খতনা করলে ‘পুরুষ’ না করলে ‘বালক’
দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী সম্প্রদায়ের নাম ঝোসা। এই সম্প্রদায়ের ছেলেদের ‘বালক’ থেকে ‘পুরুষ’ হয়ে ওঠার জন্য পার করতে হয় নানা আনুষ্ঠানিকতা। এ অনুষ্ঠানকে বলে ‘উকালুকা’। এ অনুষ্ঠানের অন্যতম অংশ হলো ‘খতনা’।
বর্ণবাদবিরোধী কিংবদন্তি নেতা ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলাও ঝোসা সম্প্রদায়ের। তাঁর আত্মজীবনী লং ওয়াক টু ফ্রিডম-এ নিজের খতনার বিষয়টি স্মরণ করেছেন তিনি।
ঝোসা সমাজে খতনা না করলে ‘পুরুষ’ হওয়া যায় না। অর্থাৎ ঝোসা সম্প্রদায়ের যে ব্যক্তি খতনা করবেন না, তাঁর বয়স যতই হোক তাঁকে সমাজে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ হিসেবে গণ্য করা হয় না। সালিস-বিচার বা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুষ্ঠানেও তাঁকে অংশ নিতে দেওয়া হয় না। কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খতনা না করার কারণে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ঝোসা বালক মারা যায়।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খতনা না করায় গত ডিসেম্বরে শুধু ইস্টার্ন কেপ এলাকায় মারা যায় ১৫ জন। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৬৪ জনকে। এমন মৃত্যু বন্ধ করতে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ২০০১ সালে ‘ট্র্যাডিশনাল সার্কমসিজন অ্যাক্ট’ নামের একটি আইন পাস করে। এর পরও এ পর্যন্ত ৫০০ জনের বেশি বালক মারা গেছে। সাধারণত সংক্রমণজনিত কারণে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পেনিসিলিন-জাতীয় ওষুধ দিয়ে এর চিকিৎসা করা হয়।
এই সংক্রমণের কারণ হলো খতনা করার সময় কোনো চেতনানাশক, ব্যথানাশক ও জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয় না। একধরনের ব্লেড দিয়ে এই খতনা করা হয়।
নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর আত্মজীবনী লং ওয়াক টু ফ্রিডম-এ লিখেছেন, ঝোসা সমাজে খতনা না করলে পুরুষকে পুরুষ বলে স্বীকার করা হয় না। খতনা করার সময় একটি বালক যন্ত্রণা সহ্য করবে, কিন্তু পুরুষ হওয়ার আনন্দে ব্যথা গোপন করবে।
খতনার কারণে মৃত্যু ও অসুস্থ হয়ে পড়ার এত বেশি ঘটনা সত্ত্বেও ঝোসা সমাজে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলা কঠিন। কারণ সমাজে ঐতিহ্যগতভাবে খতনা করার বিষয়টিকে আলাদা মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে এটা নিয়ে এখন কথা বলা শুরু হয়েছে। মামিসা এনসিওয়েনি নামের একজন চিকিৎসক বলেন, স্থানীয় তথাকথিত সার্জনদের কাছে খতনা করার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। খতনা করার বিষয়টিকে বাণিজ্যিকীকরণও করা হয়েছে। একজনের খতনা করাতে প্রায় ৪০ ডলার ব্যয় করতে হয়। মামিসা এনসিওয়েনি অভিযোগ করেন, তথাকথিত ওই সার্জনরা বালকদের সুস্থতার চেয়ে অর্থের দিকে বেশি মনোযোগ দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পত্রিকায়ও বিষয়টি উঠে আসছে। আমার মনে হয়, প্রথা ধরে রাখতে গিয়ে আমরা বালকদের মেরে ফেলছি।’
খতনা নিরাপদ করতে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ২০১৩ সালে প্রায় ২০ লাখ ডলারের একটি তহবিল করেছে। তবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে খতনা করার চেয়ে ঐতিহ্যগতভাবেই খতনা করতে আগ্রহী ঝোসা সম্প্রদায়ের লোকজন। নামকরা একটি প্রতিষ্ঠানে পড়েন সিবুসিসো গাকা। ঐতিহ্যগতভাবেই খতনা করতে আগ্রহী তিনি। এভাবে খতনা করতে গিয়ে গত জুনে তাঁর এক বন্ধু মারা যান। বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হলেও গাকা বলে, ‘আমি ঐতিহ্যগতভাবেই খতনা করাব। এভাবেই খতনা করিয়ে সমাজে মর্যাদা অর্জন করব।’ আল-জাজিরা অনলাইন।
ঝোসা সমাজে খতনা না করলে ‘পুরুষ’ হওয়া যায় না। অর্থাৎ ঝোসা সম্প্রদায়ের যে ব্যক্তি খতনা করবেন না, তাঁর বয়স যতই হোক তাঁকে সমাজে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ হিসেবে গণ্য করা হয় না। সালিস-বিচার বা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুষ্ঠানেও তাঁকে অংশ নিতে দেওয়া হয় না। কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খতনা না করার কারণে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ঝোসা বালক মারা যায়।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খতনা না করায় গত ডিসেম্বরে শুধু ইস্টার্ন কেপ এলাকায় মারা যায় ১৫ জন। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৬৪ জনকে। এমন মৃত্যু বন্ধ করতে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ২০০১ সালে ‘ট্র্যাডিশনাল সার্কমসিজন অ্যাক্ট’ নামের একটি আইন পাস করে। এর পরও এ পর্যন্ত ৫০০ জনের বেশি বালক মারা গেছে। সাধারণত সংক্রমণজনিত কারণে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পেনিসিলিন-জাতীয় ওষুধ দিয়ে এর চিকিৎসা করা হয়।
এই সংক্রমণের কারণ হলো খতনা করার সময় কোনো চেতনানাশক, ব্যথানাশক ও জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয় না। একধরনের ব্লেড দিয়ে এই খতনা করা হয়।
নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর আত্মজীবনী লং ওয়াক টু ফ্রিডম-এ লিখেছেন, ঝোসা সমাজে খতনা না করলে পুরুষকে পুরুষ বলে স্বীকার করা হয় না। খতনা করার সময় একটি বালক যন্ত্রণা সহ্য করবে, কিন্তু পুরুষ হওয়ার আনন্দে ব্যথা গোপন করবে।
খতনার কারণে মৃত্যু ও অসুস্থ হয়ে পড়ার এত বেশি ঘটনা সত্ত্বেও ঝোসা সমাজে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলা কঠিন। কারণ সমাজে ঐতিহ্যগতভাবে খতনা করার বিষয়টিকে আলাদা মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে এটা নিয়ে এখন কথা বলা শুরু হয়েছে। মামিসা এনসিওয়েনি নামের একজন চিকিৎসক বলেন, স্থানীয় তথাকথিত সার্জনদের কাছে খতনা করার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। খতনা করার বিষয়টিকে বাণিজ্যিকীকরণও করা হয়েছে। একজনের খতনা করাতে প্রায় ৪০ ডলার ব্যয় করতে হয়। মামিসা এনসিওয়েনি অভিযোগ করেন, তথাকথিত ওই সার্জনরা বালকদের সুস্থতার চেয়ে অর্থের দিকে বেশি মনোযোগ দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পত্রিকায়ও বিষয়টি উঠে আসছে। আমার মনে হয়, প্রথা ধরে রাখতে গিয়ে আমরা বালকদের মেরে ফেলছি।’
খতনা নিরাপদ করতে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ২০১৩ সালে প্রায় ২০ লাখ ডলারের একটি তহবিল করেছে। তবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে খতনা করার চেয়ে ঐতিহ্যগতভাবেই খতনা করতে আগ্রহী ঝোসা সম্প্রদায়ের লোকজন। নামকরা একটি প্রতিষ্ঠানে পড়েন সিবুসিসো গাকা। ঐতিহ্যগতভাবেই খতনা করতে আগ্রহী তিনি। এভাবে খতনা করতে গিয়ে গত জুনে তাঁর এক বন্ধু মারা যান। বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হলেও গাকা বলে, ‘আমি ঐতিহ্যগতভাবেই খতনা করাব। এভাবেই খতনা করিয়ে সমাজে মর্যাদা অর্জন করব।’ আল-জাজিরা অনলাইন।
No comments