শোক- সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মুহাম্মদ শামসুল হক
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ আখতারুজ্জামান চৌধুরীর মৃত্যুতে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি শিল্প-বাণিজ্যের প্রসারে তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। চট্টগ্রামের সবার কাছে বাবু ভাই নামে পরিচিত এই প্রিয় মানুষটির মৃত্যুতে প্রথম আলোর কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কয়েকজন রাজনীতিক।
ব্যবসা ও শিল্পের প্রসারে ভূমিকা ছিল বিরাট
আবদুল্লাহ আল নোমান, ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি
একজন সজ্জন ও ভদ্র রাজনীতিবিদ হিসেবে দলমত-নির্বিশেষে সবার মাঝে আখতারুজামান চৌধুরী বাবুর গ্রহণযোগ্যতা ছিল। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের প্রসারে বিরাট ভূমিকা ছিল তাঁর। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধেও তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
তাঁর মতো অমায়িক এবং নিরহংকার রাজনীতিবিদ এখন তেমন দেখা যায় না।
তাঁর মৃত্যুতে চট্টগ্রাম এমনকি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। আর চট্টগ্রামের মানুষ হারিয়েছে একজন দরদি মানুষকে। আমি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
কখনো আপস করেননি
নূরুল ইসলাম, সহসভাপতি নগর আওয়ামী লীগ
আখতারুজ্জামান চৌধুরী ছিলেন একজন বিশাল হূদয়ের অধিকারী আদর্শবান মানুষ। যাঁকে সাহায্য করেছেন উজাড় করে দিয়েছেন। ১৯৭০ সাল থেকে যে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তা ছাড়েননি। রাজনীতিতে নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে তিনি আপস করেননি। দলের দুর্দিনে আর্থিক সহায়তা এবং নেতা-কর্মীদের সাহস জুগিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছেন। এরশাদের আমলে মন্ত্রিত্বের হাতছানি উপেক্ষা করে আদর্শকে আঁকড়ে ধরেছেন। শুধু দক্ষিণ জেলা নয়, নগর আওয়ামী লীগসহ পুরো জেলা আওয়ামী লীগের বিকাশে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল।
তাঁর মৃত্যুতে শুধু চট্টগ্রামবাসী নয়, সমগ্র দেশেরই অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সভাপতি, নগর বিএনপি
আখতারুজ্জামান চৌধুরী ছিলেন এমন একজন ভদ্র রাজনীতিবিদ যেমনটি আজকাল সচরাচর দেখা যায় না। তিনি সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। সুসম্পর্ক বজায় রেখে যে সুষ্ঠু রাজনীতি করা সম্ভব সেটা তিনি দেখিয়ে গেছেন। ব্যবসায়ীদের সংগঠনেও আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। রাজনীতিতে মতপার্থক্য সত্ত্বেও আমাদের মাঝে ব্যক্তিগত ও সামাজিক সম্পর্ক অটুট ছিল। তাঁর মতো ভালো মনের লোক বর্তমানে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। শিষ্টাচার মেনে রাজনীতি করার মতো একজন ভালো লোক চলে গেছেন যা দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
নানা উত্থান-পতনের মধ্যেও আদর্শচ্যুত হননি
মোসলেমউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী। ১৯৭০ সাল থেকে চারবার নির্বাচিত সাংসদ, দীর্ঘদিন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শেষে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়, তিনি জনগণ ও দলের মধ্যে
কতটুকু গ্রহণযোগ্য ছিলেন। দলের বাইরেও একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে সমাজের মানুষের জন্য তিনি কাজ করেছেন এবং সফল শিল্পপতি ও ব্যাংকার হিসেবে বহু লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
সবচেয়ে বড় কথা, নানা উত্থান-পতনের মধ্যেও তিনি আদর্শচ্যুত হননি, দুঃসময়ে দলের হাল ধরে রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজনীতিতে আমরা একজন অভিভাবককে হারালাম।
মানুষের ঢলই প্রমাণ করে তিনি কেমন ছিলেন
এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সভাপতি, নগর আওয়ামী লীগ
রাজনীতি ও ব্যবসা উভয় ক্ষেত্রেই একজন সফল সংগঠক ছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ভাই। সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ পঁচাত্তর পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে দলের সুখে-দুঃখে নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন তিনি। দলের ভেতর মতপার্থক্য দূর করে ঐক্য বজায় রাখতে তিনি সবসময় সচেষ্ট ছিলেন। প্রয়োজনে সবার সঙ্গে আলোচনা করতেন। দলমত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে তাঁর ছিল সুসম্পর্ক। এই জন্যই তিনি সবার ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছিলেন। মানুষের ভালোবাসা থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায় তিনি কেমন ছিলেন। জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজার সময় হাজারো মানুষের ঢলই প্রমাণ করে দিয়েছে বাবু ভাই মানুষের হূদয়ে কতটুকু স্থান করে নিয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান, ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি
একজন সজ্জন ও ভদ্র রাজনীতিবিদ হিসেবে দলমত-নির্বিশেষে সবার মাঝে আখতারুজামান চৌধুরী বাবুর গ্রহণযোগ্যতা ছিল। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের প্রসারে বিরাট ভূমিকা ছিল তাঁর। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধেও তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
তাঁর মতো অমায়িক এবং নিরহংকার রাজনীতিবিদ এখন তেমন দেখা যায় না।
তাঁর মৃত্যুতে চট্টগ্রাম এমনকি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। আর চট্টগ্রামের মানুষ হারিয়েছে একজন দরদি মানুষকে। আমি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
কখনো আপস করেননি
নূরুল ইসলাম, সহসভাপতি নগর আওয়ামী লীগ
আখতারুজ্জামান চৌধুরী ছিলেন একজন বিশাল হূদয়ের অধিকারী আদর্শবান মানুষ। যাঁকে সাহায্য করেছেন উজাড় করে দিয়েছেন। ১৯৭০ সাল থেকে যে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তা ছাড়েননি। রাজনীতিতে নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে তিনি আপস করেননি। দলের দুর্দিনে আর্থিক সহায়তা এবং নেতা-কর্মীদের সাহস জুগিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছেন। এরশাদের আমলে মন্ত্রিত্বের হাতছানি উপেক্ষা করে আদর্শকে আঁকড়ে ধরেছেন। শুধু দক্ষিণ জেলা নয়, নগর আওয়ামী লীগসহ পুরো জেলা আওয়ামী লীগের বিকাশে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল।
তাঁর মৃত্যুতে শুধু চট্টগ্রামবাসী নয়, সমগ্র দেশেরই অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সভাপতি, নগর বিএনপি
আখতারুজ্জামান চৌধুরী ছিলেন এমন একজন ভদ্র রাজনীতিবিদ যেমনটি আজকাল সচরাচর দেখা যায় না। তিনি সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। সুসম্পর্ক বজায় রেখে যে সুষ্ঠু রাজনীতি করা সম্ভব সেটা তিনি দেখিয়ে গেছেন। ব্যবসায়ীদের সংগঠনেও আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। রাজনীতিতে মতপার্থক্য সত্ত্বেও আমাদের মাঝে ব্যক্তিগত ও সামাজিক সম্পর্ক অটুট ছিল। তাঁর মতো ভালো মনের লোক বর্তমানে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। শিষ্টাচার মেনে রাজনীতি করার মতো একজন ভালো লোক চলে গেছেন যা দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
নানা উত্থান-পতনের মধ্যেও আদর্শচ্যুত হননি
মোসলেমউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী। ১৯৭০ সাল থেকে চারবার নির্বাচিত সাংসদ, দীর্ঘদিন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শেষে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়, তিনি জনগণ ও দলের মধ্যে
কতটুকু গ্রহণযোগ্য ছিলেন। দলের বাইরেও একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে সমাজের মানুষের জন্য তিনি কাজ করেছেন এবং সফল শিল্পপতি ও ব্যাংকার হিসেবে বহু লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
সবচেয়ে বড় কথা, নানা উত্থান-পতনের মধ্যেও তিনি আদর্শচ্যুত হননি, দুঃসময়ে দলের হাল ধরে রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজনীতিতে আমরা একজন অভিভাবককে হারালাম।
মানুষের ঢলই প্রমাণ করে তিনি কেমন ছিলেন
এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সভাপতি, নগর আওয়ামী লীগ
রাজনীতি ও ব্যবসা উভয় ক্ষেত্রেই একজন সফল সংগঠক ছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ভাই। সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ পঁচাত্তর পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে দলের সুখে-দুঃখে নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন তিনি। দলের ভেতর মতপার্থক্য দূর করে ঐক্য বজায় রাখতে তিনি সবসময় সচেষ্ট ছিলেন। প্রয়োজনে সবার সঙ্গে আলোচনা করতেন। দলমত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে তাঁর ছিল সুসম্পর্ক। এই জন্যই তিনি সবার ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছিলেন। মানুষের ভালোবাসা থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায় তিনি কেমন ছিলেন। জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজার সময় হাজারো মানুষের ঢলই প্রমাণ করে দিয়েছে বাবু ভাই মানুষের হূদয়ে কতটুকু স্থান করে নিয়েছেন।
No comments