সুন্দরবনে বাঘ কমেছে ৬৯ শতাংশ
সুন্দরবনের
মধ্যকার পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, খাদ্যাভাব, রোগাক্রান্ত ও শিকারীদের
কারণে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা দিন দিন কমছে। গত কয়েক বছরে সুন্দরবনের
বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ৬৯ শতাংশ কমেছে। ভারতের অংশে বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পাঁচ বছরের মধ্যে সুন্দরবন থেকে বাঘ বিলুপ্ত হবে।
বন বিভাগ ও বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী ট্রাস্টের এক জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে সুন্দরবন
রক্ষা জাতীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে
বলা হয়, উজানের দেশ ভারতে আন্তঃসীমান্ত গঙ্গা ও অন্যান্য নদীর পানি আটক ও
সরিয়ে নেয়ার ফলে সুন্দরবনের মধ্যকার পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই
বনের গাছগুলো কিছুটা লবণ সহনশীল হলেও অতিরিক্ত লবণ বনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে
দিচ্ছে। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্যানেলের চতুর্থ
প্রতিবেদন মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা ২৮
সেন্টিমিটার বাড়লে বনের অনেক কিছুর সঙ্গে রয়েল বেঙ্গল টাইগারও বিলুপ্ত হবে।
বাংলাদেশের সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডাব্লিউএমের মতে, দেশের ১৪টি
উপকূলীয় শহর জলোচ্ছ্বাসের হুমকির মুখে রয়েছে। জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি
পাওয়ার ফলে চোরা শিকারিদের তৎপরতাও বেড়েছে। সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে বন থেকে
বাঘের শাবক পাচার হওয়া মামলা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। গেল পাঁচ বছরে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা এলাকা থেকে
পাঁচটি বাঘের চামড়া উদ্ধার করে। সুন্দরবন বিভাগের সূত্র জানিয়েছে, বাঘ না
থাকলে বনের জীব বৈচিত্র্য থাকবে না। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের চেয়ে বাঘ শিকারি ও
মানবসৃষ্ট কারণ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য এখন বড় হুমকি। বাঘের বিচরণ
ক্ষেত্র সাতক্ষীরা রেঞ্জ, কচিখালি, কটকা, চান্দেশ্বর, কুকিলমুনি ও শাপলা
খালিতে শিকারিদের তৎপরতা বেশি। এসব স্থানে বাঘের চলাচল কমে গেছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও প্রকৃতি বিভাগের ডিএফও মো. জাহেদুল কবির জানান,
বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। ১১ বছর আগে পায়ের ছাপ
নিয়ে বাঘ শুমারি পদ্ধতি ভুল ছিল। এ পদ্ধতিতে কয়েকগুণ বেশি দেখানো হয়েছে।
খুবির সুন্দরবন রিচার্স সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিনিয়ত হত্যা ও পাচারের কারণে বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বাঘ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া হলে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জুন মাসে সংসদকে জানান, গত ১৫ বছরে গণপিটুনিতে ১৪টি, শিকারিদের হাতে ৪টি এবং বার্ধক্য, অসুস্থজনিত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাতটি বাঘ মারা যায়। ২০০৪ সালে সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪৪০টি।
খুবির সুন্দরবন রিচার্স সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিনিয়ত হত্যা ও পাচারের কারণে বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বাঘ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া হলে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জুন মাসে সংসদকে জানান, গত ১৫ বছরে গণপিটুনিতে ১৪টি, শিকারিদের হাতে ৪টি এবং বার্ধক্য, অসুস্থজনিত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাতটি বাঘ মারা যায়। ২০০৪ সালে সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪৪০টি।
No comments