১৮ দল-সরকারের কোনো রকম সাফল্য নেই
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গত চার বছরে দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করেনি বলে দাবি করেছেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, সরকারের কোনো সফলতা চোখে পড়েনি।
সরকারি দলের লোকজন শুধু নিজেদের আখের গোছানো নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। গত চার বছরে সরকার প্রশাসনসহ সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা দেখিয়েছে; কলঙ্কের পাশাপাশি দুর্নীতিতে রেকর্ড করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, গত চার বছরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কোনো সফলতা নেই। সব ক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতা রয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর চরিত্র হনন করা, আর একটি গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো ছাড়া এই সরকার জনকল্যাণে কোনো কাজ করেনি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ৪০ বছরের স্মৃতিজড়িত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এই সরকার। শেয়ারবাজার, হলমার্ক, সোনালী ব্যাংক ও পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কেলেঙ্কারি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য এটা নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতা-উত্তর ক্ষমতায় এসেও তারা দুর্নীতি করেছিল। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ শতাধিক বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মী গুম হয়েছেন এই সরকারের আমলে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাঁদের জেলে পাঠানো হয়েছে। তাই এককথায় বলা যায় সময়টা ছিল রাজনীতির জন্য হতাশা, অরাজকতার। তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে এখন জোরপূর্বক আবার ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, মহাজোট সরকার দেশের জন্য কিছু করেনি। কিভাবে তারা আবার ক্ষমতায় থাকবে সেই ষড়যন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত। তাই বিগত চার বছরে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেনি সরকার। নির্বাচনী যেসব ওয়াদা ছিল তাও সব ভুলে গেছে। তাই দুর্নীতির ভারে মহাজোট সরকার আজ 'অন্ধ'।
তরিকুল বলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে সরকার। বিরোধী দলের মহাসচিবকেও পর্যন্ত মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সংসদে গিয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন মহাজোট সরকারকে পুরোপুরি সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু সরকার কখনো বিরোধী দলের পরামর্শ নেয়নি। বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি গত চার বছরে অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালে একের পর এক হরতাল দিয়েছিল। এই সরকারের আমলে যেভাবে গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে তাতে বিএনপির সঙ্গে ১৭টি শরিক দল থাকার পরও সেভাবে হরতাল দিচ্ছে না। বারবার সরকারকে সময় দেওয়া হয়েছে। যেভাবে সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা বিরোধীদলীয় নেতাকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিচ্ছেন তা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না।
১৮ দলীয় জোটের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মহাজোট সরকার বিগত চার বছরে দেশের জন্য কোনো কাজ করেনি। নির্বাচনী ওয়াদা পূরণে তারা ব্যর্থ হয়েছে। ঘরে ঘরে বেকার শিক্ষিত যুবকদের চাকরি দেওয়া, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করা, সন্ত্রাস দমন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা- কোনো ক্ষেত্রেই সফল হয়নি সরকার। বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দেওয়া ছাড়া কোনো কিছুতেই সরকার সফল নয়। যে-দিকে তাকাই সে-দিকেই শুধু ব্যর্থতা আর ব্যর্থতা। গত চার বছরে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে বেড়েছে। তিনি বলেন, গত চার বছরে ক্ষমতাসীনরা জনগণের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি। তারা কেবল নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বিগত চার বছর ক্ষমতায় থেকে সরকার সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার যত কেলেঙ্কারি করেছে অতীতের কোনো সরকারের আমলে তা হয়নি। তিনি বলেন, এর মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কেলেঙ্কারির কথা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই জেনে গেছে দুর্নীতির জন্য বিশ্বব্যাংক সেতু নির্মাণে টাকা দিচ্ছে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, গত চার বছরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কোনো সফলতা নেই। সব ক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতা রয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর চরিত্র হনন করা, আর একটি গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো ছাড়া এই সরকার জনকল্যাণে কোনো কাজ করেনি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ৪০ বছরের স্মৃতিজড়িত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এই সরকার। শেয়ারবাজার, হলমার্ক, সোনালী ব্যাংক ও পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কেলেঙ্কারি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য এটা নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতা-উত্তর ক্ষমতায় এসেও তারা দুর্নীতি করেছিল। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ শতাধিক বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মী গুম হয়েছেন এই সরকারের আমলে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাঁদের জেলে পাঠানো হয়েছে। তাই এককথায় বলা যায় সময়টা ছিল রাজনীতির জন্য হতাশা, অরাজকতার। তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে এখন জোরপূর্বক আবার ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, মহাজোট সরকার দেশের জন্য কিছু করেনি। কিভাবে তারা আবার ক্ষমতায় থাকবে সেই ষড়যন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত। তাই বিগত চার বছরে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেনি সরকার। নির্বাচনী যেসব ওয়াদা ছিল তাও সব ভুলে গেছে। তাই দুর্নীতির ভারে মহাজোট সরকার আজ 'অন্ধ'।
তরিকুল বলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে সরকার। বিরোধী দলের মহাসচিবকেও পর্যন্ত মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সংসদে গিয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন মহাজোট সরকারকে পুরোপুরি সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু সরকার কখনো বিরোধী দলের পরামর্শ নেয়নি। বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি গত চার বছরে অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালে একের পর এক হরতাল দিয়েছিল। এই সরকারের আমলে যেভাবে গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে তাতে বিএনপির সঙ্গে ১৭টি শরিক দল থাকার পরও সেভাবে হরতাল দিচ্ছে না। বারবার সরকারকে সময় দেওয়া হয়েছে। যেভাবে সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা বিরোধীদলীয় নেতাকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিচ্ছেন তা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না।
১৮ দলীয় জোটের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মহাজোট সরকার বিগত চার বছরে দেশের জন্য কোনো কাজ করেনি। নির্বাচনী ওয়াদা পূরণে তারা ব্যর্থ হয়েছে। ঘরে ঘরে বেকার শিক্ষিত যুবকদের চাকরি দেওয়া, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করা, সন্ত্রাস দমন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা- কোনো ক্ষেত্রেই সফল হয়নি সরকার। বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দেওয়া ছাড়া কোনো কিছুতেই সরকার সফল নয়। যে-দিকে তাকাই সে-দিকেই শুধু ব্যর্থতা আর ব্যর্থতা। গত চার বছরে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে বেড়েছে। তিনি বলেন, গত চার বছরে ক্ষমতাসীনরা জনগণের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি। তারা কেবল নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বিগত চার বছর ক্ষমতায় থেকে সরকার সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার যত কেলেঙ্কারি করেছে অতীতের কোনো সরকারের আমলে তা হয়নি। তিনি বলেন, এর মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কেলেঙ্কারির কথা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই জেনে গেছে দুর্নীতির জন্য বিশ্বব্যাংক সেতু নির্মাণে টাকা দিচ্ছে না।
No comments