পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি বিরোধ- আইনটি সংশোধন করুন
পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান সমস্যা ভূমি বিরোধ। এর সমাধানের লক্ষ্যে ২০০১ সালে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এক যুগের বেশি সময় ধরে একটি কমিশন রয়েছে। কিন্তু মূলত আইনটির সীমাবদ্ধতার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে সমস্যাটি ঝুলে রয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগের অভাব রয়েছে, যা হতাশাব্যঞ্জক।
সরকার গত মাসে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতিকে চেয়ারম্যান করে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন পুনর্গঠন করেছে। কিন্তু অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, এই উদ্যোগও কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, এর আগেও তিনটি কমিশন গঠন ও পুনর্গঠন করা হয়েছে, কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বস্তুত কোনো কাজই হয়নি। আসলে ২০০১ সালের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের ব্যাপারে পার্বত্য জনগোষ্ঠীর আপত্তিগুলো আমলে না নিলে এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হবে না। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের অন্যতম সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা স্পষ্ট ভাষায় আবার বলেছেন, আইনটি সংশোধন না করা পর্যন্ত ওই কমিশনের সভা করে কোনো লাভ হবে না। কারণ, তাঁরা আইনটিকে ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে করেন, সে আইনের ভিত্তিতে কমিশনের কাজ তাঁরা মানবেন না।
এটা স্পষ্ট যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির পুরো প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে এ ব্যাপারে পার্বত্য জনগোষ্ঠীর বক্তব্য সরকারের আমলে না নেওয়ার কারণে। জেএসএস ২০০১ সালের আইনটির ২৯টি সংশোধনীর দাবি জানিয়েছিল, দীর্ঘ সময়ে একাধিক সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর ১৩টি সংশোধনী আনা হবে বলে সরকার ও জেএসএস প্রায় একমত হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর সে প্রক্রিয়া এগোয়নি; আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব কখনো সংসদে তোলা হয়নি।
একটার পর একটা কমিশন গঠন-পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে সময়ক্ষেপণ করা কোনো কাজের কথা নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানের প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া চালু করতে হলে ২০০১ সালের আইনটি সংশোধন করতে হবে। অবিলম্বে তা-ই করা হোক।
সরকার গত মাসে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতিকে চেয়ারম্যান করে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন পুনর্গঠন করেছে। কিন্তু অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, এই উদ্যোগও কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, এর আগেও তিনটি কমিশন গঠন ও পুনর্গঠন করা হয়েছে, কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বস্তুত কোনো কাজই হয়নি। আসলে ২০০১ সালের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের ব্যাপারে পার্বত্য জনগোষ্ঠীর আপত্তিগুলো আমলে না নিলে এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হবে না। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের অন্যতম সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা স্পষ্ট ভাষায় আবার বলেছেন, আইনটি সংশোধন না করা পর্যন্ত ওই কমিশনের সভা করে কোনো লাভ হবে না। কারণ, তাঁরা আইনটিকে ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে করেন, সে আইনের ভিত্তিতে কমিশনের কাজ তাঁরা মানবেন না।
এটা স্পষ্ট যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির পুরো প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে এ ব্যাপারে পার্বত্য জনগোষ্ঠীর বক্তব্য সরকারের আমলে না নেওয়ার কারণে। জেএসএস ২০০১ সালের আইনটির ২৯টি সংশোধনীর দাবি জানিয়েছিল, দীর্ঘ সময়ে একাধিক সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর ১৩টি সংশোধনী আনা হবে বলে সরকার ও জেএসএস প্রায় একমত হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর সে প্রক্রিয়া এগোয়নি; আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব কখনো সংসদে তোলা হয়নি।
একটার পর একটা কমিশন গঠন-পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে সময়ক্ষেপণ করা কোনো কাজের কথা নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানের প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া চালু করতে হলে ২০০১ সালের আইনটি সংশোধন করতে হবে। অবিলম্বে তা-ই করা হোক।
No comments