১১৪ গোল খাওয়ার পর আকুতি, ‘আমাদের বাঁচাও!’
নিজেদের গোলপোস্ট পাহারা দিচ্ছে মাইক্রোনেশিয়া (নীল জার্সি), যদিও তাতে লাভ হচ্ছে সামান্যই! |
তিনটা
ম্যাচ। ফলাফল: ৩৮-০, ৩০-০, ৪৬-০! তিন ম্যাচে একটা দল হজম করেছে ১১৪ গোল!
ফিজি, তাহিতির পর আজ ভানুয়াতুর কাছে প্রায় অর্ধশত গোল হজম করার পরও হাল
ছাড়ছে না মাইক্রোনেশিয়া। অন্য কোনো দল হলে হয়তো স্বেচ্ছায় সরে যেত।
কিন্তু পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটি ফিফার কাছে আকুতি
জানাচ্ছে, ‘আমরা খেলতেই চাই। আমাদের সাহায্য করুন।’
আয়তনে ঢাকা শহরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। জনসংখ্যা এক লাখের ওপরে। পাপুয়া নিউ গিনিতে চলমান প্যাসিফিক গেমসে অংশ নিতে গিয়ে একের পর এক ম্যাচে ভরাডুবি। তাও এমন নয় মহাশক্তিধর দলের কাছে এভাবে গোল হজম করতে হয়েছে। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ফিজি ১৯৫ নম্বরে, তাহিতি ১৮২, ভানুয়াতু ২০০। সব মিলিয়ে ফিফার র্যাঙ্কিংয়ে আছেই ২০৯টি দেশ।
এর মধ্যে অবশ্য মাইক্রোনেশিয়া নেই। এই ম্যাচগুলোও আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বীকৃতি পায়নি। আসলে মাইক্রোনেশিয়াই এখনো ফিফা সদস্য হয়নি। তবে তারা সদস্য হতে চায়। মাত্র দেড় বছর আগে ফুটবলে প্রথম লাথি মেরেছিলেন এই দলের ফুটবলাররা। বেশির ভাগ সময়ই হয়তো সৈকতের বালুকাবেলায়। দলের এক খেলোয়াড় তো স্বীকার করে নিয়েছেন, তাদের মাঠে গোলপোস্টও থাকে না। হয়তো দুটো লাঠি পুঁতে বানানো হয় গোলপোস্ট!
কিন্তু তারা ফুটবলকে ভালোবেসে আঁকড়ে ধরেছে। দলের অস্ট্রেলিয়ান কোচ স্ট্যান ফস্টার এই আবেগ দেখেই ফিফাকে অনুরোধ করেছেন, দেশটিতে এসে পর্যবেক্ষণ করে যেন সদস্যপদ দেওয়া হয়। সেই সদস্যপদও তারা চাইছে এএফসি বা এশিয়ার অধীনে। ফিফার সদস্যপদ পেলে দেশটি বেশ বড় অঙ্কের অনুদান পাবে। পাবে অবকাঠামোগত সাহায্যও। কোচ সময় দিতে বলছেন দলটাকে। অন্তত আট বছর। তখনই নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দেবে মাইক্রোনেশিয়া।
গত ম্যাচের পর আয়োজকেরা দাবি করছেন, ফুটবল ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় পরাজয়ের রেকর্ড। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় রেকর্ড বইয়ে এভাবে নাম লেখানোর সেই লজ্জার হাত থেকে বেঁচে গেছে মাইক্রোনেশিয়া। এখন এই রেকর্ডটি আমেরিকান সামোয়ার দখলে। ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩১-০ গোলে হেরেছিল তারা। কিন্তু তাতেও দমে যায়নি। অবিরাম চেষ্টায় এই ছোট্ট দেশটিও অবশেষে ২০১১ সালে টোঙ্গাকে হারিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক জয়ের দেখা পায়।
আমেরিকান সামোয়ার কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা নিতে পারে তারা। তবে মাইক্রোনেশিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় সুখবর হলো, আয়োজকেরা আশ্বস্ত করেছে, এমন খেলার পরও দলটাকে পরেরবারও আমন্ত্রণ জানানো হবে টুর্নামেন্টে। ‘...অংশগ্রহণই বড় কথা’র আপ্তবাক্যটি কখনো কখনো ভীষণ রকমের সত্যিও! এএফপি অবলম্বনে।
আয়তনে ঢাকা শহরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। জনসংখ্যা এক লাখের ওপরে। পাপুয়া নিউ গিনিতে চলমান প্যাসিফিক গেমসে অংশ নিতে গিয়ে একের পর এক ম্যাচে ভরাডুবি। তাও এমন নয় মহাশক্তিধর দলের কাছে এভাবে গোল হজম করতে হয়েছে। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ফিজি ১৯৫ নম্বরে, তাহিতি ১৮২, ভানুয়াতু ২০০। সব মিলিয়ে ফিফার র্যাঙ্কিংয়ে আছেই ২০৯টি দেশ।
এর মধ্যে অবশ্য মাইক্রোনেশিয়া নেই। এই ম্যাচগুলোও আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বীকৃতি পায়নি। আসলে মাইক্রোনেশিয়াই এখনো ফিফা সদস্য হয়নি। তবে তারা সদস্য হতে চায়। মাত্র দেড় বছর আগে ফুটবলে প্রথম লাথি মেরেছিলেন এই দলের ফুটবলাররা। বেশির ভাগ সময়ই হয়তো সৈকতের বালুকাবেলায়। দলের এক খেলোয়াড় তো স্বীকার করে নিয়েছেন, তাদের মাঠে গোলপোস্টও থাকে না। হয়তো দুটো লাঠি পুঁতে বানানো হয় গোলপোস্ট!
কিন্তু তারা ফুটবলকে ভালোবেসে আঁকড়ে ধরেছে। দলের অস্ট্রেলিয়ান কোচ স্ট্যান ফস্টার এই আবেগ দেখেই ফিফাকে অনুরোধ করেছেন, দেশটিতে এসে পর্যবেক্ষণ করে যেন সদস্যপদ দেওয়া হয়। সেই সদস্যপদও তারা চাইছে এএফসি বা এশিয়ার অধীনে। ফিফার সদস্যপদ পেলে দেশটি বেশ বড় অঙ্কের অনুদান পাবে। পাবে অবকাঠামোগত সাহায্যও। কোচ সময় দিতে বলছেন দলটাকে। অন্তত আট বছর। তখনই নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দেবে মাইক্রোনেশিয়া।
গত ম্যাচের পর আয়োজকেরা দাবি করছেন, ফুটবল ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় পরাজয়ের রেকর্ড। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় রেকর্ড বইয়ে এভাবে নাম লেখানোর সেই লজ্জার হাত থেকে বেঁচে গেছে মাইক্রোনেশিয়া। এখন এই রেকর্ডটি আমেরিকান সামোয়ার দখলে। ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩১-০ গোলে হেরেছিল তারা। কিন্তু তাতেও দমে যায়নি। অবিরাম চেষ্টায় এই ছোট্ট দেশটিও অবশেষে ২০১১ সালে টোঙ্গাকে হারিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক জয়ের দেখা পায়।
আমেরিকান সামোয়ার কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা নিতে পারে তারা। তবে মাইক্রোনেশিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় সুখবর হলো, আয়োজকেরা আশ্বস্ত করেছে, এমন খেলার পরও দলটাকে পরেরবারও আমন্ত্রণ জানানো হবে টুর্নামেন্টে। ‘...অংশগ্রহণই বড় কথা’র আপ্তবাক্যটি কখনো কখনো ভীষণ রকমের সত্যিও! এএফপি অবলম্বনে।
No comments