বেকায়দায় এরশাদ by জাভেদ ইকবাল
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রংপুরে বেকায়দায় পড়েছেন। দলের পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রতিপক্ষ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা সমর্থকদের কাছ থেকে দলীয় কার্যালয় দখলে নিতে পারছেন না এরশাদ সমর্থকরা। তার সামনে দফায় দফায় হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। নীরব ভূমিকা পালন করছে পুলিশ প্রশাসন। বিক্ষুব্ধ এরশাদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, জাতীয় পার্টি ও এরশাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। রাঙ্গা আমার দলের হতে পারে না। তিনি বলেন, আমি দলের চেয়ারম্যান। যে কমিটি করেছি ওই কমিটিই চূড়ান্ত। এর কোন পরিবর্তন হবে না। দলকে সুসংগঠিত করতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। কারও হাতে দলের কর্তৃত্ব দেয়া হবে না। দলের স্বার্থে আমাকে কঠোর হতে হবে। ওদিকে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আর যাই হোক যারা রংপুরে তৃণমূল জাতীয় পার্টি গঠন করে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে সেই মোস্তফা, মানিক ও ইয়াসিরসহ অন্যদেরকে কোনভাবেই মেনে নেবে না জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। ওদিকে জাতীয় পার্টির নবগঠিত মহানগর কমিটি আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, তৃণমূল জাতীয় পার্টি গঠন করার পেছনে নেপথ্যে ছিলেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। তার কারণে এটি হয়েছিল। দল ও এরশাদকে ভালবাসি বলেই তৃণমূল জাতীয় পার্টির মাধ্যমে রংপুরে দলের অবস্থান ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে দল থেকে দূরে রেখে তারা দলের অস্তিত্বকে বিলীন করে ফেলেছে। যার প্রমাণ সংসদ ও উপজেলা নির্বাচন। ঈদ উপলক্ষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গত ৩রা অক্টোবর রংপুরে এলে তার সামনে দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি, ভাঙচুরসহ ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, গত ১০ই সেপ্টেম্বর জাপা কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতির পদ থেকে প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে বাদ দিয়ে রংপুর জেলা ও মহানগর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সাবেক এমপি মোফাজ্জল হোসেন মাস্টারকে আহ্বায়ক ও বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টুকে যুগ্ম আহবায়ক এবং সাবেক এমপি এরশাদের ভাতিজা হোসাইন মকবুল শাহরিয়ারকে সদস্য সচিব করে জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে আহবায়ক, এসএম ইয়াসিরকে সদস্য সচিব করে মহানগর কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে স্বপদ ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে দলীয় কার্যালয় দখলে নেয় রাঙ্গা সমর্থকরা বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে। ফলে দেখা দেয় টানটান উত্তেজনা। এ নিয়ে গত ২০শে সেপ্টেম্বর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে দু’গ্রুপ সমাবেশ আহ্বান করায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। পরে শাপলা চত্বরে মোস্তফা গ্রুপ সমাবেশ করতে চাইলে প্রতিপক্ষ বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ই সেপ্টেম্বর জাপা কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতির পদ থেকে প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে বাদ দিয়ে রংপুর জেলা ও মহানগর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সাবেক এমপি মোফাজ্জল হোসেন মাস্টারকে আহ্বায়ক ও বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টুকে যুগ্ম আহবায়ক এবং সাবেক এমপি এরশাদের ভাতিজা হোসাইন মকবুল শাহরিয়ারকে সদস্য সচিব করে জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে আহবায়ক, এসএম ইয়াসিরকে সদস্য সচিব করে মহানগর কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে স্বপদ ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে দলীয় কার্যালয় দখলে নেয় রাঙ্গা সমর্থকরা বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে। ফলে দেখা দেয় টানটান উত্তেজনা। এ নিয়ে গত ২০শে সেপ্টেম্বর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে দু’গ্রুপ সমাবেশ আহ্বান করায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। পরে শাপলা চত্বরে মোস্তফা গ্রুপ সমাবেশ করতে চাইলে প্রতিপক্ষ বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়।
No comments