ঋণদাতাদের কঠিন শর্ত প্রত্যাখ্যান করল গ্রিস: সামনের পথ পরিষ্কার নয়
‘না’ ভোটের সমর্থকদের সঙ্গে রোববার বিজয় উদ্যাপন করছেন গ্রিস পার্লামেন্টর প্রেসিডেন্ট। ছবি: এএফপি |
গ্রিসের
গণভোটে ‘না’-এর পক্ষে রায় দিয়ে ঋণদাতাদের কঠোর শর্তভরা আর্থিক
পুনরুদ্ধার কর্মসূচিকে (বেইল আউট) প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির মানুষ। কিন্তু
এর অর্থ কী? এই ভোটের ফল কি দেশটির অর্থনীতিকে রক্ষা করতে পারবে, নাকি আরও
বিপদ তাদের সামনে? কঠিন এসব প্রশ্নের মুখে এখন গ্রিস, ইউরোপসহ বাকি বিশ্ব।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে আজ ও আগামীকাল রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার প্রহর কাটাতে হবে। কেননা, সামনের দিনগুলোতে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে সম্ভাব্য কিছু পথের দিশা দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি।
গ্রিসের ইউরোজোন ত্যাগ: নির্বাচনের আগে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস বলেছিলেন, ‘ঋণদাতাদের সঙ্গে আলোচনায় তাঁর অবস্থানকে শক্তিশালী করবে ‘না’ ভোট। এর অর্থ ইউরোজোন থেকে চলে যাওয়া নয়।’ তবে ঠিক উল্টো মত ইউরোপীয় নেতাদের। জার্মানির মন্ত্রী এবং ইতালি ও ফ্রান্সের নেতাদের মত, ‘না’-এর অর্থ হলো গ্রিসের ইউরোজোনে না থাকা। ভোটের ফলাফল জানা হয়ে যাওয়ার পর গত রোববার রাতেই জার্মানির ডেপুটি চ্যান্সেলর সিগমার গ্যাব্রিয়েল বলেছেন, ‘সিপ্রাস ইউরোপের সঙ্গে সমঝোতার শেষ সেতুটি ভেঙে ফেলেছেন।’
গ্রিসের সম্ভাব্য ইউরোজোন ত্যাগ নিয়ে এখন একের পর এক সভা হবে। গতকালই জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) পরিচালনা পর্ষদ সভাও ছিল গতকাল। আজ মঙ্গলবার ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রী ও নেতারা বৈঠকে বসছেন।
দ্য ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) বলছে, গ্রিসের ইউরোজোন ত্যাগের সম্ভাবনা এখন ৬০ শতাংশ। সংস্থার জোয়ান হোয়ে বলেন, ‘গণভোটের ফলাফলে দুই পক্ষেরই সমান সুযোগ তৈরি হয়েছে। একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে বড় ধরনের কোনো ছাড় দেওয়াটা সিপ্রাসের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। উল্টোদিকে ইউরোপীয় নেতাদের পক্ষেও নৈতিক কারণেই বড় ছাড় দেওয়াটা সমপরিমাণ জটিল হয়ে যাবে।’
ব্যাংক খাতের পতন: ‘না’ জয়ী হলে আজ মঙ্গলবারের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া ব্যাংকগুলো খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল গ্রিসের সরকার। তবে ইসিবি গ্রিসের ব্যাংকগুলোকে জরুরি তারল্য-সহায়তা (ইএলএ) দেবে কি না, তা একেবারেই অনিশ্চিত। সেই সহায়তা না পেলে ব্যাংকগুলোকে স্রেফ বন্ধের দিন গুনতে হবে। এর একটি বিকল্প হতে পারে, তাদের পুরোনো মুদ্রায় যাওয়ার আগে চলমান মুদ্রায় থেকে ব্যাংক চালু করা।
নতুন সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন: ২০ জুলাই সামনে। ওই দিনের মধ্যে গ্রিসকে অবশ্যই ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) সাড়ে তিন শ কোটি ইউরো ফেরত দিতেই হবে। এটি প্রকৃত অর্থেই দাতাদের মূল সময়সীমা। এর আগে ৩০ জুন আইএমএফের ১৬০ কোটি ইউরো ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়েছে গ্রিস। তবে ইসিবির অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে এর ফলাফল হবে ভয়াবহ। এর ফলে ইসিবি গ্রিসের ব্যাংকগুলোকে যে জরুরি সহায়তা দিচ্ছিল, তা বন্ধ করে দেবে। দেশটির সব ব্যাংক ধ্বংসের মুখে পড়বে। ইউরোজোন থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হবে গ্রিস। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে গ্রিসের সম্পর্ক আরও নাজুক হয়ে যাবে।
পদত্যাগে নতুন চুক্তির সুযোগ: গ্রিসের অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারোফোকিস নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করলেন। এর ফলে ঋণ-সহায়তাসংক্রান্ত চুক্তির পথ অনেকটা সুগম হলো বলে মনে করা হচ্ছে। পদত্যাগপত্রে ভারোফোকিস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, তাঁর ‘অনুপস্থিতিতে’ ইউরো গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া সহজতর হতে পারে। এর ফল পাওয়া গেছে সঙ্গে সঙ্গেই। ডলারের বিপরীতে বেড়েছে ইউরোর দাম। ইউরোজোনের নেতারাও চেয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী না থাকুন। তবে তাঁর পদত্যাগেই যে একটি চুক্তি হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে আজ ও আগামীকাল রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার প্রহর কাটাতে হবে। কেননা, সামনের দিনগুলোতে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে সম্ভাব্য কিছু পথের দিশা দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি।
গ্রিসের ইউরোজোন ত্যাগ: নির্বাচনের আগে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস বলেছিলেন, ‘ঋণদাতাদের সঙ্গে আলোচনায় তাঁর অবস্থানকে শক্তিশালী করবে ‘না’ ভোট। এর অর্থ ইউরোজোন থেকে চলে যাওয়া নয়।’ তবে ঠিক উল্টো মত ইউরোপীয় নেতাদের। জার্মানির মন্ত্রী এবং ইতালি ও ফ্রান্সের নেতাদের মত, ‘না’-এর অর্থ হলো গ্রিসের ইউরোজোনে না থাকা। ভোটের ফলাফল জানা হয়ে যাওয়ার পর গত রোববার রাতেই জার্মানির ডেপুটি চ্যান্সেলর সিগমার গ্যাব্রিয়েল বলেছেন, ‘সিপ্রাস ইউরোপের সঙ্গে সমঝোতার শেষ সেতুটি ভেঙে ফেলেছেন।’
গ্রিসের সম্ভাব্য ইউরোজোন ত্যাগ নিয়ে এখন একের পর এক সভা হবে। গতকালই জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) পরিচালনা পর্ষদ সভাও ছিল গতকাল। আজ মঙ্গলবার ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রী ও নেতারা বৈঠকে বসছেন।
দ্য ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) বলছে, গ্রিসের ইউরোজোন ত্যাগের সম্ভাবনা এখন ৬০ শতাংশ। সংস্থার জোয়ান হোয়ে বলেন, ‘গণভোটের ফলাফলে দুই পক্ষেরই সমান সুযোগ তৈরি হয়েছে। একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে বড় ধরনের কোনো ছাড় দেওয়াটা সিপ্রাসের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। উল্টোদিকে ইউরোপীয় নেতাদের পক্ষেও নৈতিক কারণেই বড় ছাড় দেওয়াটা সমপরিমাণ জটিল হয়ে যাবে।’
ব্যাংক খাতের পতন: ‘না’ জয়ী হলে আজ মঙ্গলবারের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া ব্যাংকগুলো খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল গ্রিসের সরকার। তবে ইসিবি গ্রিসের ব্যাংকগুলোকে জরুরি তারল্য-সহায়তা (ইএলএ) দেবে কি না, তা একেবারেই অনিশ্চিত। সেই সহায়তা না পেলে ব্যাংকগুলোকে স্রেফ বন্ধের দিন গুনতে হবে। এর একটি বিকল্প হতে পারে, তাদের পুরোনো মুদ্রায় যাওয়ার আগে চলমান মুদ্রায় থেকে ব্যাংক চালু করা।
নতুন সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন: ২০ জুলাই সামনে। ওই দিনের মধ্যে গ্রিসকে অবশ্যই ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) সাড়ে তিন শ কোটি ইউরো ফেরত দিতেই হবে। এটি প্রকৃত অর্থেই দাতাদের মূল সময়সীমা। এর আগে ৩০ জুন আইএমএফের ১৬০ কোটি ইউরো ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়েছে গ্রিস। তবে ইসিবির অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে এর ফলাফল হবে ভয়াবহ। এর ফলে ইসিবি গ্রিসের ব্যাংকগুলোকে যে জরুরি সহায়তা দিচ্ছিল, তা বন্ধ করে দেবে। দেশটির সব ব্যাংক ধ্বংসের মুখে পড়বে। ইউরোজোন থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হবে গ্রিস। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে গ্রিসের সম্পর্ক আরও নাজুক হয়ে যাবে।
পদত্যাগে নতুন চুক্তির সুযোগ: গ্রিসের অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারোফোকিস নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করলেন। এর ফলে ঋণ-সহায়তাসংক্রান্ত চুক্তির পথ অনেকটা সুগম হলো বলে মনে করা হচ্ছে। পদত্যাগপত্রে ভারোফোকিস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, তাঁর ‘অনুপস্থিতিতে’ ইউরো গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া সহজতর হতে পারে। এর ফল পাওয়া গেছে সঙ্গে সঙ্গেই। ডলারের বিপরীতে বেড়েছে ইউরোর দাম। ইউরোজোনের নেতারাও চেয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী না থাকুন। তবে তাঁর পদত্যাগেই যে একটি চুক্তি হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
No comments