বুয়েট ক্যানটিনে ছাত্রলীগের চাঁদা দাবি! by কাজী আনিছ
বুয়েটের ক্যানটিন ব্যবস্থাপকের কাছে
ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী চাঁদা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা
না দিলে তাঁরা ক্যানটিন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
বুয়েট প্রশাসন ও ক্যানটিন সূত্রে জানা গেছে, দরপত্রের মাধ্যমে ইজারার ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ক্যানটিন সেন্ট্রাল ক্যাফেটেরিয়া পরিচালিত হয়। বুয়েট প্রশাসন এই দরপত্র আহ্বান করে। এই ব্যবস্থাপনার ভিত্তিতে প্রায় তিন মাস আগে মেসার্স হাসিনা এন্টারপ্রাইজের মালিক এম এ মাসুম ওই ক্যানটিনটি পরিচালনার দায়িত্ব নেন। মাসিক ভাড়া ধরা হয় ৫০ হাজার টাকা।
গত ১৪ জুন চাঁদা দাবির বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ক্যানটিনের ব্যবস্থাপক এম এ মাসুম। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ জুন রাত দুইটার দিকে বুয়েটের কিছু ছাত্র ক্যানটিনের ঘুমন্ত কর্মচারীদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। রাতেই কর্মচারীদের ক্যানটিন ছেড়ে চলে যেতে বলেন ওই ছাত্ররা। এর আগে গত ২ জুন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্রজ্যোতি টীকাদার ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ কনক ক্যানটিনের ব্যবস্থাপক এম এ মাসুমের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। অন্যথায় ক্যানটিন ছেড়ে দিতে বলেন। পরে ৬ জুন শুভ্রজ্যোতির নেতৃত্বে তানভীর, এহসান নামের কয়েকজনসহ আট-দশজন ওই ক্যাফেতে যান। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁরা ১৩ জুন থেকে ক্যাফে বন্ধ রাখতে বলেন। এযাবৎ তাঁদের কাছে খাওয়া বাবদ ২৫ হাজার টাকা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাবদ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা বকেয়া আছে। বকেয়া চাইতে গেলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে এম এ মাসুম লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন। তিনি এসব ঘটনা আমলে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশে ক্যানটিন পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন।
এত দিন পর কেন অভিযোগ করলেন—জানতে চাইলে ক্যানটিনের ব্যবস্থাপক এম এ মাসুম বলেন, ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’ এর বাইরে তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।
বুয়েটের একটি সূত্রে জানা গেছে, শুভ্রজ্যোতিসহ অন্য নেতা-কর্মীরা ২ জুন এম এ মাসুমের কাছে চার লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন। এত টাকা চাঁদা দেওয়া সম্ভব নয় বলার পর শুভ্রজ্যোতিসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে মারতে উদ্যত হন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শুভ্রজ্যোতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওর (এম এ মাসুম) অনেক ভাড়া বাকি। ভাড়ার টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। কোনো টাকা চাইনি।’
ভাড়ার বিষয়টি তো বুয়েটের প্রশাসন দেখভাল করে, আপনি চাইতে গেলেন কেন?—এই প্রশ্নের জবাবে শুভ্রজ্যোতি বলেন, ‘তা ঠিক আছে। কিন্তু সবাইকে তো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থটা দেখতে হবে।’
জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুয়েট খুললেই এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তবে তিনি বলেন, এম এ মাসুমের কাছে ভাড়া বাকি আছে। তাঁকে আবার একটি পক্ষ সমর্থনও দিয়ে যাচ্ছে। তাই ছাত্রদের বলে দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি বুয়েট প্রশাসনই দেখবে।
বুয়েট প্রশাসন ও ক্যানটিন সূত্রে জানা গেছে, দরপত্রের মাধ্যমে ইজারার ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ক্যানটিন সেন্ট্রাল ক্যাফেটেরিয়া পরিচালিত হয়। বুয়েট প্রশাসন এই দরপত্র আহ্বান করে। এই ব্যবস্থাপনার ভিত্তিতে প্রায় তিন মাস আগে মেসার্স হাসিনা এন্টারপ্রাইজের মালিক এম এ মাসুম ওই ক্যানটিনটি পরিচালনার দায়িত্ব নেন। মাসিক ভাড়া ধরা হয় ৫০ হাজার টাকা।
গত ১৪ জুন চাঁদা দাবির বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ক্যানটিনের ব্যবস্থাপক এম এ মাসুম। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ জুন রাত দুইটার দিকে বুয়েটের কিছু ছাত্র ক্যানটিনের ঘুমন্ত কর্মচারীদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। রাতেই কর্মচারীদের ক্যানটিন ছেড়ে চলে যেতে বলেন ওই ছাত্ররা। এর আগে গত ২ জুন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্রজ্যোতি টীকাদার ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ কনক ক্যানটিনের ব্যবস্থাপক এম এ মাসুমের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। অন্যথায় ক্যানটিন ছেড়ে দিতে বলেন। পরে ৬ জুন শুভ্রজ্যোতির নেতৃত্বে তানভীর, এহসান নামের কয়েকজনসহ আট-দশজন ওই ক্যাফেতে যান। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁরা ১৩ জুন থেকে ক্যাফে বন্ধ রাখতে বলেন। এযাবৎ তাঁদের কাছে খাওয়া বাবদ ২৫ হাজার টাকা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাবদ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা বকেয়া আছে। বকেয়া চাইতে গেলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে এম এ মাসুম লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন। তিনি এসব ঘটনা আমলে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশে ক্যানটিন পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন।
এত দিন পর কেন অভিযোগ করলেন—জানতে চাইলে ক্যানটিনের ব্যবস্থাপক এম এ মাসুম বলেন, ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’ এর বাইরে তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।
বুয়েটের একটি সূত্রে জানা গেছে, শুভ্রজ্যোতিসহ অন্য নেতা-কর্মীরা ২ জুন এম এ মাসুমের কাছে চার লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন। এত টাকা চাঁদা দেওয়া সম্ভব নয় বলার পর শুভ্রজ্যোতিসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে মারতে উদ্যত হন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শুভ্রজ্যোতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওর (এম এ মাসুম) অনেক ভাড়া বাকি। ভাড়ার টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। কোনো টাকা চাইনি।’
ভাড়ার বিষয়টি তো বুয়েটের প্রশাসন দেখভাল করে, আপনি চাইতে গেলেন কেন?—এই প্রশ্নের জবাবে শুভ্রজ্যোতি বলেন, ‘তা ঠিক আছে। কিন্তু সবাইকে তো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থটা দেখতে হবে।’
জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুয়েট খুললেই এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তবে তিনি বলেন, এম এ মাসুমের কাছে ভাড়া বাকি আছে। তাঁকে আবার একটি পক্ষ সমর্থনও দিয়ে যাচ্ছে। তাই ছাত্রদের বলে দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি বুয়েট প্রশাসনই দেখবে।
No comments