নিজ দলে বিদ্রোহের মুখে তেরেসা মে: অনিশ্চয়তায় বৃটেন! ক্ষমতাসীন দলে বিভক্তি!
ব্রেক্সিট
নিয়ে কঠিন সমস্যায় বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। একদিকে বিরোধী দল।
অন্যদিকে নিজের দলের ভিতর বিদ্রোহ। তিনি কোনোভাবেই সামনে এগুতে পারছেন না।
একের পর এক বাধা আসছে তার সামনে। ব্রেক্সিট চুক্তিতে সমর্থনের বিনিময়ে শেষ
পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের আগেই পদত্যাগ করার ঘোষণা দেয়া সত্ত্বেও পাস করাতে
পারেন নি ওই চুক্তি। এখন চতুর্থ ও চূড়ান্ত দফায় তিনি ওই চুক্তি
পার্লামেন্টে তুলতে চাইছেন। এবার কি ঘটবে তা বলা মুশকিল।
তবে তিনি যে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন তার অর্থ হলো বৃটেন একটি আগাম নির্বাচনের দিকে ধাবিত হবে। ফলে তার কনজার্ভেটিভ পার্টির অনেক এমপি তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে যদি এমন কোনো পদক্ষেপ নেন, যার জন্য আগাম নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায় বৃটেন, তাহলে তারা তার সেই উদ্যোগের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন।
এর ফলে কনজার্ভেটিভ দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্কতা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এমন হলে ব্রেক্সিট নিয়ে সঙ্কট আরো ঘনীভূত হবে। তাই যদি হয়, অর্থাৎ সমর্থন আদায়ের বিনিময়ে তেরেসা মে যদি আগাম পদত্যাগ করেন, তাহলে বৃটেন আগাম নির্বাচনের দিকে যাবে। তিনি যেন তা করতে না পারেন সে জন্য তার বিরুদ্ধে এমপিদের অবস্থানের অর্থই হলো, তারা তার চূড়ান্ত দফা ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে ভোট দেবেন না। তার নেতৃত্বাধীন সরকারের মধ্যে যে ধস দেখা দিয়েছে তা স্পষ্ট হয়েছে মন্ত্রীপরিষদে। কারণ, মন্ত্রীপরিষদের অনেকে সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের নেতৃত্বে একটি নির্বাচনের যাওয়ার বিরুদ্ধে সিরিয়াস প্রচারণা চালাবেন কনজার্ভেটিভ দলের এমিপরা। ব্রেক্সিট চুক্তির বিনিময়ে পদত্যাগের ঘোষণা, অর্থাৎ আগাম নির্বাচনের ইঙ্গিত দেয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ব্রেক্সিটপন্থি এবং ব্রেক্সিট বিরোধী উভয় শিবিরে। তিনি যে দিকেই যান না কেন, তাকে সে জন্য হাউস অব কমন্সে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে। কিন্তু তার নিজ কনজার্ভেটিভের এমপিরা বিদ্রোহ করবেন বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে তাদের বিদ্রোহে তার এমন প্রচেষ্টা হাউস অব কমন্সে আটকে যাবে এটা স্পষ্ট। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালান ডানকান বলেছেন, ব্রেক্সিট ইস্যুর সমাধান হওয়ার আগে যদি একটি সাধারণ নির্বাচন হয় তাহলে পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলবে। পালামেন্ট যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, তার ওপর আরেকটি গণভোট দাবি করছেন কনজার্ভেটিভ দলের এমপি অ্যান্টোনিটে স্যান্ডব্যাচ। তিনি বলেছেন, সাধারণ নির্বাচন আহ্বান করা হলে তার বিরোধিতা করবেন তিনি। তার ভাষায়, সমস্যা সমাধানের উত্তর জাতীয় নির্বাচন নয়। আমি এ বিষয়ের বিরুদ্ধে ভোট দেবো। পার্লামেন্টে আমাদেরকে উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তারপর তা নিশ্চিত করার জন্য জনগণের কাছে গণভোটে দিতে হবে।
ইউরোপিয়ান রিসার্চ গ্রুপ-এর সদস্য ও ব্রেক্সিটপন্থি এমপি মার্ক ফ্রাঁসোয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র অধীনে একটি নির্বাচনে কনজার্ভেটিভ দলের এমপিরা সমর্থন দেবেন এমন সুযোগ নেই। অবশ্যই তারা এমন ইস্যুতে ভোট দেবেন না। এটা করতে হলে তেরেসা মে’কে সুপার মেজরিটি দেখাতে হবে।
ওদিকে নতুন সপ্তাহ বৃটেনের রাজনীতিতে ঝঞ্ঝাময় থাকবে। এ সময়ে তেরেসা মের নেতৃত্ব নিয়ে টানাহেঁচড়া হতে পারে। তাকে সরিয়ে দেয়া হলে অথবা তিনি পদত্যাগ করলে তার পদে কে বসবেন তা নিয়ে এরই মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। এক্ষেত্রে যা ঘটতে পারে তাহলো:
১. নতুন সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যদি তেরেসা মে একটি স্থায়ী কাস্টমস ইউনিয়ন অনুমোদন করতে রাজি হন তাহলে ব্রেক্সিটপন্থি মন্ত্রীরা পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন।
২. আম্বার রাডের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি নতুন উদারপন্থি কনজার্ভেটিভ গ্রুপ। একটি নতুন নেতৃত্বের অধীনে দল যাতে অধিক ডানপন্থি অবস্থান নিতে না পারে তা থামানোর জন্য তারা সংগঠিত হচ্ছেন।
৩. পার্লামেন্টে যে প্রস্তাবই পাস হোক না কেন তা গণভোটে দেয়ার জন্য দাবির প্রতি সমর্থন দিতে পারেন অধিক সংখ্যক কনজার্ভেটিভ দলের সদস্য।
এমন অবস্থায় বৃটেনে আগামী একটি সপ্তাহে কি ঘটবে তা কেউ আগেভাগেই পূর্বাভাস করতে পারছেন না। তবে এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী একটি সফট ব্রেক্সিট বা নমনীয় ব্রেক্সিট অনুমোদন করাতে আরেকটি উদ্যোগ নিতে পারেন। ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৃটেনের সদস্যপদ ধরে রাখা দীর্ঘায়িত না করতে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের কাছে চিঠি লিখেছেন কমপক্ষে ১০০ কনজার্ভেটিভ দলের এমপি।
তবে তিনি যে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন তার অর্থ হলো বৃটেন একটি আগাম নির্বাচনের দিকে ধাবিত হবে। ফলে তার কনজার্ভেটিভ পার্টির অনেক এমপি তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে যদি এমন কোনো পদক্ষেপ নেন, যার জন্য আগাম নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায় বৃটেন, তাহলে তারা তার সেই উদ্যোগের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন।
এর ফলে কনজার্ভেটিভ দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্কতা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এমন হলে ব্রেক্সিট নিয়ে সঙ্কট আরো ঘনীভূত হবে। তাই যদি হয়, অর্থাৎ সমর্থন আদায়ের বিনিময়ে তেরেসা মে যদি আগাম পদত্যাগ করেন, তাহলে বৃটেন আগাম নির্বাচনের দিকে যাবে। তিনি যেন তা করতে না পারেন সে জন্য তার বিরুদ্ধে এমপিদের অবস্থানের অর্থই হলো, তারা তার চূড়ান্ত দফা ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে ভোট দেবেন না। তার নেতৃত্বাধীন সরকারের মধ্যে যে ধস দেখা দিয়েছে তা স্পষ্ট হয়েছে মন্ত্রীপরিষদে। কারণ, মন্ত্রীপরিষদের অনেকে সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের নেতৃত্বে একটি নির্বাচনের যাওয়ার বিরুদ্ধে সিরিয়াস প্রচারণা চালাবেন কনজার্ভেটিভ দলের এমিপরা। ব্রেক্সিট চুক্তির বিনিময়ে পদত্যাগের ঘোষণা, অর্থাৎ আগাম নির্বাচনের ইঙ্গিত দেয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ব্রেক্সিটপন্থি এবং ব্রেক্সিট বিরোধী উভয় শিবিরে। তিনি যে দিকেই যান না কেন, তাকে সে জন্য হাউস অব কমন্সে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে। কিন্তু তার নিজ কনজার্ভেটিভের এমপিরা বিদ্রোহ করবেন বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে তাদের বিদ্রোহে তার এমন প্রচেষ্টা হাউস অব কমন্সে আটকে যাবে এটা স্পষ্ট। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালান ডানকান বলেছেন, ব্রেক্সিট ইস্যুর সমাধান হওয়ার আগে যদি একটি সাধারণ নির্বাচন হয় তাহলে পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলবে। পালামেন্ট যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, তার ওপর আরেকটি গণভোট দাবি করছেন কনজার্ভেটিভ দলের এমপি অ্যান্টোনিটে স্যান্ডব্যাচ। তিনি বলেছেন, সাধারণ নির্বাচন আহ্বান করা হলে তার বিরোধিতা করবেন তিনি। তার ভাষায়, সমস্যা সমাধানের উত্তর জাতীয় নির্বাচন নয়। আমি এ বিষয়ের বিরুদ্ধে ভোট দেবো। পার্লামেন্টে আমাদেরকে উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তারপর তা নিশ্চিত করার জন্য জনগণের কাছে গণভোটে দিতে হবে।
ইউরোপিয়ান রিসার্চ গ্রুপ-এর সদস্য ও ব্রেক্সিটপন্থি এমপি মার্ক ফ্রাঁসোয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র অধীনে একটি নির্বাচনে কনজার্ভেটিভ দলের এমপিরা সমর্থন দেবেন এমন সুযোগ নেই। অবশ্যই তারা এমন ইস্যুতে ভোট দেবেন না। এটা করতে হলে তেরেসা মে’কে সুপার মেজরিটি দেখাতে হবে।
ওদিকে নতুন সপ্তাহ বৃটেনের রাজনীতিতে ঝঞ্ঝাময় থাকবে। এ সময়ে তেরেসা মের নেতৃত্ব নিয়ে টানাহেঁচড়া হতে পারে। তাকে সরিয়ে দেয়া হলে অথবা তিনি পদত্যাগ করলে তার পদে কে বসবেন তা নিয়ে এরই মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। এক্ষেত্রে যা ঘটতে পারে তাহলো:
১. নতুন সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যদি তেরেসা মে একটি স্থায়ী কাস্টমস ইউনিয়ন অনুমোদন করতে রাজি হন তাহলে ব্রেক্সিটপন্থি মন্ত্রীরা পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন।
২. আম্বার রাডের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি নতুন উদারপন্থি কনজার্ভেটিভ গ্রুপ। একটি নতুন নেতৃত্বের অধীনে দল যাতে অধিক ডানপন্থি অবস্থান নিতে না পারে তা থামানোর জন্য তারা সংগঠিত হচ্ছেন।
৩. পার্লামেন্টে যে প্রস্তাবই পাস হোক না কেন তা গণভোটে দেয়ার জন্য দাবির প্রতি সমর্থন দিতে পারেন অধিক সংখ্যক কনজার্ভেটিভ দলের সদস্য।
এমন অবস্থায় বৃটেনে আগামী একটি সপ্তাহে কি ঘটবে তা কেউ আগেভাগেই পূর্বাভাস করতে পারছেন না। তবে এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী একটি সফট ব্রেক্সিট বা নমনীয় ব্রেক্সিট অনুমোদন করাতে আরেকটি উদ্যোগ নিতে পারেন। ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৃটেনের সদস্যপদ ধরে রাখা দীর্ঘায়িত না করতে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের কাছে চিঠি লিখেছেন কমপক্ষে ১০০ কনজার্ভেটিভ দলের এমপি।
No comments