বিশ্বের মন জয় করবেন ওবামা by মাসুদ ফরহান অভি
বারাক হোসেন ওবামাকে অভিনন্দন। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকেও অভিনন্দন। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময়ই ওবামা লিখেছিলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে চান তিনি। ২০০৮-এ সত্যি হয় সেই স্বপ্ন। আফ্রিকান এ কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের ভালোবাসায় দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসের সিংহাসনে বসতে যাচ্ছেন।
এখন সারাবিশ্বের মানুষের ঔৎসুক্য_ কী পরিবর্তন করবেন ওবামা? সারা পৃথিবীতে আশাসঞ্চারী এক কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি যে সাদা-কালো নির্বিশেষে বিপুল সমর্থন; তার বহিঃপ্রকাশ ঘটল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। আফগান ও ইরাক যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের কাছে যুক্তরাষ্ট্রকে স্বৈরাচারী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে বিশ্বশান্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র যে গ্গ্নানি বহন করছে, এর দায় কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের প্রাপ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ গোটা পৃথিবীর সাধারণ মানুষের মতোই সরল ও আবেগপ্রবণ। তৎকালীন বুশ সরকারের যুদ্ধংদেহী বিদেশনীতি এবং বিশ্বের প্রাকৃতিক ও জ্বালানি সম্পদ লুণ্ঠনের আকাঙ্ক্ষাকে তারা নীতিগতভাবে সমর্থন করেনি। আর তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে বুশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ বারাক ওবামার হাতে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চাবি তুলে দিয়েছিল মার্কিনিরা। গত চার বছরে ওবামা তার ওপর জনগণের সেই আস্থা আর ভালোবাসা ধরে রাখতে পেরেছেন। তাই আবারও হোয়াইট হাউসে ঠাঁই পেলেন ওবামা।
বিশ্বনন্দিত কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের মতোই ওবামা স্বপ্ন দেখতেন। তিনি নিজের স্বপ্নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে সম্পৃক্ত এবং তাদের পক্ষে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছেন বলেই তার স্বপ্ন আবারও সফল হয়েছে। ওবামা জনগণকে যুদ্ধবাদী নীতি পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছেন এবং সাফল্যের সঙ্গে অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের বিলুপ্ত মর্যাদা পুনরুদ্ধার হবে_ এ আশা বুকে নিয়ে জনগণ তার পক্ষে আবারও রায় প্রদান করেছে।
বারাক হোসেন ওবামার বিজয়ে বিশ্ববাসীর মনেও নতুন প্রত্যাশা জেগেছে। বিশ্বের নির্যাতিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী আশা করছে, তার নেতৃত্বে সাদা-কালো নির্বিশেষে পৃথিবীর সব মানুষ সত্যিকার মানুষের মর্যাদায় অভিষিক্ত হবে। ইরাক এবং আফগানিস্তান তাদের সার্বভৌমত্ব ফিরে পাবে। ইরান, পাকিস্তান, সুদান, সিরিয়া বা উত্তর কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গি বিমান বোমাবর্ষণ করবে না। পৃথিবীতে গুয়ানতানামো বা আবু গারিবের মতো অমানবিক কারাগারের অস্তিত্ব থাকবে না।
যুক্তরাষ্ট্রে তার বিজয়কে সংহত করতে হলে ওবামাকে বিশ্বের মন জয় করতে হবে। তার বিজয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ কোটি মানুষের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বিশ্বের ৬শ' কোটি মানুষ উল্লাস প্রকাশ করছে। আমরা জানি, অর্থনৈতিক মন্দাকে তিনি হয়তো তার প্রধান এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করবেন। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে অবশ্যই তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।
মাসুদ ফরহান অভি : শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্বনন্দিত কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের মতোই ওবামা স্বপ্ন দেখতেন। তিনি নিজের স্বপ্নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে সম্পৃক্ত এবং তাদের পক্ষে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছেন বলেই তার স্বপ্ন আবারও সফল হয়েছে। ওবামা জনগণকে যুদ্ধবাদী নীতি পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছেন এবং সাফল্যের সঙ্গে অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের বিলুপ্ত মর্যাদা পুনরুদ্ধার হবে_ এ আশা বুকে নিয়ে জনগণ তার পক্ষে আবারও রায় প্রদান করেছে।
বারাক হোসেন ওবামার বিজয়ে বিশ্ববাসীর মনেও নতুন প্রত্যাশা জেগেছে। বিশ্বের নির্যাতিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী আশা করছে, তার নেতৃত্বে সাদা-কালো নির্বিশেষে পৃথিবীর সব মানুষ সত্যিকার মানুষের মর্যাদায় অভিষিক্ত হবে। ইরাক এবং আফগানিস্তান তাদের সার্বভৌমত্ব ফিরে পাবে। ইরান, পাকিস্তান, সুদান, সিরিয়া বা উত্তর কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গি বিমান বোমাবর্ষণ করবে না। পৃথিবীতে গুয়ানতানামো বা আবু গারিবের মতো অমানবিক কারাগারের অস্তিত্ব থাকবে না।
যুক্তরাষ্ট্রে তার বিজয়কে সংহত করতে হলে ওবামাকে বিশ্বের মন জয় করতে হবে। তার বিজয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ কোটি মানুষের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বিশ্বের ৬শ' কোটি মানুষ উল্লাস প্রকাশ করছে। আমরা জানি, অর্থনৈতিক মন্দাকে তিনি হয়তো তার প্রধান এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করবেন। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে অবশ্যই তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।
মাসুদ ফরহান অভি : শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
No comments