সালাউদ্দিন কাদেরের চূড়ান্ত রায় ২৯শে জুলাই
মৃত্যুদণ্ডের
রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর
আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ২৯শে জুলাই। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের
আপিল বিভাগে রাষ্ট্র ও আসামি উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে এ দিন
নির্ধারণ করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের
আপিল বেঞ্চ। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা,
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আসামিপক্ষে
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সিনিয়র এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এডভোকেট
এসএম শাহজাহান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি
জেনারেল মাহবুবে আলম।
শুনানি শেষে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, একাত্তর সালের ১৩ই এপ্রিল থেকে ঘটনার কথা বলেছেন প্রসিকিউশন। আমরা বলেছি, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ২৯শে মার্চ ঢাকা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান। তিনি পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেন। এ সংক্রান্ত সার্টিফিকেটও দিয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের মূল বক্তব্য, তিনি দেশেই ছিলেন না। তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন। পাকিস্তানের উচ্চস্তরের লোক এটা হলফনামা দিয়ে বলেছেন। তিনি বলেন, আমরা ঘটনা অস্বীকার করছি না। কিন্তু সালাউদ্দিন কাদের উপস্থিত ছিলেন না। আদালত এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে আশা করেন খন্দকার মাহবুব।
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলছেন, তিনি দেশে ছিলেন না, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা মিথ্যা। সবশেষে তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনও বলেছেন, দণ্ড কমাতে। আমরা এটাতেও আপত্তি জানিয়েছি।
গত ১৬ই জুন শুরু হয়ে ১৩ কার্যদিবসে এ আপিল শুনানি শেষ হলো। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে আপিল বিভাগে আসা এ নিয়ে পঞ্চম আপিল মামলার শুনানি চূড়ান্তভাবে শেষ হয়েছে। গত ১৬ই জুন সর্বশেষ চূড়ান্ত রায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া আপিলে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হওয়ায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম ও সাবেক বিএনপি নেতা আবদুল আলীম মৃত্যুবরণ করায় তাদের আপিলের কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায়। গত ৫ ও ৬ই জুলাই সালাউদ্দিন কাদেরের পক্ষে আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান। এর আগে ১৬ই জুন শুনানি শুরু হয়। ৩০শে জুন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের রায়, সাক্ষীদের সাক্ষ্য-জেরা এবং রায় সংক্রান্ত নথিপত্র (পেপারবুক) উপস্থাপন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। অন্যদিকে ৩০শে জুন এবং ১লা ও ৭ই জুলাই তিন কার্যদিবসে রাষ্ট্রপক্ষে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামির সর্বোচ্চ সাজা বহাল রাখার আরজি জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। পক্ষান্তরে আসামিপক্ষের আইনজীবী এসএম শাহজাহান শুনানিতে বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত নন। একাত্তরে ঘটনার সময় তিনি পাকিস্তানে ছিলেন এবং ১৯৭৪-এ লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আসেন। তিনি দাবি করেন, ঘটনার শোনা সাক্ষীর উপর নির্ভর করে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। তার প্রতিপক্ষরা রাজনৈতিকভাবে তাকে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে।
একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ২০১৩ সালের ১লা অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দাখিলকৃত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও ২, ৪ ও ৭ নম্বর অভিযোগে চট্টগ্রামের রাউজানের মধ্য গহিরা হিন্দুপাড়া ও জগৎমল্লপাড়ায় গণহত্যা এবং রাউজানের সতীশ চন্দ্র পালিতকে হত্যার তিনটি অভিযোগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া ১৭ ও ১৮ নম্বর অভিযোগে নিজামউদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে আটকে রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগে তাকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে দাখিলকৃত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ১৭টি অভিযোগের ভিত্তিতে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। এর মধ্যে ৯টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ও ৮টি অভিযোগ থেকে আসামিকে খালাস দেয়া হয়। ট্রাইব্যুনালের দেয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে ২০১৩ সালের ২৯শে অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল করেন তিনি। সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেনি।
শুনানি শেষে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, একাত্তর সালের ১৩ই এপ্রিল থেকে ঘটনার কথা বলেছেন প্রসিকিউশন। আমরা বলেছি, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ২৯শে মার্চ ঢাকা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান। তিনি পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেন। এ সংক্রান্ত সার্টিফিকেটও দিয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের মূল বক্তব্য, তিনি দেশেই ছিলেন না। তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন। পাকিস্তানের উচ্চস্তরের লোক এটা হলফনামা দিয়ে বলেছেন। তিনি বলেন, আমরা ঘটনা অস্বীকার করছি না। কিন্তু সালাউদ্দিন কাদের উপস্থিত ছিলেন না। আদালত এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে আশা করেন খন্দকার মাহবুব।
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলছেন, তিনি দেশে ছিলেন না, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা মিথ্যা। সবশেষে তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনও বলেছেন, দণ্ড কমাতে। আমরা এটাতেও আপত্তি জানিয়েছি।
গত ১৬ই জুন শুরু হয়ে ১৩ কার্যদিবসে এ আপিল শুনানি শেষ হলো। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে আপিল বিভাগে আসা এ নিয়ে পঞ্চম আপিল মামলার শুনানি চূড়ান্তভাবে শেষ হয়েছে। গত ১৬ই জুন সর্বশেষ চূড়ান্ত রায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া আপিলে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হওয়ায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম ও সাবেক বিএনপি নেতা আবদুল আলীম মৃত্যুবরণ করায় তাদের আপিলের কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায়। গত ৫ ও ৬ই জুলাই সালাউদ্দিন কাদেরের পক্ষে আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান। এর আগে ১৬ই জুন শুনানি শুরু হয়। ৩০শে জুন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের রায়, সাক্ষীদের সাক্ষ্য-জেরা এবং রায় সংক্রান্ত নথিপত্র (পেপারবুক) উপস্থাপন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। অন্যদিকে ৩০শে জুন এবং ১লা ও ৭ই জুলাই তিন কার্যদিবসে রাষ্ট্রপক্ষে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামির সর্বোচ্চ সাজা বহাল রাখার আরজি জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। পক্ষান্তরে আসামিপক্ষের আইনজীবী এসএম শাহজাহান শুনানিতে বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত নন। একাত্তরে ঘটনার সময় তিনি পাকিস্তানে ছিলেন এবং ১৯৭৪-এ লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আসেন। তিনি দাবি করেন, ঘটনার শোনা সাক্ষীর উপর নির্ভর করে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। তার প্রতিপক্ষরা রাজনৈতিকভাবে তাকে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে।
একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ২০১৩ সালের ১লা অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দাখিলকৃত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও ২, ৪ ও ৭ নম্বর অভিযোগে চট্টগ্রামের রাউজানের মধ্য গহিরা হিন্দুপাড়া ও জগৎমল্লপাড়ায় গণহত্যা এবং রাউজানের সতীশ চন্দ্র পালিতকে হত্যার তিনটি অভিযোগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া ১৭ ও ১৮ নম্বর অভিযোগে নিজামউদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে আটকে রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগে তাকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে দাখিলকৃত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ১৭টি অভিযোগের ভিত্তিতে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। এর মধ্যে ৯টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ও ৮টি অভিযোগ থেকে আসামিকে খালাস দেয়া হয়। ট্রাইব্যুনালের দেয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে ২০১৩ সালের ২৯শে অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল করেন তিনি। সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেনি।
No comments