খালি খালি গুজব রটেনি
দিনভর
চাঞ্চল্য। নানা নাটকীয়তা। আকস্মিক সিদ্ধান্ত। তবে দিনের শেষে স্থানীয়
সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী পদে আপাতত বহালই আছেন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। গতকাল সকালে জাতীয়
অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) বৈঠকে প্রভাবশালী এ মন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়ার
সিদ্ধান্তই হয়েছিল। যদিও পুরো বিষয়টিকে গুজব হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
একনেকের বৈঠকে উপস্থিত সূত্রে জানা গেছে, ঘড়িতে তখন সকাল ১১টা। একনেকের সাপ্তাহিক বৈঠক মাত্র শুরু হয়েছে। শুরুতেই নিয়মিত এজেন্ডা হিসেবে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দুটি এজেন্ডা আলোচনার জন্য আসে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। তার জন্য ২৫ মিনিটের মতো অপেক্ষা করা হয়। এর পরও মন্ত্রীর খোঁজ না মেলায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রকল্পটি প্রত্যাহারের কথা বলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে অসম্মতি জানান। এ সময় একজন মন্ত্রী বলেন, সৈয়দ আশরাফ তো নিয়মিতই অনুপস্থিত থাকেন। তখন প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (আশরাফ) মিটিং-টিটিংয়ে আসেন না, এজন্য সরিয়ে দিলে ভালো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে কথা বলেন। একনেক সভা থেকে ফিরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সহকর্মীদের সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয়া সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ ও প্রজ্ঞাপন তৈরি করার নির্দেশ দেন। এরপর এক ঘণ্টা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনেকটা ঝড়ের বেগে কাজ হয়। সৈয়দ আশরাফের অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুতি নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা মারফত সারসংক্ষেপটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তাকে ফাইলটি রেখে যাওয়ার জন্য বলা হয়। এদিকে, মুহূর্তের মধ্যেই সৈয়দ আশরাফের অব্যাহতির খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। আওয়ামী লীগের ভেতরে-বাইরে তৈরি হয় তোলপাড়। সৈয়দ আশরাফের শুভাকাঙ্ক্ষীরাও তৎপর হয়ে ওঠেন। বিকাল চারটার পর সৈয়দ আশরাফকে আপাতত অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে না- এ বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত জানার পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিজ অফিস ত্যাগ করেন। বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অপেক্ষমাণ সাংবাদিকরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে মন্ত্রিসভার রদবদলের বিষয়ে জানতে চান। মোশাররফ হোসাইন বলেন, কিছু হয়নি, হলে আপনারা জানবেন। শোনা যাচ্ছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিসের প্রক্রিয়া। আমি তো কিছু জানি না। আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার মতো কোন তথ্য আমার কাছে নেই। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।
একনেকের বৈঠকে উপস্থিত সূত্রে জানা গেছে, ঘড়িতে তখন সকাল ১১টা। একনেকের সাপ্তাহিক বৈঠক মাত্র শুরু হয়েছে। শুরুতেই নিয়মিত এজেন্ডা হিসেবে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দুটি এজেন্ডা আলোচনার জন্য আসে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। তার জন্য ২৫ মিনিটের মতো অপেক্ষা করা হয়। এর পরও মন্ত্রীর খোঁজ না মেলায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রকল্পটি প্রত্যাহারের কথা বলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে অসম্মতি জানান। এ সময় একজন মন্ত্রী বলেন, সৈয়দ আশরাফ তো নিয়মিতই অনুপস্থিত থাকেন। তখন প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (আশরাফ) মিটিং-টিটিংয়ে আসেন না, এজন্য সরিয়ে দিলে ভালো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে কথা বলেন। একনেক সভা থেকে ফিরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সহকর্মীদের সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয়া সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ ও প্রজ্ঞাপন তৈরি করার নির্দেশ দেন। এরপর এক ঘণ্টা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনেকটা ঝড়ের বেগে কাজ হয়। সৈয়দ আশরাফের অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুতি নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা মারফত সারসংক্ষেপটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তাকে ফাইলটি রেখে যাওয়ার জন্য বলা হয়। এদিকে, মুহূর্তের মধ্যেই সৈয়দ আশরাফের অব্যাহতির খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। আওয়ামী লীগের ভেতরে-বাইরে তৈরি হয় তোলপাড়। সৈয়দ আশরাফের শুভাকাঙ্ক্ষীরাও তৎপর হয়ে ওঠেন। বিকাল চারটার পর সৈয়দ আশরাফকে আপাতত অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে না- এ বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত জানার পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিজ অফিস ত্যাগ করেন। বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অপেক্ষমাণ সাংবাদিকরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে মন্ত্রিসভার রদবদলের বিষয়ে জানতে চান। মোশাররফ হোসাইন বলেন, কিছু হয়নি, হলে আপনারা জানবেন। শোনা যাচ্ছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিসের প্রক্রিয়া। আমি তো কিছু জানি না। আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার মতো কোন তথ্য আমার কাছে নেই। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।
ওদিকে,
আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গতকাল তার নির্বাচনী এলাকা
কিশোরগঞ্জে একটি ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। কিশোরগঞ্জ যাওয়ার কারণে তিনি একনেক
সভায় হাজির হননি। সরকারের শীর্ষপর্যায়ে বিষয়টি অবগত ছিল। সরকারের এক
সিনিয়র মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের অব্যাহতির বিষয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভের
মুখে সৈয়দ আশরাফের অব্যাহতি নিয়ে কথা বলেছেন। এখন প্রধানমন্ত্রী তার কথা
প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, একনেক সভায় পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন
প্রকল্প-২ গতকালের সভার আলোচ্যসূচিতে ছিল। প্রকল্পটি অনুমোদন মিললে এর
মাধ্যমে জাতীয় সংসদের প্রতিটি আসনের জন্য পল্লী, সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন ও
রক্ষণাবেক্ষণে ২০ কোটি টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হবে। এজন্য ২০১৯ সালের জুন
পর্যন্ত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি
অনুমোদন নিয়ে এমপিদের মধ্য থেকে চাপ রয়েছে।
গুজবে কান না দেয়াই ভাল: সৈয়দ আশরাফ
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতির বিষয়টিকে ‘মিডিয়ার খবর’ বলে উল্লেখ করেছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মিডিয়ার খবর মিডিয়ার কাছ থেকেই জেনে নিন। এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না জানিয়ে তিনি বলেন, গুজবে কান না দেয়াই ভাল। গতকাল বিকালে কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকার বাসভবনে এসে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ এসব কথা বলেন। নিজ আসন কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) এ দুই দিনের সরকারি সফরের প্রথম দিনে মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৬টায় কিশোরগঞ্জের বাসভবনে এসে পৌঁছান। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর বিকাল ৬টা ৪০ মিনিটে তিনি শহরের সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে কিশোরগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার পার্টিতে যোগ দেন। সেখানে ইফতারের আগে মাত্র এক মিনিট বক্তৃতা করেন সৈয়দ আশরাফ। বক্তৃতায় তিনি কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলায় দুই দিন দুটি ইফতারে অংশ নিতে এসেছেন জানিয়ে ইফতার আয়োজকদের কৃতজ্ঞতা জানান। ইফতারে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ্, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খানসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এলজিআরডিমন্ত্রীর সফরসূচি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন শেষে আজ দুপুরে সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পরে যশোদল গ্রামের নিজ বাড়ি পরিদর্শন ও সেখান থেকে ফিরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুস্থ নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। পরে সন্ধ্যায় হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে যোগদান শেষে রাতেই ঢাকার বেইলি রোডের বাসভবনে ফিরবেন।
গুজবে কান না দেয়াই ভাল: সৈয়দ আশরাফ
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতির বিষয়টিকে ‘মিডিয়ার খবর’ বলে উল্লেখ করেছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মিডিয়ার খবর মিডিয়ার কাছ থেকেই জেনে নিন। এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না জানিয়ে তিনি বলেন, গুজবে কান না দেয়াই ভাল। গতকাল বিকালে কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকার বাসভবনে এসে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ এসব কথা বলেন। নিজ আসন কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) এ দুই দিনের সরকারি সফরের প্রথম দিনে মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৬টায় কিশোরগঞ্জের বাসভবনে এসে পৌঁছান। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর বিকাল ৬টা ৪০ মিনিটে তিনি শহরের সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে কিশোরগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার পার্টিতে যোগ দেন। সেখানে ইফতারের আগে মাত্র এক মিনিট বক্তৃতা করেন সৈয়দ আশরাফ। বক্তৃতায় তিনি কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলায় দুই দিন দুটি ইফতারে অংশ নিতে এসেছেন জানিয়ে ইফতার আয়োজকদের কৃতজ্ঞতা জানান। ইফতারে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ্, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খানসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এলজিআরডিমন্ত্রীর সফরসূচি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন শেষে আজ দুপুরে সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পরে যশোদল গ্রামের নিজ বাড়ি পরিদর্শন ও সেখান থেকে ফিরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুস্থ নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। পরে সন্ধ্যায় হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে যোগদান শেষে রাতেই ঢাকার বেইলি রোডের বাসভবনে ফিরবেন।
No comments