গঙ্গাচড়া বেনারসি পল্লী খুট খুট শব্দে মুখরিত by আব্দুল বারী স্বপন
রংপুরের
গঙ্গাচড়ার বেনারসি পল্লীতে ঈদের ব্যস্ততা বেড়েছে। কারিগররা তৈরি করছে
নিখুঁতভাবে একেকটি বেনারসির বাহারি শাড়ি। খুট খুট শব্দে মুখরিত বেনারসি
পল্লী। গঙ্গাচড়ার গজঘণ্টা ইউনিয়নের হাবু বেনারসি পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়,
কারিগররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে তাঁত বোনা যন্ত্রের মুখরিত খুট খুট শব্দে যেন
ঈদের মধ্যেই ক্রেতাদের হাতে বাহারি রং ও বিভিন্ন ডিজাউনের শাড়ি তুলে দেয়া
যায়। কারিগররা জানান, একটি বেনারসি শাড়ি তৈরি করতে ৪-৫ দিন সময় লাগে। এতে
খরচ হয় ৫-৬ হাজার টাকা। মজুরি পান তারা শাড়িপ্রতি ৫-৬ শ’ টাকা। শাড়িটি
বাজারে বিক্রি হয় প্রকার ভেদে ৭-৯ হাজার টাকা পর্যন্ত। সময়ের খাওয়া অসময়ে
খেয়ে ঈদ বাজারে সারা দেশে বেনারসি সরবরাহে এ পরিশ্রম করছেন তারা। তবে এ আয়ে
তাদের সংসার চলা খুবই কঠিন বলে জানান শ্রমিক জাকির, গিয়াস, মজিদ, আফছারসহ
অনেকে। নারী শ্রমিক আমেনা, জমিলা, ছাবিনা বলেন, শাড়িতে সুতা তোলাসহ
অন্যান্য কাজ করতে তারা শাড়িপ্রতি মজুরি পান ৩০-৪০ টাকা। সপ্তাহে ১৮-২০টির
বেশি শাড়ির সুতা তোলা যায় না। স্বল্প মজুরিতে তাদের কষ্ট করে সংসার চালাতে
হয়। রোজার মাসে বেনারসি পল্লীতে কাজের ব্যস্ততা বাড়লেও শ্রমিকদের ভাগ্যের
পরিবর্তন হয়নি। অন্যের জন্য নতুন ডিজাউনের বেনারসি তৈরি করলেও সামান্য আয়ে
নিজেদের পরিবারের জন্য ঈদের ভাল কাপড় কিনতে পারেন না। দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই
করে থাকতে হয় তাদের। অপরদিকে মালিকরা জানান, পল্লীতে আধুনিক ডায়িং মেশিন
না থাকায় ডায়িংয়ের কাজ ঢাকায় করানো হয়। একটি ডায়িং মেশিন কিনতে প্রায় কোটি
টাকা লাগে, যা কেনার সামর্থ্য আমাদের নেই।
ফলে ঢাকার মহাজনদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি। তাদের টাকায় রং ও সুতা কিনতে হয়। আমাদের কাছ থেকে শাড়ি নিয়ে তারা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করে। ঢাকা যাতায়াত ও ডায়িং খরচ সহ লাভ আমাদেরও তেমন একটা হয় না। পরিবার নিয়ে কোন রকম টিকে আছি এ শিল্পে।
জানা যায়, উপজেলার তালুক হাবু গ্রামের ৬৭টি তাঁতী পরিবার নিজেদের উদ্যোগে ২০০৫ সালে গড়ে তুলে বেনারসি পল্লী। শুরুতে কদর বাড়লেও পুঁজি সংকট ও বিপণন সমস্যার জন্য বেশি ধরে রাখতে পারেনি। বন্ধ হয় ৫০টি তাঁত। বেকার হয় অনেক শ্রমিক, পথে বসেন মালিকরা। সংকট উত্তোরণে এগিয়ে আসে সরকার। বেনারসি পল্লী প্রকল্প নামে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। উৎপাদিত বেনারসি শাড়ি বিক্রি ও প্রদর্শনের জন্য ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে রংপুরে ও ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকায় প্রদর্শনী কেন্দ্র স্থাপনের কাজ করে। বেনারসি শিল্পকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য দেয়া হয় প্রশিক্ষণ। বর্তমানে হাবু বেনারসি পল্লীসহ আশপাশের এলাকায় ১৩২ জন মালিকের ৬’শ তাঁত রয়েছে। কর্মরত রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিক। বছরে ১ হাজারের বেশি শাড়ি তৈরি হয়। যা দেশের চাহিদা সহ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
ফলে ঢাকার মহাজনদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি। তাদের টাকায় রং ও সুতা কিনতে হয়। আমাদের কাছ থেকে শাড়ি নিয়ে তারা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করে। ঢাকা যাতায়াত ও ডায়িং খরচ সহ লাভ আমাদেরও তেমন একটা হয় না। পরিবার নিয়ে কোন রকম টিকে আছি এ শিল্পে।
জানা যায়, উপজেলার তালুক হাবু গ্রামের ৬৭টি তাঁতী পরিবার নিজেদের উদ্যোগে ২০০৫ সালে গড়ে তুলে বেনারসি পল্লী। শুরুতে কদর বাড়লেও পুঁজি সংকট ও বিপণন সমস্যার জন্য বেশি ধরে রাখতে পারেনি। বন্ধ হয় ৫০টি তাঁত। বেকার হয় অনেক শ্রমিক, পথে বসেন মালিকরা। সংকট উত্তোরণে এগিয়ে আসে সরকার। বেনারসি পল্লী প্রকল্প নামে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। উৎপাদিত বেনারসি শাড়ি বিক্রি ও প্রদর্শনের জন্য ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে রংপুরে ও ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকায় প্রদর্শনী কেন্দ্র স্থাপনের কাজ করে। বেনারসি শিল্পকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য দেয়া হয় প্রশিক্ষণ। বর্তমানে হাবু বেনারসি পল্লীসহ আশপাশের এলাকায় ১৩২ জন মালিকের ৬’শ তাঁত রয়েছে। কর্মরত রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিক। বছরে ১ হাজারের বেশি শাড়ি তৈরি হয়। যা দেশের চাহিদা সহ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
No comments