ফ্রান্স–জার্মানির চাপেই কাতারে বিশ্বকাপ?
বিশ্বকাপ আয়োজন এখন আর ভোটাভুটিতে ঠিক হয় না |
কাতার
ও রাশিয়ায় বিশ্বকাপ কেন? এ নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত গোটা ফুটবল দুনিয়া। এ নিয়ে
সন্দেহ-অবিশ্বাস-অভিযোগ এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে ব্যাপারটা এখন আর নিছক
ফুটবল বা ফুটবল-সংক্রান্ত কোনো বিষয় হিসেবে নেই। বরং পুরো বিষয়টি পরিণত
হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিষয়ে। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা-ফিফায়
দুর্নীতির সর্বগ্রাসী চিত্রটাও একটি বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছে যে বিশ্বকাপ
আয়োজনের বিষয়টি এখন আর নিছক ভোটাভুটির মাধ্যমেই নিষ্পন্ন হওয়া কোনো কিছু
নয়। ব্যাপারটার মধ্যে রাজনৈতিক অভিলাষ, ব্যবসা কিংবা গোষ্ঠী স্বার্থ অনেক
শক্তিশালী অনুষঙ্গ হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
সম্প্রতি জার্মান একটি পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বিদায়ের লগ্নে দাঁড়িয়ে ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার যা বলেছেন, তাতে এই বিষয়গুলোই সামনে চলে আসে। এই সাক্ষাৎকারে তিনি রাজনৈতিক স্বার্থে বিশ্বকাপ আয়োজনের ওপর হস্তক্ষেপের কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থেই কাতার ও রাশিয়ায় বিশ্বকাপ দেওয়া হয়েছে। তিনি একটু ক্ষোভের সঙ্গেই বলেছেন, ‘ফিফা সভাপতি হিসেবে অন্যের অপকর্মের দায়ভার তাঁকে নিতে হচ্ছে। কিন্তু তিনি এই দায়ভার নিতে নিতে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত!
ব্ল্যাটার বলেন, ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি রাশিয়া বিশ্বকাপের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তিনি এ ব্যাপারে লবিংও করেছিলেন। কারণ রাশিয়াতে ফ্রান্সের কোটি কোটি ডলারের বিনিয়োগ-সম্ভাবনা ছিল। একই ভাবে জার্মানির সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান উল্ফ কাতারের পক্ষে ছিলেন। জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে নাকি কাতার অনেক টাকা ঢেলে থাকে। ব্ল্যাটার দুঃখ করে বলেন, অথচ দেখুন এখন সব দোষ আমার হয়ে গেছে। আমি নেতৃত্বের শক্তিতে বিশ্বাসী, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। নির্বাহী কমিটির বেশিরভাগ সদস্য যা যান, সেটা অনেক সময় আমাকে মেনে নিতে হয়। রাশিয়া-কাতারের ব্যাপারে লবি প্রচণ্ড শক্তিশালী ছিল। আমার নির্বাহী কমিটির বেশিরভাগ সদস্য রাশিয়া ও কাতারের পক্ষে ছিল।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
সম্প্রতি জার্মান একটি পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বিদায়ের লগ্নে দাঁড়িয়ে ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার যা বলেছেন, তাতে এই বিষয়গুলোই সামনে চলে আসে। এই সাক্ষাৎকারে তিনি রাজনৈতিক স্বার্থে বিশ্বকাপ আয়োজনের ওপর হস্তক্ষেপের কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থেই কাতার ও রাশিয়ায় বিশ্বকাপ দেওয়া হয়েছে। তিনি একটু ক্ষোভের সঙ্গেই বলেছেন, ‘ফিফা সভাপতি হিসেবে অন্যের অপকর্মের দায়ভার তাঁকে নিতে হচ্ছে। কিন্তু তিনি এই দায়ভার নিতে নিতে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত!
ব্ল্যাটার বলেন, ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি রাশিয়া বিশ্বকাপের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তিনি এ ব্যাপারে লবিংও করেছিলেন। কারণ রাশিয়াতে ফ্রান্সের কোটি কোটি ডলারের বিনিয়োগ-সম্ভাবনা ছিল। একই ভাবে জার্মানির সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান উল্ফ কাতারের পক্ষে ছিলেন। জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে নাকি কাতার অনেক টাকা ঢেলে থাকে। ব্ল্যাটার দুঃখ করে বলেন, অথচ দেখুন এখন সব দোষ আমার হয়ে গেছে। আমি নেতৃত্বের শক্তিতে বিশ্বাসী, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। নির্বাহী কমিটির বেশিরভাগ সদস্য যা যান, সেটা অনেক সময় আমাকে মেনে নিতে হয়। রাশিয়া-কাতারের ব্যাপারে লবি প্রচণ্ড শক্তিশালী ছিল। আমার নির্বাহী কমিটির বেশিরভাগ সদস্য রাশিয়া ও কাতারের পক্ষে ছিল।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
No comments