তত্ত্বাবধায়কের অধীনে আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি- প্রার্থী বাছাইয়ে আসনভিত্তিক জরিপ চালাচ্ছে বিএনপি by সেলিম জাহিদ
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি সংসদ সদস্য পদে উপযুক্ত প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও চালাচ্ছে বিএনপি। এ জন্য আসনভিত্তিক গোপন জনমত জরিপ শুরু করেছে দলটি।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের এই জনমত জরিপে স্থানীয়ভাবে নির্দলীয়, সমমনা বা বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী নাগরিক সমাজ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মতামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি দলের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মতামতও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হবে। আগামী এপ্রিল মাস নাগাদ এই জরিপের কাজ শেষ হতে পারে।
জানতে চাইলে প্রার্থী বাছাইয়ে এই জরিপের বিষয়টি বিএনপির সমন্বয়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেছেন। তবে, কার বা কাদের তত্ত্বাবধানে এই কাজ চলছে, তা বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘যিনি ভালো, যোগ্য ও মাঠের রাজনীতি করেন, এই জরিপে তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটা গোপনীয়ভাবে চলছে। দলের তৃণমূলের কর্মীরাও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন।’
দলটির দায়িত্বশীল আরেক নেতা জানান, মাঠপর্যায় থেকে উঠে আসা সম্ভাব্য প্রার্থীদের খসড়া তালিকা যাচাই-বাছাই করতে পরে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। দলের প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এই তালিকার ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। উপযুক্ত প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াকে ‘প্রাথমিক ও ব্যতিক্রমী’ পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা আরও জানান, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত যোগ্যতার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে। স্থানীয় পর্যায়ে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর ভালো প্রার্থীদের নামও সংগ্রহ করা হচ্ছে এই জরিপে।
বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতারা মনে করছেন, আজ হোক কাল হোক, একটি পর্যায়ে এসে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে বাধ্য হবে সরকার। তাই আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনেরও প্রস্তুতি হিসেবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজটি এগিয়ে রাখার প্রয়োজন মনে করা হচ্ছে। তবে, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) রুহুল কবির রিজভী জানান, ‘এই মুহূর্তে বিএনপির একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে তত্ত্বাবধায়কের দাবি প্রতিষ্ঠা করা।’ এই দাবি আদায়ে আগামী মার্চ মাস নাগাদ চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে দলীয় সূত্রগুলো জানায়।
নির্বাচনের প্রস্তুতি আন্দোলনকে দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ হচ্ছে নির্বাচন। আমরা তো পরিষ্কার বলেছি, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাব না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনের জন্য আমাদের তো প্রস্তুতি থাকতে হবে।’
জানতে চাইলে প্রার্থী বাছাইয়ে এই জরিপের বিষয়টি বিএনপির সমন্বয়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেছেন। তবে, কার বা কাদের তত্ত্বাবধানে এই কাজ চলছে, তা বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘যিনি ভালো, যোগ্য ও মাঠের রাজনীতি করেন, এই জরিপে তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটা গোপনীয়ভাবে চলছে। দলের তৃণমূলের কর্মীরাও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন।’
দলটির দায়িত্বশীল আরেক নেতা জানান, মাঠপর্যায় থেকে উঠে আসা সম্ভাব্য প্রার্থীদের খসড়া তালিকা যাচাই-বাছাই করতে পরে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। দলের প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এই তালিকার ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। উপযুক্ত প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াকে ‘প্রাথমিক ও ব্যতিক্রমী’ পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা আরও জানান, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত যোগ্যতার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে। স্থানীয় পর্যায়ে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর ভালো প্রার্থীদের নামও সংগ্রহ করা হচ্ছে এই জরিপে।
বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতারা মনে করছেন, আজ হোক কাল হোক, একটি পর্যায়ে এসে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে বাধ্য হবে সরকার। তাই আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনেরও প্রস্তুতি হিসেবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজটি এগিয়ে রাখার প্রয়োজন মনে করা হচ্ছে। তবে, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) রুহুল কবির রিজভী জানান, ‘এই মুহূর্তে বিএনপির একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে তত্ত্বাবধায়কের দাবি প্রতিষ্ঠা করা।’ এই দাবি আদায়ে আগামী মার্চ মাস নাগাদ চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে দলীয় সূত্রগুলো জানায়।
নির্বাচনের প্রস্তুতি আন্দোলনকে দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ হচ্ছে নির্বাচন। আমরা তো পরিষ্কার বলেছি, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাব না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনের জন্য আমাদের তো প্রস্তুতি থাকতে হবে।’
No comments