সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা: লাখ টাকার আমদানি বাঁচে ৫০০ টাকার মেরামতে by এম আর আলম
সংস্কারকাজ করছেন একজন শ্রমিক l প্রথম আলো |
মাত্র
ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আর শ পাঁচেক টাকা খরচেই এখন দেশে রেলের অচল
এক্সেল মেরামত করে ব্যবহারের উপযোগী করা যায়। এতে এক্সেলপ্রতি প্রায় এক
লাখ টাকার মতো আমদানি ব্যয় বাঁচানো সম্ভব।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার শ্রমিক-প্রকৌশলীরা রেলের অচল এক্সেল মেরামতের এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। তাঁদের মেরামত করা এক্সেল ইতিমধ্যে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একটি মেইল ট্রেন বা রেলকোচে ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেটি এখন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।
এক্সেল (অক্ষদণ্ড বা ধুর) হলো রেলের চাকা আঁকড়ে ধরে থাকা লোহার দণ্ড। বিশ্বের কোথাও এটি মেরামত হয় না, অর্থাৎ একবার নষ্ট হলে তা নতুন করে কিনতে হয় বলে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী-কর্মকর্তারা জানান।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন প্রযুক্তি বা কৌশল উদ্ভাবনের ফলে এখন থেকে বছরে অন্তত ১০০টি এক্সেল মেরামত করা যাবে এবং বদৌলতে সরকারের অন্তত এক কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কার্য ব্যবস্থাপক (ডব্লিউএম) মোহাম্মদ কুদরত ই-খুদা জানান, ‘অতীতে এক্সেল পরিত্যক্ত হলে ওই খাতে বছরে রেলের ক্ষতি ছিল কমপক্ষে এক কোটি টাকা। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন মাত্র ৫০ হাজার টাকা খরচ করলেই আমরা ১০০ এক্সেল সচল করতে পারব।’ পর্যায়ক্রমে ক্ষয়ে যাওয়া সব এক্সেল সচল করা হবে বলে জানান তিনি।
রেল প্রকৌশলীরা জানান, এক্সেলের ওপর এক্সেল বক্স ও স্পিরিং স্থাপন করা হয়; যেটি বগি ও ক্যারেজের (কোচ) ভারসাম্য রক্ষা করে। এক্সেলের পরিধি ৪ দশমিক ৭২৬ ইঞ্চি। চাকা ও রেলের ঘর্ষণে এক্সেল ধীরে ধীরে ক্ষয় হয় এবং একসময় এর পরিধি নেমে আসে ৪ দশমিক ৭১৮ ইঞ্চিতে। এতে বিয়ারিং খুলে গিয়ে রেলযানের লাইনচ্যুত (ডিরেইল) হয়ে দুর্ঘটনায় পড়ার ঝুঁকি থাকে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন মেশিন শপে সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে এক্সেল মেরামতের কাজ চলছে। ওই শপের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে জানান, অতীতে ক্ষয়ে যাওয়া এক্সেল পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হতো। এভাবে বছরে পরিত্যক্ত হতো কমপক্ষে ১০০টি এক্সেল। তিনি আরও বলেন, ‘একটি এক্সেলের দাম কমপক্ষে এক লাখ টাকা। এটি পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। আমরা এখন প্রতিটি এক্সেল মাত্র ৫০০ টাকা খরচ করে সচল করে তুলছি।’
সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা প্রথম আলোকে বলেন, একধরনের আঠালো বস্তু ব্যবহার করা হচ্ছে রেলযানের এক্সেলে। ‘ল্যাকটোটাইট ৬৪৮’ নামের ওই আঠা আবদ্ধ অবস্থায় তরল হয় না। ফলে এক্সেলের সঙ্গে তা বিয়ারিংকে শক্ত করে ধরে রাখে বলে জানান প্রকৌশলীরা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার শ্রমিক-প্রকৌশলীরা রেলের অচল এক্সেল মেরামতের এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। তাঁদের মেরামত করা এক্সেল ইতিমধ্যে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একটি মেইল ট্রেন বা রেলকোচে ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেটি এখন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।
এক্সেল (অক্ষদণ্ড বা ধুর) হলো রেলের চাকা আঁকড়ে ধরে থাকা লোহার দণ্ড। বিশ্বের কোথাও এটি মেরামত হয় না, অর্থাৎ একবার নষ্ট হলে তা নতুন করে কিনতে হয় বলে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী-কর্মকর্তারা জানান।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন প্রযুক্তি বা কৌশল উদ্ভাবনের ফলে এখন থেকে বছরে অন্তত ১০০টি এক্সেল মেরামত করা যাবে এবং বদৌলতে সরকারের অন্তত এক কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কার্য ব্যবস্থাপক (ডব্লিউএম) মোহাম্মদ কুদরত ই-খুদা জানান, ‘অতীতে এক্সেল পরিত্যক্ত হলে ওই খাতে বছরে রেলের ক্ষতি ছিল কমপক্ষে এক কোটি টাকা। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন মাত্র ৫০ হাজার টাকা খরচ করলেই আমরা ১০০ এক্সেল সচল করতে পারব।’ পর্যায়ক্রমে ক্ষয়ে যাওয়া সব এক্সেল সচল করা হবে বলে জানান তিনি।
রেল প্রকৌশলীরা জানান, এক্সেলের ওপর এক্সেল বক্স ও স্পিরিং স্থাপন করা হয়; যেটি বগি ও ক্যারেজের (কোচ) ভারসাম্য রক্ষা করে। এক্সেলের পরিধি ৪ দশমিক ৭২৬ ইঞ্চি। চাকা ও রেলের ঘর্ষণে এক্সেল ধীরে ধীরে ক্ষয় হয় এবং একসময় এর পরিধি নেমে আসে ৪ দশমিক ৭১৮ ইঞ্চিতে। এতে বিয়ারিং খুলে গিয়ে রেলযানের লাইনচ্যুত (ডিরেইল) হয়ে দুর্ঘটনায় পড়ার ঝুঁকি থাকে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন মেশিন শপে সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে এক্সেল মেরামতের কাজ চলছে। ওই শপের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে জানান, অতীতে ক্ষয়ে যাওয়া এক্সেল পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হতো। এভাবে বছরে পরিত্যক্ত হতো কমপক্ষে ১০০টি এক্সেল। তিনি আরও বলেন, ‘একটি এক্সেলের দাম কমপক্ষে এক লাখ টাকা। এটি পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। আমরা এখন প্রতিটি এক্সেল মাত্র ৫০০ টাকা খরচ করে সচল করে তুলছি।’
সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা প্রথম আলোকে বলেন, একধরনের আঠালো বস্তু ব্যবহার করা হচ্ছে রেলযানের এক্সেলে। ‘ল্যাকটোটাইট ৬৪৮’ নামের ওই আঠা আবদ্ধ অবস্থায় তরল হয় না। ফলে এক্সেলের সঙ্গে তা বিয়ারিংকে শক্ত করে ধরে রাখে বলে জানান প্রকৌশলীরা।
No comments