ফ্রান্স চায় না গ্রিস ইউরোজোন ছাড়ুক
গ্রিস ইউরোজোন ছেড়ে যাক, এই ঝুঁকি নিতে পারে না ফ্রান্স। ইউরোজোনে গ্রিস যাতে থাকতে পারে, এ ব্যাপারে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাবে তারা। আজ মঙ্গলবার ফ্রেঞ্চ রেডিওকে এ কথা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস।
এএফপির খবরে জানানো হয়, ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গ্রিসের ইউরোজোন ছেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চায় না ফ্রান্স। কারণ গ্রিস ইউরোজোন ছাড়লে বিশ্বের অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
গ্রিসের গণভোট ও কঠোর শর্তভরা আর্থিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি (বেইল আউট) প্রত্যাখ্যানের পর ইউরোজোনের নেতারা জরুরি বৈঠকের বসার কয়েক ঘণ্টা আগে ভালস এ কথা বললেন।
এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ বেইল আউট নিয়ে ভেবেচিন্তে প্রস্তাব দিতে গ্রিসের প্রতি আহ্বান জানান।
বিপুল ঋণ থেকে গ্রিসের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কঠোর শর্ত দিয়ে প্রস্তাব দেয় ঋণদাতার। এরমধ্যে রয়েছে বিক্রয়মূল্যের ওপর কর বাড়ানো, পেনশনে কাটছাঁট ও প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানো। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সে সময় থেকে দফায় দফায় ঋণ নিয়েছিল গ্রিস। এর পরিমাণ ১৬৯ বিলিয়ন ইউরো। ঋণদাতাদের কৃচ্ছ্রসাধনের এসব প্রস্তাব নিয়ে কয়েক মাসের আলোচনা নিষ্ফল হয়ে যায়। এর মধ্যে একপর্যায়ে এসে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস ঘোষণা দেন, বেইল আউট কর্মসূচি নিয়ে গণরায় চান তিনি। ৫ জুলাইয়ের নির্বাচনের আগেই গত ৩০ জুন শেষ হয়ে যায় ঋণদাতা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১৬০ কোটি ইউরো ফেরত দেওয়ার সময়সীমা। রোববারের নির্বাচনে মোট ভোটারের ৬৩ শতাংশ অংশ নেয়। ৬১.৩১ শতাংশ গ্রিসবাসী জানিয়ে দেয়, দাতাদের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তারা। প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দেন ৩৯ শতাংশ ভোটার। এই রায়কে ‘অত্যন্ত সাহসী ইচ্ছার প্রতিফলন’ বলে অভিনন্দিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের দেওয়া রায়ের অর্থ এই নয় যে আমরা ইউরোপ থেকে বের হয়ে যাব। এই বিজয়ের অর্থ, সমস্যার ন্যায্য সমাধানে আমাদের দর-কষাকষির ক্ষমতা বাড়াল।’
তবে গণভোটের আগে নাখোশ ইউরোপীয় প্রতিপক্ষরা বলেই ফেলেছিল, নির্বাচনে ‘হ্যাঁ’ এর অর্থ ইউরোজোন থেকে গ্রিসের নিশ্চিত বিদায়। তবে সিপ্রাস বলেছেন, তিনি আলোচনার টেবিলে ফিরে যেতে চান। তিনি যে আলোচনার দরজা বন্ধ করেননি, তা জানান দিয়ে ফোন করে কথা বলেন গ্রিসের ওপর চরম বিরক্ত জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ঋণদাতা সংস্থা ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) প্রধান মারিও দ্রাগিম ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। সিপ্রাস একাই নন, গ্রিসের প্রেসিডেন্ট প্রোকোপিস পাভলোপউলোস কথা বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সঙ্গেও।
ম্যার্কেলের সঙ্গে সিপ্রাসের ফোনালাপে সাব্যস্ত হয়, আজ মঙ্গলবার ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে নতুন প্রস্তাব জার্মানির কাছে তুলে ধরবেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী।
এএফপির খবরে জানানো হয়, ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গ্রিসের ইউরোজোন ছেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চায় না ফ্রান্স। কারণ গ্রিস ইউরোজোন ছাড়লে বিশ্বের অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
গ্রিসের গণভোট ও কঠোর শর্তভরা আর্থিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি (বেইল আউট) প্রত্যাখ্যানের পর ইউরোজোনের নেতারা জরুরি বৈঠকের বসার কয়েক ঘণ্টা আগে ভালস এ কথা বললেন।
এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ বেইল আউট নিয়ে ভেবেচিন্তে প্রস্তাব দিতে গ্রিসের প্রতি আহ্বান জানান।
বিপুল ঋণ থেকে গ্রিসের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কঠোর শর্ত দিয়ে প্রস্তাব দেয় ঋণদাতার। এরমধ্যে রয়েছে বিক্রয়মূল্যের ওপর কর বাড়ানো, পেনশনে কাটছাঁট ও প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানো। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সে সময় থেকে দফায় দফায় ঋণ নিয়েছিল গ্রিস। এর পরিমাণ ১৬৯ বিলিয়ন ইউরো। ঋণদাতাদের কৃচ্ছ্রসাধনের এসব প্রস্তাব নিয়ে কয়েক মাসের আলোচনা নিষ্ফল হয়ে যায়। এর মধ্যে একপর্যায়ে এসে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস ঘোষণা দেন, বেইল আউট কর্মসূচি নিয়ে গণরায় চান তিনি। ৫ জুলাইয়ের নির্বাচনের আগেই গত ৩০ জুন শেষ হয়ে যায় ঋণদাতা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১৬০ কোটি ইউরো ফেরত দেওয়ার সময়সীমা। রোববারের নির্বাচনে মোট ভোটারের ৬৩ শতাংশ অংশ নেয়। ৬১.৩১ শতাংশ গ্রিসবাসী জানিয়ে দেয়, দাতাদের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তারা। প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দেন ৩৯ শতাংশ ভোটার। এই রায়কে ‘অত্যন্ত সাহসী ইচ্ছার প্রতিফলন’ বলে অভিনন্দিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের দেওয়া রায়ের অর্থ এই নয় যে আমরা ইউরোপ থেকে বের হয়ে যাব। এই বিজয়ের অর্থ, সমস্যার ন্যায্য সমাধানে আমাদের দর-কষাকষির ক্ষমতা বাড়াল।’
তবে গণভোটের আগে নাখোশ ইউরোপীয় প্রতিপক্ষরা বলেই ফেলেছিল, নির্বাচনে ‘হ্যাঁ’ এর অর্থ ইউরোজোন থেকে গ্রিসের নিশ্চিত বিদায়। তবে সিপ্রাস বলেছেন, তিনি আলোচনার টেবিলে ফিরে যেতে চান। তিনি যে আলোচনার দরজা বন্ধ করেননি, তা জানান দিয়ে ফোন করে কথা বলেন গ্রিসের ওপর চরম বিরক্ত জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ঋণদাতা সংস্থা ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) প্রধান মারিও দ্রাগিম ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। সিপ্রাস একাই নন, গ্রিসের প্রেসিডেন্ট প্রোকোপিস পাভলোপউলোস কথা বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সঙ্গেও।
ম্যার্কেলের সঙ্গে সিপ্রাসের ফোনালাপে সাব্যস্ত হয়, আজ মঙ্গলবার ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে নতুন প্রস্তাব জার্মানির কাছে তুলে ধরবেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী।
No comments