ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল মুন- শিক্ষার্থীদের জাতিসংঘ by হাসান ইমাম
২৩ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় বসেছিল ‘জাতিসংঘ অধিবেশন’! আর সেখানে বিভিন্ন দেশের তরুণ নেতারা আলোচনা করেছেন পরিবেশ, বিশ্বব্যাংক, বিশ্বশান্তি বা নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে।
যেখানে তরুণ এসব নেতা আলোচনা করে পৃথিবীর জন্য নিরাপদ কিছু সমাধান বের করেছেন, যার মাধ্যমে বদলে যেতে পারে পৃথিবী। আসলে জাতিসংঘের আদলে তরুণদের এই সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন।
মডেল ইউনাইটেড নেশনস বা ‘মুন’ হচ্ছে তরুণদের প্রতীকী জাতিসংঘ, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মুন অধিবেশনে তরুণেরা অংশ নিয়ে বিশ্বের নানা বিষয়ে আলোচনা করে সমাধানের পথ বাতলান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল মুন সম্মেলনে (ডানমুন) অংশ নেন দেশের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান সরগরম হয়ে ওঠে শুরু থেকেই। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফনান তাহমিদ বলেন, ‘আগে আমি থাইল্যান্ডে একটি মুন সম্মেলনে অংশ নিই। তবে এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনটা অনেক ভালো লেগেছে। কারণ, এখানে আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আমার মতামত তুলে ধরতে পেরেছি। তা ছাড়া এবার আমি বেস্ট পজিশন পেপার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।’
সম্মেলনে অংশ নেওয়া ডেলিগেটরা মোট ছয়টি কমিটিতে অংশ নেন। কমিটিগুলোর মধ্যে ছিল: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় কমিটি, জাতিসংঘ পরিবেশবিষয়ক কমিটি, বিশ্বব্যাংক, নিরাপত্তা পরিষদ এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশবিষয়ক কমিটি।
হলিক্রস কলেজের শিক্ষার্থী কাজী রুবাইয়া ইসলাম বলেন, ‘এবারই প্রথম অংশ নিলাম কোনো মুন সম্মেলনে। আমি অংশ নিই বাংলাদেশবিষয়ক কমিটিতে। যেখানে আমি আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখি। এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’
এ সম্মেলনে অংশ নেওয়া ডেলিগেটদের জন্য আলাদাভাবে আয়োজন করা হয় একটি কর্মশালা। সম্মেলনের আয়োজন সম্পর্কে ডানমুনের মহাসচিব জেনারেল মামুন মিয়া বলেন, আজকের তরুণেরাই বিশ্বের ভবিষ্যৎ নেতা। আর তাই তাঁদের জাতিসংঘ সম্পর্কে ধারণা লাভ করা দরকার। শিক্ষার্থীরা যেন নিজের ভাবনার জগৎটাকে আরও প্রশস্ত করতে পারেন, তাই এমন আয়োজন।
চার দিনের তর্কবিতর্ক আর নিজ দেশের স্বার্থ নিয়ে আলোচনা ছাড়াও সম্মেলনে উঠে আসে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা। এরপর শেষ দিনে সেখান থেকে তারা একটি ড্রাফট রেজ্যুলেশন তৈরি করে, যা পাস হয় অধিবেশনে। ডানমুনে বাংলাদেশবিষয়ক বিশেষ কমিটির আলোচনা সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় পরিচালিত হয়। চার দিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণতা পায় সম্মেলন।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক শামীম আহসান ও আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডালেম চন্দ্র বর্মণ। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্বে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর সবশেষে ছিল উপাচার্যের বাসভবনে নৈশভোজ।
মডেল ইউনাইটেড নেশনস বা ‘মুন’ হচ্ছে তরুণদের প্রতীকী জাতিসংঘ, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মুন অধিবেশনে তরুণেরা অংশ নিয়ে বিশ্বের নানা বিষয়ে আলোচনা করে সমাধানের পথ বাতলান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল মুন সম্মেলনে (ডানমুন) অংশ নেন দেশের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান সরগরম হয়ে ওঠে শুরু থেকেই। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফনান তাহমিদ বলেন, ‘আগে আমি থাইল্যান্ডে একটি মুন সম্মেলনে অংশ নিই। তবে এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনটা অনেক ভালো লেগেছে। কারণ, এখানে আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আমার মতামত তুলে ধরতে পেরেছি। তা ছাড়া এবার আমি বেস্ট পজিশন পেপার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।’
সম্মেলনে অংশ নেওয়া ডেলিগেটরা মোট ছয়টি কমিটিতে অংশ নেন। কমিটিগুলোর মধ্যে ছিল: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় কমিটি, জাতিসংঘ পরিবেশবিষয়ক কমিটি, বিশ্বব্যাংক, নিরাপত্তা পরিষদ এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশবিষয়ক কমিটি।
হলিক্রস কলেজের শিক্ষার্থী কাজী রুবাইয়া ইসলাম বলেন, ‘এবারই প্রথম অংশ নিলাম কোনো মুন সম্মেলনে। আমি অংশ নিই বাংলাদেশবিষয়ক কমিটিতে। যেখানে আমি আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখি। এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’
এ সম্মেলনে অংশ নেওয়া ডেলিগেটদের জন্য আলাদাভাবে আয়োজন করা হয় একটি কর্মশালা। সম্মেলনের আয়োজন সম্পর্কে ডানমুনের মহাসচিব জেনারেল মামুন মিয়া বলেন, আজকের তরুণেরাই বিশ্বের ভবিষ্যৎ নেতা। আর তাই তাঁদের জাতিসংঘ সম্পর্কে ধারণা লাভ করা দরকার। শিক্ষার্থীরা যেন নিজের ভাবনার জগৎটাকে আরও প্রশস্ত করতে পারেন, তাই এমন আয়োজন।
চার দিনের তর্কবিতর্ক আর নিজ দেশের স্বার্থ নিয়ে আলোচনা ছাড়াও সম্মেলনে উঠে আসে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা। এরপর শেষ দিনে সেখান থেকে তারা একটি ড্রাফট রেজ্যুলেশন তৈরি করে, যা পাস হয় অধিবেশনে। ডানমুনে বাংলাদেশবিষয়ক বিশেষ কমিটির আলোচনা সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় পরিচালিত হয়। চার দিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণতা পায় সম্মেলন।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক শামীম আহসান ও আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডালেম চন্দ্র বর্মণ। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্বে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর সবশেষে ছিল উপাচার্যের বাসভবনে নৈশভোজ।
No comments