গাজায় ৪ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা
গাজায়
ইসরাইলি সেনারা গুলি করে তিন টিনেজ সহ কমপক্ষে ৪ জনকে হত্যা করেছে। শনিবার
‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ নামে বার্ষিক প্রতিবাদ বিক্ষোভে ইসরাইল-গাজা
সীমান্তে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। এ সময় তাদের সামনে
প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইসরাইলি ট্যাঙ্ক ও সেনাবাহিনী। ইসরাইলি সেনারা তাদের ওপর
সরাসরি গুলি, রাবার বুলেট ছোড়ে। ছোড়ে কাঁদানে গ্যাস। এতে ১৭ বছর বয়সী
তিনজন কিশোর নিহত হয়েছে। নিহত হয়েছেন এক যুবক। গাজার স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়ের মতে, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০৭ জন ফিলিস্তিনি।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
গাজার দক্ষিণে খান ইউনূস এলাকায় বুকে গুলিবিদ্ধ হন তামের আবি আল খায়ের। হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান। দ্বিতীয় জন মারা যান গাজা শহরের পূর্বে। তার নাম আদম আমারা। তৃতীয় কিশোর বেলাল আল নাজ্জারকে ইসরাইলি সেনারা গুলি করে হত্যা করে। ওদিকে মূল বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রাতভর যে প্রতিবাদ চলতে থাকে, তাতে অংশ নিয়েছিলেন ২০ বছর বয়সী তরুণ মোহাম্মদ জিহাদ সাদ। তাকেও হত্যা করেছে ইসরাইলিরা।
১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় থেকে যে ভূমি থেকে ফিলিস্তিনিদের সহিংসতার মধ্য দিয়ে উৎখাত করা হয়েছে সেই ভূমির অধিকার ফেরত পাওয়ার দাবিতে প্রতি বছর এমন বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। এ বিক্ষোভের নাম দেয়া হয়েছে ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’। এ ছাড়া গাজায় ১২ বছর ধরে অবরোধ করে রেখেছে মিশর। ইসরাইল ও মিশরের এসব দখলদারিত্বের অবসানও দাবি করছেন তারা।
বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন ২১ বছর বয়সী যুবক ইউসেফ জিয়াদা। তার মুখ ছিল ফিলিস্তিনের পতাকার রঙে রাঙানো। তিনি বলেছেন, যদি আমরা মারাও যাই তবুও আমরা সীমান্ত পর্যন্ত অগ্রসর হতেই থাকবো। আমরা পিছু ফিরে যাবো না। আমাদের ভূমি ফেরত চাই।
ওদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, তুমুল বৃষ্টি সত্ত্বেও তাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি। তাদেরকে সীমান্ত বেড়া থেকে দূরে রাখা হয়েছে। তবে কেউ কেউ ইটপাটকেল ছুড়েছে। অবকাঠামোতে ব্যবহার করেছে বিস্ফোরক ডিভাইস, টায়ারে আগুন দিয়েছে। তাই দাঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তারা মানসম্মত উপায় অবলম্বন করে গুলি করেছে।
গাজায় একটি থিংক ট্যাংকে কাজ করেন ৩৪ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী মোহাম্মদ রিদওয়ান। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের ওই বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। শনিবার মানুষের যে ঢল নেমেছিল তাতে প্রমাণ হয় যে, আমাদের এসব জনগণ তাদের ভূমির আইনগত অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত পিছু হটবে না। ২৬ বছর বয়সী অধিকারকর্মী বাহা আবু শাম্মাল বলেন, ইসরাইল ও গাজাকে আলাদা করা সীমান্ত বেড়া থেকে অনেকটা দূরেই বিক্ষোভ করছিলেন তারা। কিন্তু তাদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে ইসরাইলি সেনারা। এতে তাদের শ্বাসরোধ হয়ে মরার মতো অবস্থা হয়েছিল।
বিগত সময়ে ইসরাইল-গাজা সীমান্ত ব্যাপক বিক্ষোভের স্থান হয়ে উঠেছে। এখানে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। কমপক্ষে ২৬০ জন ফিলিস্তিনিকে সেখানে হত্যা করা হয়েছে। ইসরাইলি স্নাইপা ফায়ারে বেশির ভাগ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৭ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। অধিকার বিষয়ক গ্রুপ সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৫০টি শিশু রয়েছে। আরো ২১ টি শিশুর বিভিন্ন অঙ্গহানী হয়েছে। বহু সংখ্যক শিশু স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ হয়েছে। এ কথা বলেছেন সেভ দ্য চিলড্রেনের আঞ্চলিক পরিচালক জেরেমি স্টোনার। ফিলিস্তিনি শিশুদের মারা যাওয়ার খবরে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
গাজার দক্ষিণে খান ইউনূস এলাকায় বুকে গুলিবিদ্ধ হন তামের আবি আল খায়ের। হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান। দ্বিতীয় জন মারা যান গাজা শহরের পূর্বে। তার নাম আদম আমারা। তৃতীয় কিশোর বেলাল আল নাজ্জারকে ইসরাইলি সেনারা গুলি করে হত্যা করে। ওদিকে মূল বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রাতভর যে প্রতিবাদ চলতে থাকে, তাতে অংশ নিয়েছিলেন ২০ বছর বয়সী তরুণ মোহাম্মদ জিহাদ সাদ। তাকেও হত্যা করেছে ইসরাইলিরা।
১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় থেকে যে ভূমি থেকে ফিলিস্তিনিদের সহিংসতার মধ্য দিয়ে উৎখাত করা হয়েছে সেই ভূমির অধিকার ফেরত পাওয়ার দাবিতে প্রতি বছর এমন বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। এ বিক্ষোভের নাম দেয়া হয়েছে ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’। এ ছাড়া গাজায় ১২ বছর ধরে অবরোধ করে রেখেছে মিশর। ইসরাইল ও মিশরের এসব দখলদারিত্বের অবসানও দাবি করছেন তারা।
বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন ২১ বছর বয়সী যুবক ইউসেফ জিয়াদা। তার মুখ ছিল ফিলিস্তিনের পতাকার রঙে রাঙানো। তিনি বলেছেন, যদি আমরা মারাও যাই তবুও আমরা সীমান্ত পর্যন্ত অগ্রসর হতেই থাকবো। আমরা পিছু ফিরে যাবো না। আমাদের ভূমি ফেরত চাই।
ওদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, তুমুল বৃষ্টি সত্ত্বেও তাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি। তাদেরকে সীমান্ত বেড়া থেকে দূরে রাখা হয়েছে। তবে কেউ কেউ ইটপাটকেল ছুড়েছে। অবকাঠামোতে ব্যবহার করেছে বিস্ফোরক ডিভাইস, টায়ারে আগুন দিয়েছে। তাই দাঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তারা মানসম্মত উপায় অবলম্বন করে গুলি করেছে।
গাজায় একটি থিংক ট্যাংকে কাজ করেন ৩৪ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী মোহাম্মদ রিদওয়ান। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের ওই বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। শনিবার মানুষের যে ঢল নেমেছিল তাতে প্রমাণ হয় যে, আমাদের এসব জনগণ তাদের ভূমির আইনগত অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত পিছু হটবে না। ২৬ বছর বয়সী অধিকারকর্মী বাহা আবু শাম্মাল বলেন, ইসরাইল ও গাজাকে আলাদা করা সীমান্ত বেড়া থেকে অনেকটা দূরেই বিক্ষোভ করছিলেন তারা। কিন্তু তাদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে ইসরাইলি সেনারা। এতে তাদের শ্বাসরোধ হয়ে মরার মতো অবস্থা হয়েছিল।
বিগত সময়ে ইসরাইল-গাজা সীমান্ত ব্যাপক বিক্ষোভের স্থান হয়ে উঠেছে। এখানে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। কমপক্ষে ২৬০ জন ফিলিস্তিনিকে সেখানে হত্যা করা হয়েছে। ইসরাইলি স্নাইপা ফায়ারে বেশির ভাগ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৭ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। অধিকার বিষয়ক গ্রুপ সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৫০টি শিশু রয়েছে। আরো ২১ টি শিশুর বিভিন্ন অঙ্গহানী হয়েছে। বহু সংখ্যক শিশু স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ হয়েছে। এ কথা বলেছেন সেভ দ্য চিলড্রেনের আঞ্চলিক পরিচালক জেরেমি স্টোনার। ফিলিস্তিনি শিশুদের মারা যাওয়ার খবরে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
No comments