দ্বিতীয় খেলাতেও হার বাংলাদেশের by ইশতিয়াক পারভেজ
শঙ্কা
ছিল হোয়াইটওয়াশের। অবশেষে হলোও তাই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩১ রানে হেরে
টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করলো মাশরাফী বাহিনী। নিজেদের মাঠে বড় বড় দলকে
বাংলাওয়াশ করে সিরিজ হারিয়ে উড়তে থাকা টাইগারদের মাটিতে নামালো প্রোটিয়ারা।
সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অবস্থানটাও পরিষ্কার করে দিলো ফ্যাফ
বাহিনী। হোয়াইটওয়াশের শঙ্কা থেকে ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নেমে ছিল
টাইগাররা। কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতোই ব্যাটসম্যানরা ১৭০ রানের টার্গেট তাড়া
করে জয় এনে দিতে পারলেন না। ৬ ব্যাটসম্যান অহেতুক ও ভুল শট খেলে ক্যাচ
দিয়ে ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। তিন ব্যাটসম্যান হলেন সরাসরি বোল্ড। ফলাফল ৩১
রানে পরাজয়। ৫২ রানে প্রথম ম্যাচ হারের পর বলা হচ্ছিল ওপেনাররা দায়িত্ব
নিতে পারেননি। কিন্তু গতকাল দুই ওপেনার ৫.৫ ওভারে ৪৬ রানের জুটি গড়লেও
দায়িত্ব নিতে পারেননি মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটসম্যানরা।
টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ব্যাট হাতে একাই লড়াই করলেন রনি তালুকদার। অন্যদিকে
প্রোটিয়া দলে অভিষিক্ত লেগ স্পিনার এডি লি ৩ উইকেট নিয়ে হলেন ম্যাচসেরা।
অথচ আজ টি-টোয়েন্টি খেলেই তার দেশে ফিরার কথা ছিল। বাংলাদেশের উইকেটে
স্পিনারদের সাফল্য দেখে তাকে রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রোটিয়া টিম
ম্যানেজম্যান্ট। এ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের এটি চতুর্থ
টি-টোয়েন্টি হার। সেই সঙ্গে ৪৪ ম্যাচে ৩২তম হারও।
টাইগার স্পিনাররা ওপেন করতে আসা ডি কক ও ভিলিয়ার্সের ঝড় থামিয়ে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের ১৭০ রানের টার্গেট দেয় প্রোটিয়ারা। কিন্তু বাংলাদেশ দল ব্যাটিং ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে ১৯.২ ওভারে অল-আউট হয় ১৩৮ রানে। যথারীতি গতকালও পতন শুরু হয় ওপেনার তামিম ইকবালের আত্মাহুতি দিয়ে। প্রথম ম্যাচে ৪ বলে ৫ রান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ১৮ বলে করেন ১৩ রান। পারনেলের একটি স্লোয়ারে সজোরে হাঁকাতে যান তামিম কিন্তু ব্যাটে-বলে না হওয়াতে মিড উইকেটে ডেভিড ওয়াইসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। সেই শুরু হয় ক্যাচ দেয়ার মহড়া। পেসাররা যখন সৌম্য সরকারকে কাবুতে আনতে পারছিলেন না, তখনও অধিনায়ক অভিষিক্ত লেগ স্পিনার এডি লির হাতে বল তুলে দেন। তামিম ইকবালের বিদায়ের পর মাত্র ৯ রান যোগ হতেই সৌম্য স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার। এডি লির বলটি না বুঝেই তিনি এগিয়ে এসেছিলেন শট খেলতে। কিন্তু বলটি ফাঁকি দিয়ে উইকেটের পেছনে ডি ককের হাতে যেতেই সৌম্যকে ক্রিজে ফেরার সুযোগ দেননি তিনি। এরপর সাকিব ৮, সাব্বির ১, মুশফিক ১৯ ও নাসির ০ রান করে যেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডারদের রুশু ও মিলারকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করালেন। সাকিব লং অফে ফাঙ্গিসোর বলে রুশুর হাতে, সাব্বির মিড উইকেটে লির বলে মিলারকে, মুশফিকও লির বলে শর্ট কভারে রুশুকে, নাসিরও শুরুর হাতে লং অফে ফাঙ্গিসোর বলে ক্যাচ দিলেন।
এরপর লিটন দাস ও অভিষিক্ত রনি তালুকদার দলের পক্ষে সপ্তম উইকেটে ২১ রানের জুটি গড়লেন। অথচ আগের ২২ রান করা লিটও ফাঙ্গিসোর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নিলেন। এবার রনির সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ২২ রানের জুটি বাঁধলেন অধিনায়ক মাশরাফী বিন মুর্তজা। অ্যাবোটের বলে সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে দলের পক্ষে পরপর দুটি ছয়ের মারও হাঁকালেন। করলেন ৮ বলে ১৭ রান। শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ২১ রান করে রনিরও হাল ছাড়েন অ্যাবোটের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। মাশরাফীর পর মুস্তাফিজও একইভাবে হন অ্যাবোটের শিকার।
মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার ৩টি করে ও পেসার অ্যাবোট ৩টি উইকেট নিয়ে টাইগারদের ইনিংসে ধস নামায়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা হয় স্পিনারদের মান নিয়েও। অধিনায়ক সরাসরি বলে দেন ওদের স্পিনাররা সেই মানের না; কিন্তু আমরাই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারি নি। আমাদের ভুল বলে শট খেলার প্রবণতাই ডুবিয়েছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৬৯/৪ (ডি কক ৪৪, ডি ভিলিয়ার্স ৪০, ডুমিনি ৬, ডু প্লেসিস ১৬, মিলার ৩০, রুসো ১৯, সানি ১/৩১, নাসির ২/২৬, মুস্তাফিজ ১/৩৪)
বাংলাদেশ: ১৩৮ (তামিম ১৩, স্যেম্য ৩৭, সাকিব ৮, মুশফিক ১৯, সাব্বির ১, রনি ২১, লিটন ১০, মাশরাফি ১৭, সানি ৫, অ্যাবট ৩/২০, লিই ৩/১৬, ফাঙ্গিসো ৩/৩০, পারনেল ১/২৯)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: এডি লিই
সিরিজ সেরা: ফ্যাফ ডু প্লেসিস
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার
টাইগার স্পিনাররা ওপেন করতে আসা ডি কক ও ভিলিয়ার্সের ঝড় থামিয়ে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের ১৭০ রানের টার্গেট দেয় প্রোটিয়ারা। কিন্তু বাংলাদেশ দল ব্যাটিং ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে ১৯.২ ওভারে অল-আউট হয় ১৩৮ রানে। যথারীতি গতকালও পতন শুরু হয় ওপেনার তামিম ইকবালের আত্মাহুতি দিয়ে। প্রথম ম্যাচে ৪ বলে ৫ রান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ১৮ বলে করেন ১৩ রান। পারনেলের একটি স্লোয়ারে সজোরে হাঁকাতে যান তামিম কিন্তু ব্যাটে-বলে না হওয়াতে মিড উইকেটে ডেভিড ওয়াইসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। সেই শুরু হয় ক্যাচ দেয়ার মহড়া। পেসাররা যখন সৌম্য সরকারকে কাবুতে আনতে পারছিলেন না, তখনও অধিনায়ক অভিষিক্ত লেগ স্পিনার এডি লির হাতে বল তুলে দেন। তামিম ইকবালের বিদায়ের পর মাত্র ৯ রান যোগ হতেই সৌম্য স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার। এডি লির বলটি না বুঝেই তিনি এগিয়ে এসেছিলেন শট খেলতে। কিন্তু বলটি ফাঁকি দিয়ে উইকেটের পেছনে ডি ককের হাতে যেতেই সৌম্যকে ক্রিজে ফেরার সুযোগ দেননি তিনি। এরপর সাকিব ৮, সাব্বির ১, মুশফিক ১৯ ও নাসির ০ রান করে যেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডারদের রুশু ও মিলারকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করালেন। সাকিব লং অফে ফাঙ্গিসোর বলে রুশুর হাতে, সাব্বির মিড উইকেটে লির বলে মিলারকে, মুশফিকও লির বলে শর্ট কভারে রুশুকে, নাসিরও শুরুর হাতে লং অফে ফাঙ্গিসোর বলে ক্যাচ দিলেন।
এরপর লিটন দাস ও অভিষিক্ত রনি তালুকদার দলের পক্ষে সপ্তম উইকেটে ২১ রানের জুটি গড়লেন। অথচ আগের ২২ রান করা লিটও ফাঙ্গিসোর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নিলেন। এবার রনির সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ২২ রানের জুটি বাঁধলেন অধিনায়ক মাশরাফী বিন মুর্তজা। অ্যাবোটের বলে সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে দলের পক্ষে পরপর দুটি ছয়ের মারও হাঁকালেন। করলেন ৮ বলে ১৭ রান। শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ২১ রান করে রনিরও হাল ছাড়েন অ্যাবোটের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। মাশরাফীর পর মুস্তাফিজও একইভাবে হন অ্যাবোটের শিকার।
মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার ৩টি করে ও পেসার অ্যাবোট ৩টি উইকেট নিয়ে টাইগারদের ইনিংসে ধস নামায়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা হয় স্পিনারদের মান নিয়েও। অধিনায়ক সরাসরি বলে দেন ওদের স্পিনাররা সেই মানের না; কিন্তু আমরাই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারি নি। আমাদের ভুল বলে শট খেলার প্রবণতাই ডুবিয়েছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৬৯/৪ (ডি কক ৪৪, ডি ভিলিয়ার্স ৪০, ডুমিনি ৬, ডু প্লেসিস ১৬, মিলার ৩০, রুসো ১৯, সানি ১/৩১, নাসির ২/২৬, মুস্তাফিজ ১/৩৪)
বাংলাদেশ: ১৩৮ (তামিম ১৩, স্যেম্য ৩৭, সাকিব ৮, মুশফিক ১৯, সাব্বির ১, রনি ২১, লিটন ১০, মাশরাফি ১৭, সানি ৫, অ্যাবট ৩/২০, লিই ৩/১৬, ফাঙ্গিসো ৩/৩০, পারনেল ১/২৯)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: এডি লিই
সিরিজ সেরা: ফ্যাফ ডু প্লেসিস
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার
No comments