দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ফিলিপাইনের মামলা- জাতিসংঘ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু
দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে একটি মামলার শুনানি করা হবে কি না, আগামী সপ্তাহে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জাতিসংঘের একটি ট্রাইব্যুনাল। ফিলিপাইনের নেওয়া ওই আইনি উদ্যোগের বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার কার্যক্রম শুরু করেছে ট্রাইব্যুনাল। ফলে সাগরটির জলসীমার মালিকানা নিয়ে এই প্রথম আন্তর্জাতিক আইনি চাপে পড়ল চীন। খবর বিবিসি ও চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।
নেদারল্যান্ডসের দি হেগভিত্তিক জাতিসংঘ ট্রাইব্যুনাল পারমানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন-এ ২০১৩ সালে ওই আইনি চ্যালেঞ্জ করে ফিলিপাইন। এতে তারা দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ এলাকায় চীনের বেশির ভাগ দাবিকেই অবৈধ ঘোষণা করার আবেদন জানায়।
মামলাটির ওপর গতকাল শুরু হওয়া কার্যক্রমে অংশ নিতে একটি অভিজ্ঞ আইনি দল পাঠিয়েছে ফিলিপাইন। তবে চীন এতে অংশ নিচ্ছে না। পাঁচ সদস্যের ট্রাইব্যুনালে ১৩ জুলাই পর্যন্ত এই আইনি প্রক্রিয়া চলবে। এর মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত দেবে, তারা ফিলিপাইনের ওই আবেদনের ওপর শুনানি করতে পারে কি না। সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হলে এ বিষয়ে আইনি শুনানি শুরু হবে। তবে চীন শুরু থেকেই বলে আসছে, এ বিষয়ে শুনানি করার কোনো এখতিয়ার ওই ট্রাইব্যুনালের নেই।
দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাকেই নিজেদের বলে দাবি করে থাকে বেইজিং। তবে খনিজসহ নানা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সাগরটির ৩৫ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকায় চীনের পাশাপাশি ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও ইন্দোনেশিয়ারও দাবি রয়েছে।
সাগরটির বিরোধপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত স্কারবরো ‘চরা’ ও স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীনের সঙ্গে ফিলিপাইনের কয়েকবার কূটনৈতিক বিরোধও হয়েছে। ম্যানিলার বক্তব্য, সাগরটিতে দাবি প্রতিষ্ঠায় চীনের কথিত ‘নাইন-ড্যাশ লাইন’ জাতিসংঘের সমুদ্রবিষয়ক সনদের আওতায় অবৈধ। ওই সনদে দুটি দেশই স্বাক্ষর করেছে।
তবে সব আন্তর্জাতিক চাপকে উপেক্ষা করে বেইজিং বিরোধপূর্ণ ওই সাগরে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তারা ওই সাগরে অন্তত সাতটি কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের কাজ শুরু করে।
নেদারল্যান্ডসের দি হেগভিত্তিক জাতিসংঘ ট্রাইব্যুনাল পারমানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন-এ ২০১৩ সালে ওই আইনি চ্যালেঞ্জ করে ফিলিপাইন। এতে তারা দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ এলাকায় চীনের বেশির ভাগ দাবিকেই অবৈধ ঘোষণা করার আবেদন জানায়।
মামলাটির ওপর গতকাল শুরু হওয়া কার্যক্রমে অংশ নিতে একটি অভিজ্ঞ আইনি দল পাঠিয়েছে ফিলিপাইন। তবে চীন এতে অংশ নিচ্ছে না। পাঁচ সদস্যের ট্রাইব্যুনালে ১৩ জুলাই পর্যন্ত এই আইনি প্রক্রিয়া চলবে। এর মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত দেবে, তারা ফিলিপাইনের ওই আবেদনের ওপর শুনানি করতে পারে কি না। সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হলে এ বিষয়ে আইনি শুনানি শুরু হবে। তবে চীন শুরু থেকেই বলে আসছে, এ বিষয়ে শুনানি করার কোনো এখতিয়ার ওই ট্রাইব্যুনালের নেই।
দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাকেই নিজেদের বলে দাবি করে থাকে বেইজিং। তবে খনিজসহ নানা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সাগরটির ৩৫ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকায় চীনের পাশাপাশি ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও ইন্দোনেশিয়ারও দাবি রয়েছে।
সাগরটির বিরোধপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত স্কারবরো ‘চরা’ ও স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীনের সঙ্গে ফিলিপাইনের কয়েকবার কূটনৈতিক বিরোধও হয়েছে। ম্যানিলার বক্তব্য, সাগরটিতে দাবি প্রতিষ্ঠায় চীনের কথিত ‘নাইন-ড্যাশ লাইন’ জাতিসংঘের সমুদ্রবিষয়ক সনদের আওতায় অবৈধ। ওই সনদে দুটি দেশই স্বাক্ষর করেছে।
তবে সব আন্তর্জাতিক চাপকে উপেক্ষা করে বেইজিং বিরোধপূর্ণ ওই সাগরে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তারা ওই সাগরে অন্তত সাতটি কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের কাজ শুরু করে।
No comments