ভৈরবের পাদুকা ব্যবসা: ঈদ মৌসুমে পৌনে ৪০০ কোটি টাকার লেনদেন by সুমন মোল্লা
রাতে চোখের পাতা এক করার ফুরসত যেন নেই এখন কিশোরগঞ্জের ভৈরবের পাদুকাশ্রমিকদের। আর পাদুকা বাজারজাত করা নিয়ে ব্যস্ত কারখানা মালিকেরাও। সব মিলিয়ে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা পেতে জুতা তৈরি ও সরবরাহের কাজেই সময় কাটছে শ্রমিক-মালিকদের।
তবে বেচাবিক্রি এখনো প্রত্যাশানুযায়ী না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায় আছেন বলে জানান। তাঁদের ভাষ্য, মিয়ানমার ও চীনের পাশাপাশি এবার বাজারে ভারতীয় জুতারও আধিক্য রয়েছে। বিদেশি জুতাগুলো কম টেকসই হলেও দেখতে চকচকে। আর এ জন্যই দেশি জুতার চেয়ে বিদেশি জুতার দিকে ক্রেতাদের নজর বেশি। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ভৈরবের পাদুকাশিল্পে।
ভৈরব পাদুকা কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি আ. লতিফ প্রথম আলোকে জানান, এখানে বর্তমানে ছোট-বড় প্রায় আট হাজার কারখানায় জুতা তৈরি হচ্ছে। এসব কারখানার জুতা প্রায় ৫০০ পাইকারি দোকানের মাধ্যমে সারা দেশে যাচ্ছে। তবে এরই মধ্যে রমজান মাসের দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও বিক্রিটা এখনো জমে ওঠেনি।
অবশ্য প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও এবারের ঈদ মৌসুমে অন্তত পৌনে ৪০০ কোটি টাকার লেনদেন আশা করছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। এতে তাঁদের পাশাপাশি ভৈরব ও আশপাশের এলাকার দরিদ্র শ্রমিকেরা উপকৃত হবেন বলে তাঁরা মনে করেন।
কারখানা মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী, ঈদ মৌসুম উপলক্ষে আট হাজার কারখানায় প্রায় ৯০ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। ছোট কারখানাগুলোতে দিনে সাত ডজন, মাঝারি কারখানায় ১০ ডজন আর বড় কারখানায় গড়ে ২৫ ডজন পর্যন্ত জুতা তৈরি হচ্ছে। কমবেশি সব ধরনের জুতা তৈরি হলেও স্যান্ডেল, বেল্টসহ স্যান্ডেল, পেনসিল হিল ও ফ্ল্যাট হিলই বেশি। এক জোড়া জুতার পাইকারি দাম ১০০ থেকে ৫০০ টাকা।
পাদুকাশিল্পকে পুঁজি করে ভৈরবে গড়ে উঠেছে চারটি বড় পাইকারি মার্কেট। এর মধ্যে উপজেলা পরিষদের সামনের মিজান মার্কেটে দোকান সংখ্যা ২৩০, বশির প্লাজায় ৬৭, আজিজ সুপার মার্কেটে ১০০ ও নুরজাহান সুপার মার্কেটে ৯০টি।
বশির প্লাজায় গত সপ্তাহে গিয়ে দেখা যায়, অনেকটা বসে সময় কাটাচ্ছেন হাছনা সুজের মালিক জাহের মিয়া। বললেন, ‘ঈদ মৌসুমকে ঘিরে জুতার ব্যবসা। এ ছাড়া মাসের ২০ দিন খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। অন্য বছরের চেয়ে এবার বিক্রি কিছুটা কম। আশা পূরণ হবে বলে মনে হচ্ছে না।’
হাজি কালু মার্কেটের ফারুক শুা ফ্যাক্টরির মালিক ফারুক মিয়াও জানালেন একই হতাশার কথা।
হাজি মার্কেটের জোনাকি শুে ফ্যাক্টরির কারিগর তছলিম মিয়া বলেন, ‘গেছে বছর প্রতিদিন আয় করছি সাত শ টেহা। এবার পাঁচ শ টেহার বেশি হইতাছে না।’
এদিকে জুতা তৈরির প্রধান উপকরণ চামড়া, রেক্সিন, ফোম, হিল, কভার, সুতা, বোতাম, আঠা এখন ভৈরবেই পাওয়া যায়। এ ধরনের দোকানের সংখ্যা প্রায় আট শ। আশেক ট্রেডার্সের মালিক আশেক মিয়া জানান, শুরুতে বিক্রি ভালো হলেও গত কয়েক দিন ধরে
ভাটা। পাইকারি বিক্রি কিছুটা কমে গেছে। এ জন্য কারখানায়ও উৎপাদন কমেছে। তাই কাঁচামাল টানছে কম।
বিদেশে ভৈরবের জুতা: কয়েক বছর ধরে এখানকার কয়েকটি কারখানা উন্নত জুতা তৈরি করে সুনাম অর্জন করেছে। তারা ধীরে ধীরে বিদেশের বাজার ধরতে সক্ষম হয়েছে। ঐশি, পানামা ও সৈনিক সুজসহ আরও কয়েকটি কারখানার জুতা সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হচ্ছে।
পানামা সুজের মালিক ফুল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের বাজার কিছুটা মন্দা হলেও বিদেশের বাজারে প্রভাব পড়েনি। চাহিদা বেশি থাকলেও আমি প্রতিদিন ২০ ডজন ছেলেদের জুতা সরবরাহ দিতে পারছি।’ ক্রেতাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এসব জুতা বিদেশে পাঠানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তবে বেচাবিক্রি এখনো প্রত্যাশানুযায়ী না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায় আছেন বলে জানান। তাঁদের ভাষ্য, মিয়ানমার ও চীনের পাশাপাশি এবার বাজারে ভারতীয় জুতারও আধিক্য রয়েছে। বিদেশি জুতাগুলো কম টেকসই হলেও দেখতে চকচকে। আর এ জন্যই দেশি জুতার চেয়ে বিদেশি জুতার দিকে ক্রেতাদের নজর বেশি। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ভৈরবের পাদুকাশিল্পে।
ভৈরব পাদুকা কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি আ. লতিফ প্রথম আলোকে জানান, এখানে বর্তমানে ছোট-বড় প্রায় আট হাজার কারখানায় জুতা তৈরি হচ্ছে। এসব কারখানার জুতা প্রায় ৫০০ পাইকারি দোকানের মাধ্যমে সারা দেশে যাচ্ছে। তবে এরই মধ্যে রমজান মাসের দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও বিক্রিটা এখনো জমে ওঠেনি।
অবশ্য প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও এবারের ঈদ মৌসুমে অন্তত পৌনে ৪০০ কোটি টাকার লেনদেন আশা করছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। এতে তাঁদের পাশাপাশি ভৈরব ও আশপাশের এলাকার দরিদ্র শ্রমিকেরা উপকৃত হবেন বলে তাঁরা মনে করেন।
কারখানা মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী, ঈদ মৌসুম উপলক্ষে আট হাজার কারখানায় প্রায় ৯০ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। ছোট কারখানাগুলোতে দিনে সাত ডজন, মাঝারি কারখানায় ১০ ডজন আর বড় কারখানায় গড়ে ২৫ ডজন পর্যন্ত জুতা তৈরি হচ্ছে। কমবেশি সব ধরনের জুতা তৈরি হলেও স্যান্ডেল, বেল্টসহ স্যান্ডেল, পেনসিল হিল ও ফ্ল্যাট হিলই বেশি। এক জোড়া জুতার পাইকারি দাম ১০০ থেকে ৫০০ টাকা।
পাদুকাশিল্পকে পুঁজি করে ভৈরবে গড়ে উঠেছে চারটি বড় পাইকারি মার্কেট। এর মধ্যে উপজেলা পরিষদের সামনের মিজান মার্কেটে দোকান সংখ্যা ২৩০, বশির প্লাজায় ৬৭, আজিজ সুপার মার্কেটে ১০০ ও নুরজাহান সুপার মার্কেটে ৯০টি।
বশির প্লাজায় গত সপ্তাহে গিয়ে দেখা যায়, অনেকটা বসে সময় কাটাচ্ছেন হাছনা সুজের মালিক জাহের মিয়া। বললেন, ‘ঈদ মৌসুমকে ঘিরে জুতার ব্যবসা। এ ছাড়া মাসের ২০ দিন খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। অন্য বছরের চেয়ে এবার বিক্রি কিছুটা কম। আশা পূরণ হবে বলে মনে হচ্ছে না।’
হাজি কালু মার্কেটের ফারুক শুা ফ্যাক্টরির মালিক ফারুক মিয়াও জানালেন একই হতাশার কথা।
হাজি মার্কেটের জোনাকি শুে ফ্যাক্টরির কারিগর তছলিম মিয়া বলেন, ‘গেছে বছর প্রতিদিন আয় করছি সাত শ টেহা। এবার পাঁচ শ টেহার বেশি হইতাছে না।’
এদিকে জুতা তৈরির প্রধান উপকরণ চামড়া, রেক্সিন, ফোম, হিল, কভার, সুতা, বোতাম, আঠা এখন ভৈরবেই পাওয়া যায়। এ ধরনের দোকানের সংখ্যা প্রায় আট শ। আশেক ট্রেডার্সের মালিক আশেক মিয়া জানান, শুরুতে বিক্রি ভালো হলেও গত কয়েক দিন ধরে
ভাটা। পাইকারি বিক্রি কিছুটা কমে গেছে। এ জন্য কারখানায়ও উৎপাদন কমেছে। তাই কাঁচামাল টানছে কম।
বিদেশে ভৈরবের জুতা: কয়েক বছর ধরে এখানকার কয়েকটি কারখানা উন্নত জুতা তৈরি করে সুনাম অর্জন করেছে। তারা ধীরে ধীরে বিদেশের বাজার ধরতে সক্ষম হয়েছে। ঐশি, পানামা ও সৈনিক সুজসহ আরও কয়েকটি কারখানার জুতা সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হচ্ছে।
পানামা সুজের মালিক ফুল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের বাজার কিছুটা মন্দা হলেও বিদেশের বাজারে প্রভাব পড়েনি। চাহিদা বেশি থাকলেও আমি প্রতিদিন ২০ ডজন ছেলেদের জুতা সরবরাহ দিতে পারছি।’ ক্রেতাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এসব জুতা বিদেশে পাঠানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
No comments