শরিক দল-সরকারের সাফল্য প্রশ্নবিদ্ধ
মহাজোট সরকারের বিগত চার বছরের সাফল্য আওয়ামী লীগ ছাড়া মহাজোটের অন্য শরিকদের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারের চার বছরের মূল্যায়ন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া মহাজোটভুক্ত অন্যান্য দলের নেতারা সরকারের সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতাকে বড় করে দেখিয়েছেন।
সরকারের ব্যর্থতা কিছু সাফল্যকে ম্লান করছে বলেও দাবি করেন ওই নেতারা। তাঁরা মনে করেন, সরকারের এই বর্থতার কারণে পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে কঠিন মূল্য দিতে হবে। মহাজোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, সরকারের চার বছরে অনেক সাফল্য থাকলেও ব্যর্থতা সে সাফল্যকে ম্লান করে দিয়েছে। সরকারের চার বছরের কর্মকাণ্ড নিয়ে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, সরকারের কর্মকাণ্ডে জনগণের সমর্থন সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেছে। অনেক কিছুতে সরকার সাফল্য দেখালেও হলমার্ক কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু করতে না পারা, রেলওয়ে কেলেঙ্কারি সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে।
ছাত্রলীগের বর্তমান কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ছাত্রলীগের জুলুম, অত্যাচার, চাঁদাবাজির কারণে পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে মূল্য দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড, বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ড দেশের বিবেকবান লোকদের নাড়া দিয়েছে। সরকার শুধু সাফল্য প্রচার করলেও সরকার কতখানি জনপ্রিয় তা পরবর্তী নির্বাচনে প্রমাণিত হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক কালের কণ্ঠকে বলেন, যে ২৩ দফা অভিন্ন কর্মসূচির আলোকে ইশতেহার প্রণীত তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, বৈদেশিক নীতিতে সরকারের সাফল্য আছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা এবং 'যুদ্ধাপরাধীদের' বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা- এগুলোও সরকারের সাফল্যের দিক। তবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ-বাণিজ্য কোনো কিছুকে প্রতিহত করতে পারেনি সরকার। তিনি আরো বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার কথা বললেও সরকার এটা বন্ধ করতে পারেনি। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে নিয়োগ-বাণিজ্য মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট সার্বিক অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, জাতীয় সংসদ জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। পার্লামেন্ট কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে এবং কোটিপতিরাই সামনে থেকে সবকিছুর নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
মন্ত্রীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা প্রকট বলে দাবি করে আনিসুর রহমান বলেন, মন্ত্রীদের উল্টোপাল্টা কথাবার্তা পাগলামির পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
বর্তমান সরকারের চার বছরের শাসনামলকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের চেয়ে অনেক ভালো বলে দাবি করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া। তিনি বলেন, সরকারের ব্যর্থতার চেয়ে সাফল্য বেশি। অসাম্প্রদায়িক চরিত্র বজায় রাখা, বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি প্রতিষ্ঠা এবং সে অনুসারে দেশ পরিচালনা, 'যুদ্ধাপরাধীদের' বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা সরকারের সাফল্য। শিক্ষা-কৃষি ক্ষেত্রেও সরকারের অর্জন অনেক।
অন্যদিকে সরকারের ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি, দুর্নীতি- এগুলোকে সরকারের ব্যর্থতা বলে মনে করেন এই জাসদ নেতা। তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো অর্জন নেই। গত জোট সরকারের আমলের মতোই চলছে দুর্নীতি।
গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম বলেন, চার বছরে সরকার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার উন্নয়নের যে প্রচার চালাচ্ছে, বাস্তবে উন্নয়ন তার চেয়ে কম। তবে সরকার আগামী এক বছর ইশতেহার বাস্তবায়নে মনোযোগী হবে বলে আশা করেন তিনি।
নুরুর রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জনজীবনে সৃষ্ট সংকট, জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধি সরকারকে জনগণের বিপক্ষে দাঁড় করিয়েছে। পাশাপাশি পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে না পারা এবং 'যুদ্ধাপরাধীদের' বিচারের ধীরগতি নিয়েও সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন গণতন্ত্রী পার্টির এই নেতা।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, সরকারের চার বছরের সাফল্য ও ব্যর্থতা সমান। শিক্ষা ও কৃষি খাতে সরকারের সফলতা আছে। মিয়ানমারের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক জলসীমা উদ্ধার, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও প্রবৃদ্ধি অর্জন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণকেও সরকারের সফলতা হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যর্থতা- এগুলোকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
ছাত্রলীগের বর্তমান কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ছাত্রলীগের জুলুম, অত্যাচার, চাঁদাবাজির কারণে পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে মূল্য দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড, বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ড দেশের বিবেকবান লোকদের নাড়া দিয়েছে। সরকার শুধু সাফল্য প্রচার করলেও সরকার কতখানি জনপ্রিয় তা পরবর্তী নির্বাচনে প্রমাণিত হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক কালের কণ্ঠকে বলেন, যে ২৩ দফা অভিন্ন কর্মসূচির আলোকে ইশতেহার প্রণীত তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, বৈদেশিক নীতিতে সরকারের সাফল্য আছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা এবং 'যুদ্ধাপরাধীদের' বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা- এগুলোও সরকারের সাফল্যের দিক। তবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ-বাণিজ্য কোনো কিছুকে প্রতিহত করতে পারেনি সরকার। তিনি আরো বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার কথা বললেও সরকার এটা বন্ধ করতে পারেনি। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে নিয়োগ-বাণিজ্য মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট সার্বিক অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, জাতীয় সংসদ জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। পার্লামেন্ট কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে এবং কোটিপতিরাই সামনে থেকে সবকিছুর নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
মন্ত্রীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা প্রকট বলে দাবি করে আনিসুর রহমান বলেন, মন্ত্রীদের উল্টোপাল্টা কথাবার্তা পাগলামির পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
বর্তমান সরকারের চার বছরের শাসনামলকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের চেয়ে অনেক ভালো বলে দাবি করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া। তিনি বলেন, সরকারের ব্যর্থতার চেয়ে সাফল্য বেশি। অসাম্প্রদায়িক চরিত্র বজায় রাখা, বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি প্রতিষ্ঠা এবং সে অনুসারে দেশ পরিচালনা, 'যুদ্ধাপরাধীদের' বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা সরকারের সাফল্য। শিক্ষা-কৃষি ক্ষেত্রেও সরকারের অর্জন অনেক।
অন্যদিকে সরকারের ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি, দুর্নীতি- এগুলোকে সরকারের ব্যর্থতা বলে মনে করেন এই জাসদ নেতা। তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো অর্জন নেই। গত জোট সরকারের আমলের মতোই চলছে দুর্নীতি।
গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম বলেন, চার বছরে সরকার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার উন্নয়নের যে প্রচার চালাচ্ছে, বাস্তবে উন্নয়ন তার চেয়ে কম। তবে সরকার আগামী এক বছর ইশতেহার বাস্তবায়নে মনোযোগী হবে বলে আশা করেন তিনি।
নুরুর রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জনজীবনে সৃষ্ট সংকট, জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধি সরকারকে জনগণের বিপক্ষে দাঁড় করিয়েছে। পাশাপাশি পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে না পারা এবং 'যুদ্ধাপরাধীদের' বিচারের ধীরগতি নিয়েও সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন গণতন্ত্রী পার্টির এই নেতা।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, সরকারের চার বছরের সাফল্য ও ব্যর্থতা সমান। শিক্ষা ও কৃষি খাতে সরকারের সফলতা আছে। মিয়ানমারের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক জলসীমা উদ্ধার, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও প্রবৃদ্ধি অর্জন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণকেও সরকারের সফলতা হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যর্থতা- এগুলোকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
No comments