নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণ- বিদ্রোহীদের সমর্থন দেওয়া নিয়ে দ্বিধায় সিরিয়ার জনগণ
সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির সরকারি দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব ধরনের আলোচনা এড়িয়ে চলেন। তবে সরকারপক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন জানাবেন কি না, সেই ভাবনা এড়ানো তাঁদের পক্ষে সত্যিই বেশ কঠিন।
দেশটির একজন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রতি জনসাধারণের একটি বড় অংশের মোহ ইতিমধ্যেই কেটে গেছে। অপর দিকে চলমান সহিংসতা নিয়ে বিদ্রোহীদের প্রতি সাধারণ মানুষ রীতিমতো অসন্তুষ্ট। তাই সরকার ও বিদ্রোহী—উভয় পক্ষের ব্যাপারে একই ধরনের আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ‘নির্দোষ’ জনগণ।
সিরিয়ায় গত দুই বছর ধরে গণবিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট আসাদের ক্ষমতার পরিধি কার্যত সীমিত হয়ে এসেছে। তাঁর একচ্ছত্র কর্তৃত্বের প্রতি কেবল ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সরকারি চাকরিজীবীদের সমর্থন রয়েছে। তাঁরা সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলেই দেশটির গোটা পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। কিন্তু তাঁদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে।
‘আরব বসন্ত’ চলাকালে মিসর ও তিউনিসিয়ায় শান্তিপূর্ণ গণবিক্ষোভ থেকে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা প্রাথমিকভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে দেশটির সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয় এবং উভয় পক্ষ পরস্পরের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে। শান্তিপূর্ণ সমঝোতার পরিবর্তে সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর কঠোর অভিযান চালায় এবং এতে সংকট ঘনীভূত হয়। এদিকে বিদ্রোহীদের আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি নিয়ে দেশটির অভিজাত ও বিত্তশালী সম্প্রদায় সন্দিহান হয়ে পড়েছে। আসাদের পক্ষ অবলম্বনকারী সংখ্যালঘু আলাওইতে সম্প্রদায়ের লোকজনের আশঙ্কা, দেশটিতে ইসলামি শাসন কায়েম হবে অথবা চলমান বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণকারী সুন্নি মুসলিমরা সহিংস প্রতিশোধ নেবে। সরকারি কর্মচারীদের অনেকের ধারণা, আসাদ সরকারের পতন হলে দেশটিতে নেতৃত্বের শূন্যতা দেখা দেবে। বর্তমানে দেশে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে, খুব কম লোকই এমন সম্ভাবনা দেখছেন।
সিরিয়ার একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সমর হাদ্দাদ বলেন, প্রতিবেশীদের অনেকের সঙ্গে তিনিও প্রথম দিকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তবে বিক্ষোভে সহিংসতার কারণে তাঁরা ফিরে এসেছেন। সশস্ত্র বিপ্লব কিংবা বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ড, কোনোটির প্রতিই তাঁদের সমর্থন নেই। তাঁদের আশঙ্কা, সশস্ত্র বিক্ষোভের পরিণতি ভয়াবহ হবে। দেশটির বহু মানুষ চলমান সংকটের রাজনৈতিক সমাধান প্রত্যাশা করেন। তাঁরা মনে করেন, উদারপন্থী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। তবে যেখানে সশস্ত্র ব্যক্তিরা উভয় পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করছে, সেখানে আপস বা সমঝোতার সম্ভাবনা নিতান্তই কম।
সিরিয়ায় গত দুই বছর ধরে গণবিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট আসাদের ক্ষমতার পরিধি কার্যত সীমিত হয়ে এসেছে। তাঁর একচ্ছত্র কর্তৃত্বের প্রতি কেবল ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সরকারি চাকরিজীবীদের সমর্থন রয়েছে। তাঁরা সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলেই দেশটির গোটা পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। কিন্তু তাঁদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে।
‘আরব বসন্ত’ চলাকালে মিসর ও তিউনিসিয়ায় শান্তিপূর্ণ গণবিক্ষোভ থেকে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা প্রাথমিকভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে দেশটির সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয় এবং উভয় পক্ষ পরস্পরের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে। শান্তিপূর্ণ সমঝোতার পরিবর্তে সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর কঠোর অভিযান চালায় এবং এতে সংকট ঘনীভূত হয়। এদিকে বিদ্রোহীদের আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি নিয়ে দেশটির অভিজাত ও বিত্তশালী সম্প্রদায় সন্দিহান হয়ে পড়েছে। আসাদের পক্ষ অবলম্বনকারী সংখ্যালঘু আলাওইতে সম্প্রদায়ের লোকজনের আশঙ্কা, দেশটিতে ইসলামি শাসন কায়েম হবে অথবা চলমান বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণকারী সুন্নি মুসলিমরা সহিংস প্রতিশোধ নেবে। সরকারি কর্মচারীদের অনেকের ধারণা, আসাদ সরকারের পতন হলে দেশটিতে নেতৃত্বের শূন্যতা দেখা দেবে। বর্তমানে দেশে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে, খুব কম লোকই এমন সম্ভাবনা দেখছেন।
সিরিয়ার একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সমর হাদ্দাদ বলেন, প্রতিবেশীদের অনেকের সঙ্গে তিনিও প্রথম দিকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তবে বিক্ষোভে সহিংসতার কারণে তাঁরা ফিরে এসেছেন। সশস্ত্র বিপ্লব কিংবা বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ড, কোনোটির প্রতিই তাঁদের সমর্থন নেই। তাঁদের আশঙ্কা, সশস্ত্র বিক্ষোভের পরিণতি ভয়াবহ হবে। দেশটির বহু মানুষ চলমান সংকটের রাজনৈতিক সমাধান প্রত্যাশা করেন। তাঁরা মনে করেন, উদারপন্থী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। তবে যেখানে সশস্ত্র ব্যক্তিরা উভয় পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করছে, সেখানে আপস বা সমঝোতার সম্ভাবনা নিতান্তই কম।
No comments