইন অনুযায়ী, বৃটিশ নাগরিক মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়ায় সেও বৃটিশ বলে স্বীকৃত হয়। কিন্তু জন্মের কয়েক দিনের মধ্যেই নিউমোনিয়ায় মারা যায় শামীমার সেই ছেলেটিও। এমন অবস্থায় শামীমাকে নিয়ে নিজের দেশ নেদারল্যান্ডে ফেরার প্রত্যয় ঘোষণা করেন ইয়াগো রিডিজক। কিন্তু সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দেয়ার কারণে সেখানে গত জুলাই মাসে অনুপস্থিতিতে তাকে ৬ মাসের জেল দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে ইয়াগো রিডিজক অবস্থান করছেন সিরিয়ায় একটি জেলে। তার সঙ্গে ওই জেলের ওই সেলে অবস্থান করছেন আরো ২০ জন আইএস যোদ্ধা। অন্যদিকে শামীমা রয়েছেন একটি শরণার্থী শিবিরে। শামীমার স্বামীকে বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ নিষিদ্ধ করাকে শনিবার দিবাগত রাতে খুবই ভাল খবর বলে আখ্যায়িত করেছেন কনজার্ভেটিভ দলের এমপি ফিলিপ হলোবোন। তিনি বলেছেন, আমাদের এ বিষয়ে আরো নজর দেয়া উচিত। এমন হাজার হাজার আইএস যোদ্ধা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইউরোপে ফিরবে। এতে হুমকি দেখা দেবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের অক্টোবরে নেদারল্যান্ডের আর্নহেম থেকে সিরিয়ায় পাড়ি জমায় শামীমার স্বামী ইয়াগো। পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব লন্ডনের বাসা থেকে পালান শামীমা। তিনি বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের আহমেদ আলীর মেয়ে। তবে কোনোদিন তিনি বাংলাদেশ সফরে আসেন নি। তার কাছে বাংলাদেশী কোনো পাসপোর্টও নেই বলে দাবি শামীমার। তিনি সিরিয়া পৌঁছার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে বিয়ে করেন ইয়াগোকে। তিনি শনিবার দ্য টাইমসকে দেয়া সাক্ষাতকারে শামীমাকে একজন যথার্থ স্ত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। শামীমা তার সন্তানদের হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে আছেন। এ সম্পর্কে ইয়াগো বলেছেন, আমাদের এসব সন্তানকে আমরা খুব ভালবাসি। তারা নেই, এটা এক বিভীষিকা। এটা আমাদের জীবনের সবচেয়ে কষ্টের বিষয়।
শামীমা বেগম বৃটেনে জন্মগ্রহণকারী বৃটিশ নাগরিক। তিনি ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে পালিয়ে চলে যান সিরিয়ায়।
সেখানে গিয়ে যোগ দেন জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসে। বিয়ে করেন ডাচ নাগরিক ইয়াগো রিডিজক’কে। এরপর জন্ম হয় তাদের তিনটি সন্তান। তারা সবাই মারা গেছে। সর্বশেষ সন্তান জন্ম নেয় এ বছরে কিছুদিন আগে। তার আগেই শামীমা বৃটেনে ফেরার অনুমতি চান। তার দাবি, তার সন্তানের জন্য তাকে বৃটেনে ফিরতে দেয়া উচিত। কিন্তু একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়ার কয়েক দিন পরে বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার ঘোষণা দেন। শামীমার ছেলের নাম রাখা হয় জেরাহ। বৃটিশ আইন অনুযায়ী, বৃটিশ নাগরিক মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়ায় সেও বৃটিশ বলে স্বীকৃত হয়। কিন্তু জন্মের কয়েক দিনের মধ্যেই নিউমোনিয়ায় মারা যায় শামীমার সেই ছেলেটিও। এমন অবস্থায় শামীমাকে নিয়ে নিজের দেশ নেদারল্যান্ডে ফেরার প্রত্যয় ঘোষণা করেন ইয়াগো রিডিজক। কিন্তু সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দেয়ার কারণে সেখানে গত জুলাই মাসে অনুপস্থিতিতে তাকে ৬ মাসের জেল দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে ইয়াগো রিডিজক অবস্থান করছেন সিরিয়ায় একটি জেলে। তার সঙ্গে ওই জেলের ওই সেলে অবস্থান করছেন আরো ২০ জন আইএস যোদ্ধা। অন্যদিকে শামীমা রয়েছেন একটি শরণার্থী শিবিরে। শামীমার স্বামীকে বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ নিষিদ্ধ করাকে শনিবার দিবাগত রাতে খুবই ভাল খবর বলে আখ্যায়িত করেছেন কনজার্ভেটিভ দলের এমপি ফিলিপ হলোবোন। তিনি বলেছেন, আমাদের এ বিষয়ে আরো নজর দেয়া উচিত। এমন হাজার হাজার আইএস যোদ্ধা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইউরোপে ফিরবে। এতে হুমকি দেখা দেবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের অক্টোবরে নেদারল্যান্ডের আর্নহেম থেকে সিরিয়ায় পাড়ি জমায় শামীমার স্বামী ইয়াগো। পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব লন্ডনের বাসা থেকে পালান শামীমা। তিনি বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের আহমেদ আলীর মেয়ে। তবে কোনোদিন তিনি বাংলাদেশ সফরে আসেন নি। তার কাছে বাংলাদেশী কোনো পাসপোর্টও নেই বলে দাবি শামীমার। তিনি সিরিয়া পৌঁছার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে বিয়ে করেন ইয়াগোকে। তিনি শনিবার দ্য টাইমসকে দেয়া সাক্ষাতকারে শামীমাকে একজন যথার্থ স্ত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। শামীমা তার সন্তানদের হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে আছেন। এ সম্পর্কে ইয়াগো বলেছেন, আমাদের এসব সন্তানকে আমরা খুব ভালবাসি। তারা নেই, এটা এক বিভীষিকা। এটা আমাদের জীবনের সবচেয়ে কষ্টের বিষয়।
No comments