রাতের আঁধারে পদ্মায় ইলিশ শিকার
‘মা’ ইলিশ রক্ষায় কয়েক দিন ইলিশ শিকারের
ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। রাতের আঁধারে পদ্মা নদীতে ইলিশ
শিকার চলছে। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু করে আজ শনিবার ভোর পর্যন্ত
পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে উপজেলা মৎস্য অফিস ইলিশ ও কারেন্ট জাল জব্দ
করেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শীলা রায় প্রথম আলোকে বলেন, মা ইলিশ মাছ রক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের বাহিরচর দৌলতদিয়া, ঢল্লাপাড়া, কুশাহাটা, রাখালগাছি, অন্তার মোড় ও দেবগ্রাম এলাকায় অভিযান চালানো হয়। গতকাল রাত ১১টা থেকে আজ ভোর চারটা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদী থেকে প্রায় তিন মণ ইলিশ মাছ এবং ৫০ হাজার মিটারের বেশি ২৭টি বড় কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য নয় লাখ টাকা। সকাল আটটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কারেন্ট জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং মাছগুলো পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া মাদ্রাসার এতিম খানায় দেওয়া হয়েছে।
১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষেধ থাকলেও ঢাকার অদূরে নবাবগঞ্জের দোহারে পদ্মা নদীতে অবাধে চলছে ইলিশ শিকার। রাতের অন্ধকারেই টর্চলাইটের আলোয় কর্মব্যস্ত স্থানীয় মৈনট ট্রলার ঘাটের মাছের আড়তগুলো। ঘাটের আড়তদার আবদুল আজিজ এক ঝুঁড়িতে অন্তত ডিমওয়ালা ৮০টি ছোট-বড় ইলিশ নিয়ে বসেছেন। পাইকারেরা ডাক তুলছেন, সঙ্গে আড়তের মালিক আজিজ, মনি খাঁ, নূর মৃধাসহ ১৬ জন মাছের পাইকার ডাক হাঁকছেন। সব আড়তে ঝুঁড়িতে ঝুঁড়িতে ডিমওয়ালা ইলিশ। জেলেরা ব্যস্ত নৌকা থেকে মাছ আড়তে তুলতে। ক্রেতা ও দোহার নবাবগঞ্জের বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দোহার থানার মোহাম্মদপুর ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় আড়ত এলাকা থেকে প্রায় এক মণ ইলিশ মাছ জব্দ করলেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি। মাছগুলো পরে স্থানীয় কয়েকটি মাদ্রাসায় বিলিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল উদ্দিন খানের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা জারির পর প্রতিদিন রাত তিনটা থেকে ভোরের আলো ফোটার আগেই ইলিশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের লোকজনকেও এখানে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। মাছের ট্রলারচালক শেখ আদিলের দাবি, গত রাতে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় পুলিশের একটি দল নদীতে গেলেও কিছু মাছ নিয়ে চলে আসে। দোহার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ বি এম জাকারিয়া বলেন, বাজারগুলোতে প্রতিদিন অভিযান চলছে। অভিযান আরও জোরদার করা হবে। ম্যাজিস্ট্রেটের অভাবে এ কয়দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো যায়নি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শীলা রায় প্রথম আলোকে বলেন, মা ইলিশ মাছ রক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের বাহিরচর দৌলতদিয়া, ঢল্লাপাড়া, কুশাহাটা, রাখালগাছি, অন্তার মোড় ও দেবগ্রাম এলাকায় অভিযান চালানো হয়। গতকাল রাত ১১টা থেকে আজ ভোর চারটা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদী থেকে প্রায় তিন মণ ইলিশ মাছ এবং ৫০ হাজার মিটারের বেশি ২৭টি বড় কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য নয় লাখ টাকা। সকাল আটটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কারেন্ট জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং মাছগুলো পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া মাদ্রাসার এতিম খানায় দেওয়া হয়েছে।
১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষেধ থাকলেও ঢাকার অদূরে নবাবগঞ্জের দোহারে পদ্মা নদীতে অবাধে চলছে ইলিশ শিকার। রাতের অন্ধকারেই টর্চলাইটের আলোয় কর্মব্যস্ত স্থানীয় মৈনট ট্রলার ঘাটের মাছের আড়তগুলো। ঘাটের আড়তদার আবদুল আজিজ এক ঝুঁড়িতে অন্তত ডিমওয়ালা ৮০টি ছোট-বড় ইলিশ নিয়ে বসেছেন। পাইকারেরা ডাক তুলছেন, সঙ্গে আড়তের মালিক আজিজ, মনি খাঁ, নূর মৃধাসহ ১৬ জন মাছের পাইকার ডাক হাঁকছেন। সব আড়তে ঝুঁড়িতে ঝুঁড়িতে ডিমওয়ালা ইলিশ। জেলেরা ব্যস্ত নৌকা থেকে মাছ আড়তে তুলতে। ক্রেতা ও দোহার নবাবগঞ্জের বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দোহার থানার মোহাম্মদপুর ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় আড়ত এলাকা থেকে প্রায় এক মণ ইলিশ মাছ জব্দ করলেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি। মাছগুলো পরে স্থানীয় কয়েকটি মাদ্রাসায় বিলিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল উদ্দিন খানের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা জারির পর প্রতিদিন রাত তিনটা থেকে ভোরের আলো ফোটার আগেই ইলিশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের লোকজনকেও এখানে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। মাছের ট্রলারচালক শেখ আদিলের দাবি, গত রাতে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় পুলিশের একটি দল নদীতে গেলেও কিছু মাছ নিয়ে চলে আসে। দোহার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ বি এম জাকারিয়া বলেন, বাজারগুলোতে প্রতিদিন অভিযান চলছে। অভিযান আরও জোরদার করা হবে। ম্যাজিস্ট্রেটের অভাবে এ কয়দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো যায়নি।
No comments