সিলেট নগরে অবৈধ যানে যানজট প্রকট
রোববার,
বেলা ১১টা। কোর্ট পয়েন্টের আশপাশের প্রতিটি রাস্তা যানজটে স্থবির। ঘণ্টা
খানেক ধরে এমন অবস্থা চলছে বলে জানালেন কয়েকজন দোকানি। কোর্ট পয়েন্ট থেকে
আশপাশের অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়েছে এই যানজট। দুপুর সাড়ে
১২টা পর্যন্ত যাত্রীদের যানবাহনেই বসে থাকতে দেখা গেল। পৌনে একটার দিকে
যানজট ধীরে ধীরে সহনীয় হয়ে আসে। বেলা সোয়া তিনটার দিকে পুনরায় কোর্ট
পয়েন্টে গিয়ে তীব্র যানজট লক্ষ করা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোর্ট পয়েন্ট থেকে সুরমা মার্কেট, তালতলা, কিনব্রিজ; কোর্ট পয়েন্ট থেকে বন্দরবাজার, ধোপাদীঘিরপাড়, সোবহানীঘাট এবং কোর্ট পয়েন্ট থেকে জিন্দাবাজার, মির্জাজাঙ্গাল, বারুতখানা, জেলরোড ও নাইওরপুল এলাকায় যানজট অসহনীয় রূপ নেয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নানা সময়ে এসব এলাকায় অবস্থান নিয়ে দিনভর থেমে থেমে যানজট হওয়ার বিষয়টি চোখে পড়েছে।
বেলা দেড়টার দিকে জেলরোড এলাকায় কথা হয় গৃহিণী খায়রুন্নেছার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘লামাবাজার থেকে সাড়ে ১২টায় রওনা দিছিলাম। আমার বাসা মীরাবাজারে যেতে বড়জোর ২০ মিনিট লাগার কথা। যানজটে এখনো অর্ধেক রাস্তাত আছি। কোন সময় যে বাসায় ফিরমু, তাও বুঝতা পারছি না।’
সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত প্রতিবেদকদ্বয় নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গিয়ে যানজটের বিষয়টি লক্ষ করেন। এ সময় দেখা গেছে, নগরের আম্বরখানা, সুবিদবাজার, নয়াসড়ক, কাজীটোলা, কুমারপাড়া, মীরাবাজার, শিবগঞ্জ, লামাবাজার, রিকাবীবাজার, কাজলশাহ, লালদীঘিরপাড়, কালীঘাট, কাজিরবাজার, শেখঘাট, কিনব্রিজ, কদমতলী ও ভার্তখলা এলাকায় যানজট তীব্র রূপ নিয়েছে। পর্যবেক্ষণের পুরো সময়টায় এলাকাগুলোতে কমবেশি যানজট দেখা গেছে।
ঈদ উপলক্ষে নগরে অবৈধ যানবাহন বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিকেই নগরে সাম্প্রতিক সময়ে যানজট বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করছে মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স শাখা জানিয়েছে, নগরে বর্তমানে বৈধ রিকশা রয়েছে ১২ হাজার। এর বাইরে গত ১০ দিনে অন্তত ১৫-২০ হাজার অবৈধ রিকশা নেমেছে। পাশাপাশি নগরের রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত প্রায় ২০ হাজার অবৈধ রিকশা।
অবৈধ রিকশা বেড়ে যাওয়া ছাড়াও আরও পাঁচটি কারণে যানজট অসহনীয় রূপ নিয়েছে বলে পুলিশ ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মনে করছে। কারণগুলো হলো নিষিদ্ধঘোষিত ইজিবাইকের অবাধ চলাচল, ফুটপাত বেদখল, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট এবং ঈদ সামনে রেখে প্রচুর মানুষের কেনাকাটায় বেরোনো।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, যানজট নিরসনের লক্ষ্যে অবৈধ রিকশা ও যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য সিটি করপোরেশন মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে অনুরোধ জানিয়েছে। ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য পরিচালিত অভিযানে যানবাহন এবং লোকবল দিয়ে পুলিশকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিটি করপোরেশন নোটিশ দিয়ে রিকশা তৈরি না করার নির্দেশ দিয়েছে।
বেলা আড়াইটার দিকে আম্বরখানা মোড়ে যানজটে যাত্রী নিয়ে আটকে থাকা রিকশাচালক রফিকুল মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘অবৈধ রিকশায় শহর ভরি গেছে। যানজট লাগলে আর ছুটে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বই (বসে) থাকা লাগতাছে।’
মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ যানজট বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছে, যানজট মোকাবিলায় রমজানের শুরু থেকেই অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৩০ জন যোগ হওয়ায় এখন ১৩০ জন পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনুমোদনবিহীন অবৈধ রিকশা এবং ইজিবাইকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। শিগগিরই আরও জোরেশোরে অভিযান চালানো হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোর্ট পয়েন্ট থেকে সুরমা মার্কেট, তালতলা, কিনব্রিজ; কোর্ট পয়েন্ট থেকে বন্দরবাজার, ধোপাদীঘিরপাড়, সোবহানীঘাট এবং কোর্ট পয়েন্ট থেকে জিন্দাবাজার, মির্জাজাঙ্গাল, বারুতখানা, জেলরোড ও নাইওরপুল এলাকায় যানজট অসহনীয় রূপ নেয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নানা সময়ে এসব এলাকায় অবস্থান নিয়ে দিনভর থেমে থেমে যানজট হওয়ার বিষয়টি চোখে পড়েছে।
বেলা দেড়টার দিকে জেলরোড এলাকায় কথা হয় গৃহিণী খায়রুন্নেছার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘লামাবাজার থেকে সাড়ে ১২টায় রওনা দিছিলাম। আমার বাসা মীরাবাজারে যেতে বড়জোর ২০ মিনিট লাগার কথা। যানজটে এখনো অর্ধেক রাস্তাত আছি। কোন সময় যে বাসায় ফিরমু, তাও বুঝতা পারছি না।’
সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত প্রতিবেদকদ্বয় নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গিয়ে যানজটের বিষয়টি লক্ষ করেন। এ সময় দেখা গেছে, নগরের আম্বরখানা, সুবিদবাজার, নয়াসড়ক, কাজীটোলা, কুমারপাড়া, মীরাবাজার, শিবগঞ্জ, লামাবাজার, রিকাবীবাজার, কাজলশাহ, লালদীঘিরপাড়, কালীঘাট, কাজিরবাজার, শেখঘাট, কিনব্রিজ, কদমতলী ও ভার্তখলা এলাকায় যানজট তীব্র রূপ নিয়েছে। পর্যবেক্ষণের পুরো সময়টায় এলাকাগুলোতে কমবেশি যানজট দেখা গেছে।
ঈদ উপলক্ষে নগরে অবৈধ যানবাহন বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিকেই নগরে সাম্প্রতিক সময়ে যানজট বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করছে মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স শাখা জানিয়েছে, নগরে বর্তমানে বৈধ রিকশা রয়েছে ১২ হাজার। এর বাইরে গত ১০ দিনে অন্তত ১৫-২০ হাজার অবৈধ রিকশা নেমেছে। পাশাপাশি নগরের রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত প্রায় ২০ হাজার অবৈধ রিকশা।
অবৈধ রিকশা বেড়ে যাওয়া ছাড়াও আরও পাঁচটি কারণে যানজট অসহনীয় রূপ নিয়েছে বলে পুলিশ ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মনে করছে। কারণগুলো হলো নিষিদ্ধঘোষিত ইজিবাইকের অবাধ চলাচল, ফুটপাত বেদখল, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট এবং ঈদ সামনে রেখে প্রচুর মানুষের কেনাকাটায় বেরোনো।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, যানজট নিরসনের লক্ষ্যে অবৈধ রিকশা ও যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য সিটি করপোরেশন মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে অনুরোধ জানিয়েছে। ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য পরিচালিত অভিযানে যানবাহন এবং লোকবল দিয়ে পুলিশকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিটি করপোরেশন নোটিশ দিয়ে রিকশা তৈরি না করার নির্দেশ দিয়েছে।
বেলা আড়াইটার দিকে আম্বরখানা মোড়ে যানজটে যাত্রী নিয়ে আটকে থাকা রিকশাচালক রফিকুল মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘অবৈধ রিকশায় শহর ভরি গেছে। যানজট লাগলে আর ছুটে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বই (বসে) থাকা লাগতাছে।’
মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ যানজট বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছে, যানজট মোকাবিলায় রমজানের শুরু থেকেই অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৩০ জন যোগ হওয়ায় এখন ১৩০ জন পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনুমোদনবিহীন অবৈধ রিকশা এবং ইজিবাইকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। শিগগিরই আরও জোরেশোরে অভিযান চালানো হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
No comments