আবারও সাংসদদের ইচ্ছাপূরণের প্রকল্প
জাতীয় সংসদের সাংসদেরা নিজেদের এলাকায় ইচ্ছামতো রাস্তাঘাট করতে পারবেন। এ জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ দেওয়া হবে। প্রত্যেক সাংসদের অনুকূলে প্রতিবছর পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে। এভাবে আগামী চার বছরে প্রত্যেক সাংসদ মোট ২০ কোটি টাকা পাবেন।
সাংসদেরা এই অর্থ সরাসরি নিজেরা খরচ করতে পারবেন না। তাঁরা নিজ এলাকায় কোন কোন সড়ক তৈরি করতে হবে, কোন খালের ওপর সেতু লাগবে, কোথায় বাজার লাগবে, কোথায় নৌঘাট করতে হবে, তা ঠিক করে দেবেন। এখানে ওই সাংসদের ইচ্ছাই চূড়ান্ত। এরপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সাংসদের সেই ইচ্ছা পূরণ করবে। এর আগে এ সরকারই একই ধরনের আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। পাঁচ বছর মেয়াদি সেই প্রকল্পে প্রতিবছর সাংসদেরা তিন কোটি টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ-সংক্রান্ত ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২’ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা। সাংসদদের ইচ্ছাপূরণে এ বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি মনিটরিং সেল থাকবে বলে জানা গেছে।
প্রকল্পটির আওতায় ২৮৪ জন সাংসদ নিজেদের এলাকায় প্রকল্প তৈরি করতে পারবেন। তবে দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এলাকাভুক্ত ১৬ জন সাংসদ এবং সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদেরা এ প্রকল্পের অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন না। তাঁদের জন্য আলাদা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
সাবেক ব্যয় পর্যালোচনা কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখ্ত প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় এ ধরনের প্রকল্প নিলে অর্থ অপচয়ের ঝুঁকি থাকে। এ জন্য নজরদারি বাড়াতে হবে। তিনি মনে করেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজনীতিবিদেরা চেষ্টা করবেন, যে এলাকায় তাঁর ভোট বেশি, সেখানে নতুন রাস্তাঘাট করবেন। হয়তো ওই এলাকায় একেবারেই রাস্তাঘাটের প্রয়োজন নেই।
জায়েদ বখ্ত-এর মতে, আগের প্রকল্পটিতে প্রথম পর্যায়ের কাজের প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়নি। কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি, বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে প্রকল্পের সুফল পৌঁছেছে কি না, তা দেখা দরকার।
গতকাল অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত। প্রতি অর্থবছরে এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে ১ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় ৬৪ জেলার ৪৬৬ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ১ হাজার ৪৩০ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক এবং ৬ হাজার ১৭৩ কিলোমিটার গ্রাম সড়ক নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া প্রায় ৪ হাজার ৫৯৭ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এর পাশাপাশি ১১১টি গ্রামীণ বাজার ও ৬৪টি নৌঘাট হবে। আর ১৫ হাজার ৩৫৫ মিটার সেতু নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটি নিয়ে একনেক সভার পরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বরাদ্দকৃত অর্থ সাংসদেরা নিজেরা সরাসরি ব্যয় করতে পারবেন না। তাঁরা তাঁদের পছন্দমতো তালিকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। এলজিইডি তা বাস্তবায়ন করবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের গত আমলে ২০১০ সালের ৯ মার্চ নেওয়া ৪ হাজার ৬৯১ কোটি টাকার একই ধরনের প্রকল্পে ২৭৯ জন সাংসদের অনুকূলে প্রতিবছর ৩ কোটি টাকা করে পাঁচ বছরে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটি শেষ হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা। কিন্তু এখনো প্রকল্পটির মূল্যায়ন করেনি পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।
মন্ত্রীদের আগ্রহ: প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে গতকালের একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রথমেই প্রকল্পটি পাসের জন্য ওঠানো হলে সেখানে অংশ নেওয়া একাধিক মন্ত্রী প্রকল্পটি নিয়ে আগ্রহ দেখিয়ে বক্তব্য দেন।
সভার দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘এ প্রকল্পটি দলের ভবিষ্যৎ। কেননা আমরাই বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটা আমাদের প্রমাণ করতে হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচনের আগে জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিতে হয় যে নির্বাচিত হলে এ রাস্তা, ওই রাস্তা করব। এখন এসব রাস্তা তৈরির জন্য প্রধান প্রকৌশলীদের চাপ দিতে হবে না।’ কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পটি নেওয়ার ফলে সাংসদদের পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটা ভালো।
গতকাল মোট আটটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১০ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৮ হাজার ৭১০ কোটি টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে ৩৯৫ কোটি টাকা। আর প্রকল্প সাহায্য হিসেবে পাওয়া যাবে ১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা।
পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর অন্যতম হলো বর্ডার ম্যানেজমেন্ট ইকুইপমেন্ট ফর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ প্রকল্প (সংশোধিত), সীমান্ত এলাকায় বিজিবির ৬০টি বিওপি নির্মাণ, পুলিশ বাহিনীর ১৯টি ইউনিটে ১৯টি আধুনিক অস্ত্রাগার নির্মাণ, জাতীয় সংসদ ভবনের পূর্ত, বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সিস্টেমের উন্নয়ন, ছয়টি নতুন জাহাজ ক্রয়, উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মাণ এবং হাইটেক পার্কের জন্য মির্জাপুর ও মৌচাক স্টেশনের মধ্যবর্তী কালিয়াকৈরে একটি বি ক্লাস স্টেশন নির্মাণ প্রকল্প।
সাংসদেরা এই অর্থ সরাসরি নিজেরা খরচ করতে পারবেন না। তাঁরা নিজ এলাকায় কোন কোন সড়ক তৈরি করতে হবে, কোন খালের ওপর সেতু লাগবে, কোথায় বাজার লাগবে, কোথায় নৌঘাট করতে হবে, তা ঠিক করে দেবেন। এখানে ওই সাংসদের ইচ্ছাই চূড়ান্ত। এরপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সাংসদের সেই ইচ্ছা পূরণ করবে। এর আগে এ সরকারই একই ধরনের আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। পাঁচ বছর মেয়াদি সেই প্রকল্পে প্রতিবছর সাংসদেরা তিন কোটি টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ-সংক্রান্ত ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২’ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা। সাংসদদের ইচ্ছাপূরণে এ বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি মনিটরিং সেল থাকবে বলে জানা গেছে।
প্রকল্পটির আওতায় ২৮৪ জন সাংসদ নিজেদের এলাকায় প্রকল্প তৈরি করতে পারবেন। তবে দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এলাকাভুক্ত ১৬ জন সাংসদ এবং সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদেরা এ প্রকল্পের অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন না। তাঁদের জন্য আলাদা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
সাবেক ব্যয় পর্যালোচনা কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখ্ত প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় এ ধরনের প্রকল্প নিলে অর্থ অপচয়ের ঝুঁকি থাকে। এ জন্য নজরদারি বাড়াতে হবে। তিনি মনে করেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজনীতিবিদেরা চেষ্টা করবেন, যে এলাকায় তাঁর ভোট বেশি, সেখানে নতুন রাস্তাঘাট করবেন। হয়তো ওই এলাকায় একেবারেই রাস্তাঘাটের প্রয়োজন নেই।
জায়েদ বখ্ত-এর মতে, আগের প্রকল্পটিতে প্রথম পর্যায়ের কাজের প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়নি। কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি, বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে প্রকল্পের সুফল পৌঁছেছে কি না, তা দেখা দরকার।
গতকাল অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত। প্রতি অর্থবছরে এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে ১ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় ৬৪ জেলার ৪৬৬ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ১ হাজার ৪৩০ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক এবং ৬ হাজার ১৭৩ কিলোমিটার গ্রাম সড়ক নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া প্রায় ৪ হাজার ৫৯৭ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এর পাশাপাশি ১১১টি গ্রামীণ বাজার ও ৬৪টি নৌঘাট হবে। আর ১৫ হাজার ৩৫৫ মিটার সেতু নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটি নিয়ে একনেক সভার পরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বরাদ্দকৃত অর্থ সাংসদেরা নিজেরা সরাসরি ব্যয় করতে পারবেন না। তাঁরা তাঁদের পছন্দমতো তালিকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। এলজিইডি তা বাস্তবায়ন করবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের গত আমলে ২০১০ সালের ৯ মার্চ নেওয়া ৪ হাজার ৬৯১ কোটি টাকার একই ধরনের প্রকল্পে ২৭৯ জন সাংসদের অনুকূলে প্রতিবছর ৩ কোটি টাকা করে পাঁচ বছরে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটি শেষ হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা। কিন্তু এখনো প্রকল্পটির মূল্যায়ন করেনি পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।
মন্ত্রীদের আগ্রহ: প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে গতকালের একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রথমেই প্রকল্পটি পাসের জন্য ওঠানো হলে সেখানে অংশ নেওয়া একাধিক মন্ত্রী প্রকল্পটি নিয়ে আগ্রহ দেখিয়ে বক্তব্য দেন।
সভার দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘এ প্রকল্পটি দলের ভবিষ্যৎ। কেননা আমরাই বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটা আমাদের প্রমাণ করতে হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচনের আগে জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিতে হয় যে নির্বাচিত হলে এ রাস্তা, ওই রাস্তা করব। এখন এসব রাস্তা তৈরির জন্য প্রধান প্রকৌশলীদের চাপ দিতে হবে না।’ কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পটি নেওয়ার ফলে সাংসদদের পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটা ভালো।
গতকাল মোট আটটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১০ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৮ হাজার ৭১০ কোটি টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে ৩৯৫ কোটি টাকা। আর প্রকল্প সাহায্য হিসেবে পাওয়া যাবে ১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা।
পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর অন্যতম হলো বর্ডার ম্যানেজমেন্ট ইকুইপমেন্ট ফর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ প্রকল্প (সংশোধিত), সীমান্ত এলাকায় বিজিবির ৬০টি বিওপি নির্মাণ, পুলিশ বাহিনীর ১৯টি ইউনিটে ১৯টি আধুনিক অস্ত্রাগার নির্মাণ, জাতীয় সংসদ ভবনের পূর্ত, বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সিস্টেমের উন্নয়ন, ছয়টি নতুন জাহাজ ক্রয়, উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মাণ এবং হাইটেক পার্কের জন্য মির্জাপুর ও মৌচাক স্টেশনের মধ্যবর্তী কালিয়াকৈরে একটি বি ক্লাস স্টেশন নির্মাণ প্রকল্প।
No comments