জাতি হিসেবে আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করছি ॥ বিবিসিকে by ড. কামাল
আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন ও তার মান সম্পর্কে ড. কামাল হোসেন বিবিসিকে এক টেলিফোন সাক্ষাতকার দেন। এই সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন : সে সময়ের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই আইনটি তৈরি করা হয়েছিল।
এই আইনটি তৈরি হয়েছিল ’৭৪ সালে। তখন কিন্তু আন্তর্জাতিক যে নীতিগুলো আছে
সেই নীতিগুলো মেনেই বিধানগুলো করা হয়েছে। আমরা বিশেষ করে ঢাকার বিশেষজ্ঞদের
ডেকেছি। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে, ইউরোপ, জাপান, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া থেকে
ওদের মতামত আমরা নিয়েছি। সর্বোপরি আমরা খসড়া করার পরে এটা ইতালির
বেলাজিওতে একটা কনফারেন্স হয়েছিল। এই খসড়া আইনের আলোচনার জন্য তাঁরা সময়
নির্ধারণ করলেন। পৃথিবীতে যত আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল ল-এর বিশেষজ্ঞ ছিলেন
সবাই এখানে ছিলেন। তাঁরা তাঁদের সাজেশনগুলো দিয়েছেন। তাঁদের সকলের মতামত
নিয়ে তা করা হয়েছিল।
বিবিসি : এখন বিচারের প্রক্রিয়ায় আইনে কিছু সংশোধনী আনা হলেও তাতে আন্তর্জাতিক মানদ-ের সঙ্গে কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। এমনটি বলে আসছে সরকার।
ড. কামাল হোসেন : অভিযুক্তদের দিক থেকে বিচার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার চেষ্টা বা সমালোচনা থাকবেই। তাতে অনেক ক্ষেত্রেই বাদীপক্ষ সতর্ক ছিল না বলে তাঁর মনে হয়েছে। যারা এগুলোর সমালোচনা করবেন। অর্থাৎ যাঁরা চান না এটা হোক। এটা তো মনে রাখতে হবে যে, ৪২ বছর এটা হতে দেয়া হয়নি কেন! দেরিতে হলেও আজকে আমরা জাতি হিসেবে কর্তব্য পালন করছি। আন্তর্জাতিকভাবে আমরা সময়সীমার শিকার হতাম যদি আমরা এই দায়িত্ব পালন না করতাম। অর্থাৎ এটা করা আমাদের কর্তব্য, আমরা করছি। আসামিদের পক্ষে সমাবেশ স্বাভাবিকভাবে যারা আসামি তাদের পক্ষে ডিফেন্সÑ এটা হলো তাঁদের কাজ। তাঁরা করবেন এতে যত ট্রাইব্যুনাল হয়েছে সব দেখা যাবে গ্রাউন্ড না হয়। আর আমাদের এখানে, বিশেষ করে আপীলের সুযোগ আছে। সেই আপীলের মধ্যে এটা বিবেচনা করার সুযোগ আছে। ’৭১-এ যা ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধে যা ঘটেছিল এবং সেই মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে কি কি ঘটেছে এটা তো আন্তর্জাতিকভাবে সারা পৃথিবী দেখেছে। এই কারণে এটাকে আন্তর্জাতিক ক্রাইম বলা হয়। এই ধরনের ক্রাইম যেখানে হয় এটা ধরে নেয়া হয় যে, শুধু সেই দেশের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নাÑ সারা মানব জাতি আক্রান্ত হয়েছে।
বিবিসি : এখন বিচারের প্রক্রিয়ায় আইনে কিছু সংশোধনী আনা হলেও তাতে আন্তর্জাতিক মানদ-ের সঙ্গে কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। এমনটি বলে আসছে সরকার।
ড. কামাল হোসেন : অভিযুক্তদের দিক থেকে বিচার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার চেষ্টা বা সমালোচনা থাকবেই। তাতে অনেক ক্ষেত্রেই বাদীপক্ষ সতর্ক ছিল না বলে তাঁর মনে হয়েছে। যারা এগুলোর সমালোচনা করবেন। অর্থাৎ যাঁরা চান না এটা হোক। এটা তো মনে রাখতে হবে যে, ৪২ বছর এটা হতে দেয়া হয়নি কেন! দেরিতে হলেও আজকে আমরা জাতি হিসেবে কর্তব্য পালন করছি। আন্তর্জাতিকভাবে আমরা সময়সীমার শিকার হতাম যদি আমরা এই দায়িত্ব পালন না করতাম। অর্থাৎ এটা করা আমাদের কর্তব্য, আমরা করছি। আসামিদের পক্ষে সমাবেশ স্বাভাবিকভাবে যারা আসামি তাদের পক্ষে ডিফেন্সÑ এটা হলো তাঁদের কাজ। তাঁরা করবেন এতে যত ট্রাইব্যুনাল হয়েছে সব দেখা যাবে গ্রাউন্ড না হয়। আর আমাদের এখানে, বিশেষ করে আপীলের সুযোগ আছে। সেই আপীলের মধ্যে এটা বিবেচনা করার সুযোগ আছে। ’৭১-এ যা ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধে যা ঘটেছিল এবং সেই মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে কি কি ঘটেছে এটা তো আন্তর্জাতিকভাবে সারা পৃথিবী দেখেছে। এই কারণে এটাকে আন্তর্জাতিক ক্রাইম বলা হয়। এই ধরনের ক্রাইম যেখানে হয় এটা ধরে নেয়া হয় যে, শুধু সেই দেশের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নাÑ সারা মানব জাতি আক্রান্ত হয়েছে।
No comments