এত কিছুর পরও কেন হারলেন by খন্দকার মোজাম্মেল হক
ভোটারদের পক্ষে টানতে সম্ভাব্য সব কিছুই করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি। এর পরও হার মানতে হলো তাঁকে। এই পরাজয়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে বেশ বিছু বিষয় তুলে ধরেছেন বিশ্লেষকরা। এ ক্ষেত্রে সপ্রতিভ বারাক ওবামার সঙ্গে বিতর্কে রমনি নিজেকে তেমনভাবে উপস্থাপন করতে না পারাকে দায়ী করেছেন অনেকে।
কেউ আবার বলছেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে ভোটারদের মন জয় করতে না পারার ব্যর্থতার কথা। তবে অনেকেই বড় করে দেখছেন রানিং মেট পল রায়ানের সঙ্গে তাঁর মতভেদের বিষয়টি। রমনি সরকারের আকার ছোট রাখার পক্ষে থাকলেও পল ছিলেন এর উল্টো অবস্থানে। বিষয়টি ভালো চোখে দেখেননি ভোটাররা।
রমনির পরাজয়ের আরেকটি বড় কারণ হিসেবে স্যান্ডিকে দায়ী করেছেন খোদ রমনির সমর্থকরাই। যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা এ ঘূর্ণিঝড় রমনির জন্য আক্ষরিক অর্থেই অভিশাপ হয়ে এসেছে। নির্বাচনের আগমুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রকে এলোমেলো করে দেওয়া এই স্যান্ডিই এলোমেলো করে দিয়েছে রমনির নির্বাচনী হিসাব-নিকাশও। কারণ ঝড়ের পর পরই ডেমোক্রেটিক প্রার্থী ওবামা নির্বাচনী প্রচারণা বাদ দিয়ে দুর্গত এলাকাগুলোতে ছুটে গেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে। আর তাতেই প্রচারণা না চালিয়েও কৌশলে আসল প্রচারটা সেরে জনপ্রিয়তায় অনেকটাই এগিয়ে গেছেন তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, অভিবাসন আইন কড়াকড়ির বিরোধী পক্ষ, অভিবাসনের সমর্থক গোষ্ঠী, আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক- এমন অনেককেই সন্তুষ্ট করতে পারেননি রমনি। মতাদর্শ নিয়ে তিনি বিভিন্ন কথাবার্তা বলে বাকপটুতার পরিচয় দিলেও ভালো কোনো উপসংহার টানতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টিও ভালোভাবে নেননি ভোটাররা।
সরকার পরিচালনার বিষয়ে সঠিক কোনো দিকনির্দেশনা দিতে না পারার ব্যর্থতার সঙ্গে যোগ হয়েছে পল রায়ানের সঙ্গে পরিকল্পনা নিয়ে রমনির মতভেদের বিষয়টিও। ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর থাকাকালীন ডেমোক্রেটিক শাসনামলেও স্বাস্থ্যসেবা-বিষয়ক একটি সর্বজনীন পরিকল্পনা তৈরিতে কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন রমনি। তবে সেখানে যে দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন, জাতীয় নির্বাচনে সেই দিকগুলো তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন রমনি। ব্যর্থ হয়েছেন তখনকার মতো সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারার ক্ষেত্রেও। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট।
রমনির পরাজয়ের আরেকটি বড় কারণ হিসেবে স্যান্ডিকে দায়ী করেছেন খোদ রমনির সমর্থকরাই। যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা এ ঘূর্ণিঝড় রমনির জন্য আক্ষরিক অর্থেই অভিশাপ হয়ে এসেছে। নির্বাচনের আগমুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রকে এলোমেলো করে দেওয়া এই স্যান্ডিই এলোমেলো করে দিয়েছে রমনির নির্বাচনী হিসাব-নিকাশও। কারণ ঝড়ের পর পরই ডেমোক্রেটিক প্রার্থী ওবামা নির্বাচনী প্রচারণা বাদ দিয়ে দুর্গত এলাকাগুলোতে ছুটে গেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে। আর তাতেই প্রচারণা না চালিয়েও কৌশলে আসল প্রচারটা সেরে জনপ্রিয়তায় অনেকটাই এগিয়ে গেছেন তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, অভিবাসন আইন কড়াকড়ির বিরোধী পক্ষ, অভিবাসনের সমর্থক গোষ্ঠী, আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক- এমন অনেককেই সন্তুষ্ট করতে পারেননি রমনি। মতাদর্শ নিয়ে তিনি বিভিন্ন কথাবার্তা বলে বাকপটুতার পরিচয় দিলেও ভালো কোনো উপসংহার টানতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টিও ভালোভাবে নেননি ভোটাররা।
সরকার পরিচালনার বিষয়ে সঠিক কোনো দিকনির্দেশনা দিতে না পারার ব্যর্থতার সঙ্গে যোগ হয়েছে পল রায়ানের সঙ্গে পরিকল্পনা নিয়ে রমনির মতভেদের বিষয়টিও। ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর থাকাকালীন ডেমোক্রেটিক শাসনামলেও স্বাস্থ্যসেবা-বিষয়ক একটি সর্বজনীন পরিকল্পনা তৈরিতে কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন রমনি। তবে সেখানে যে দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন, জাতীয় নির্বাচনে সেই দিকগুলো তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন রমনি। ব্যর্থ হয়েছেন তখনকার মতো সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারার ক্ষেত্রেও। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট।
No comments