লতিফ সিদ্দিকী কি পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন?
আজ-কালের মধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ছেন তিনি। হারাচ্ছেন দলীয় পদও। কিন্তু তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের ক্ষেত্রে সংবিধান কি অনুসরণ করা হচ্ছে? লতিফ সিদ্দিকীকে পদত্যাগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি তাকে কোন ধরনের অনুরোধ করেছেন? অনুরোধ করা হয়ে থাকলে লতিফ সিদ্দিকী কি সে অনুরোধ প্রত্যাখান করেছেন? সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করা হয়নি। সংবিধান অনুযায়ী কোন মন্ত্রী পদত্যাগ করতে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ প্রত্যাখান করলেই কেবল তার অপসারণের প্রশ্ন আসে। সংবিধানের ৫৮(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যে কোন সময়ে কোন মন্ত্রীকে পদত্যাগ করিতে অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং উক্ত মন্ত্রী অনুরূপ অনুরোধ পালনে অসমর্থ হইলে তিনি রাষ্ট্রপতিকে উক্ত মন্ত্রীর নিয়োগের অবসান ঘটাইবার পরামর্শ দান করিতে পারিবেন। এ অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যায় সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী কোন মন্ত্রীকে পদত্যাগের অনুরোধ করলে ওই মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন। যদি ওই মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ পালন না করেন সেক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে প্রেসিডেন্ট ওই মন্ত্রীকে অপসারণ করবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী কোন অনুরোধ করেছেন কি-না সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। এদিকে, আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে অপসারণের পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় আরও পরিবর্তন আসতে পারে। কয়েকজন মন্ত্রীকে বাদ দিয়ে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হতে পারে। এছাড়া, কয়েকজন মন্ত্রীর মন্ত্রণালয়ও পরিবর্তন হতে পারে। গত ২৮শে সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং হজ নিয়ে কটুক্তি করেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও তাচ্ছিল্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন তিনি। এ বক্তব্যে বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে এক পর্যায়ে তাকে মন্ত্রিসভা এবং আওয়ামী লীগ থেকে অপসারণের কথা জানানো হয়। এরআগে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে লতিফ সিদ্দিকী তার বক্তব্যে অনঢ় থাকার কথা জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে বোঝা মনে করলে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিতে পারেন জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, একমাত্র প্রধানমন্ত্রী বললেই তিনি তার বক্তব্য অপসারণ করবেন।
No comments